নারী পুলিশ নেটওয়ার্কের সম্মেলন

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার

‘নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও কাজের দক্ষতা বাড়ানোর জন্যই এই সম্মেলন।’ এক কথায় সম্মেলন সম্পর্কে এভাবেই বললেন বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন্স নেটওয়ার্কের নির্বাহী সচিব আবিদা সুলতানা। নারী পুলিশ সদস্যদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন্স নেটওয়ার্ক’ ১১ জুন আয়োজন করে দুই দিনের এক সম্মেলনের। প্রথম দিনের সম্মেলন হয়েছে ঢাকার মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজর পিএসসি কনভেনশন হলে। দ্বিতীয় দিন এ আয়োজন ছিল রাজারবাগের পুলিশ টেলিকম মিলনায়তনে৷
দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এ সম্মেলন নিয়েই কথা বলেন আবিদা সুলতানা। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (লালবাগ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানালেন, মূলত নারী পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগসহ তাঁদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ২০০৮ সালের ২১ নভেম্বর গড়ে তোলা হয় বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন্স নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন)। সংগঠনটি নারী পুলিশের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে।
সম্মেলনের প্রথম দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের িস্পকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান৷ উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমদ, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) হাসান মাহমুদ খন্দকারসহ অনেকে৷ নারী পুলিশ কর্মকর্তারা তো ছিলেনই; সম্মেলনে ছিলেন পাঁচ শতাধিক নারী পুলিশ সদস্য৷
এবারের সম্মেলনে পাঁচটি বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়। সেগুলো হলো—নারী পুলিশ : একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ; বাংলাদেশের তথ্যপ্রবাহ ও নারী পুলিশ; জাতিসংঘ (ইউএন) শািন্তরক্ষা মিশনের কার্যক্রমের পরিধি ও চ্যালেঞ্জ; বিপিডব্লিউএন এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব উইমেন পুলিশের পরিচিতি ও আলোচনা এবং কর্মেক্ষেত্রে জেন্ডার সংবেদনশীলতা। আলোচনার পাশাপাশি বিপিডব্লিউএনের থিম সং ও এর ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয় এই সম্মেলনে৷