পাকিস্তানি সেনা-রঙ্গ

প্রথম পাকিস্তানি সেনা: আস্তে গাড়ি চালাও; আমার কোলের বোমাটি যেকোনো সময় ফাটতে পারে!
দ্বিতীয় পাকিস্তানি সেনা: চিন্তা কোরো না, গাড়ির পেছনে আরেকটা বোমা রাখা আছে।
পাকিস্তানি অফিসার: কমান্ড মানতে হবে; না হলে গুলি করে ঘিলু বের করে ফেলব!
পাকিস্তানি সেনা: তাই করেন, স্যার। ঘিলু ছাড়াও তো পাকিস্তানি আর্মিতে কাজ করা যায়।
পাকিস্তানি সেনা: স্যার, আপনি পথের মাঝে এভাবে শুয়ে আছেন যে?
পাকিস্তানি অফিসার: শুয়ে আছি কি সাধে? গুলি খেয়েছি! বাঁচার আশা শেষ।
পাকিস্তানি সেনা: হারামজাদা, তাই বলে পথ আটকে শুয়ে থাকতে হবে?
প্রথম পাকিস্তানি সেনা: মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়ে সবকিছু ভুলে যাচ্ছি। কীভাবে এ রোগ সারবে বলতে পারো?
দ্বিতীয় পাকিস্তানি সেনা: কবে থেকে সবকিছু ভুলে যাচ্ছ?
প্রথম পাকিস্তানি সেনা: কে ভুলে যাচ্ছে?
প্রথম পাকিস্তানি অফিসার: পাকিস্তানি আর্মি ট্রেনিংয়ে প্রথমে কী শেখানো উচিত বলে আপনি মনে করেন?
দ্বিতীয় পাকিস্তানি অফিসার: প্রথমেই শেখাতে হবে কীভাবে বিভিন্ন ভাষায় আত্মসমর্পণ করা যায়।
পাকিস্তানি সেনা: স্যার, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের ঘিরে ফেলেছে। আমরা কি এখন দৌড়ে পালাব?
পাকিস্তানি অফিসার: কী দরকার মরার আগে দৌড়ে ক্লান্ত হওয়ার!
প্রথম পাকিস্তানি সেনা: জিপগাড়িকে স্যালুট দিচ্ছ কেন?
দ্বিতীয় পাকিস্তানি সেনা: দেখছ না, ‘জেনারেল’ মোটরস!
পাকিস্তানি অফিসার: পাকিস্তানি সৈনিক হওয়ার আগে তুমি কী ছিলে?
পাকিস্তানি সেনা: টেনশন ফ্রি ছিলাম, স্যার।

পাকিস্তানি সেনা: স্যার, ফোরকানের পায়ে গুলি লেগেছে। ব্যথায় সে চেঁচাচ্ছে। পায়ের ব্যথা কীভাবে কমাব?
পাকিস্তানি অফিসার: ওর হাতে গুলি করো; তাহলে হাতের ব্যথার চোটে পায়ের ব্যথা ভুলে যাবে।
প্রথম পাকিস্তানি সেনা: ইনজামাম, আমার মনে হয় ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধারা ঢুকেছে। এই ইনজামাম, তুই কি জেগে আছিস?
দ্বিতীয় পাকিস্তানি সেনা: না।
পাকিস্তানি সেনা: দোস্ত, আমার মনে হয় একটা চশমা নিতে হবে। আমি তো কোনো মুক্তিযোদ্ধা দেখতে পাচ্ছি না।
মুক্তিযোদ্ধা: ঠিক বলেছিস, তোর চশমা লাগবে। তোর দোস্ত এখানে নেই। তুই এখন মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটিতে।

পাকিস্তানি কমান্ডার: মুনায়েম, তোমার হাতে কী?
মুনায়েম: বন্দুক, স্যার।
পাকিস্তানি কমান্ডার: না মুনায়েম, এটা বন্দুক নয়, এটা তোমার ইজ্জত, তোমার গর্ব, এটা তোমার মা হয়, মা! কামরান, তোমার হাতে কী?
কামরান: স্যার, এটা মুনায়েমের ইজ্জত, মুনায়েমের গর্ব, স্যার! আমার আন্টি হয়, আন্টি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তরুণ এক পাকিস্তানি পাইলটকে তার প্রশিক্ষক শিখিয়ে দিচ্ছিলেন, কী করে যুদ্ধবিমান নিয়ে উড্ডয়ন করতে হয়, কী করে মিসাইল ছুড়তে হয়, কীভাবে রাডার ফাঁকি দিতে হয় ইত্যাদি।
তরুণ পাইলট: কিন্তু, স্যার, আমি ল্যান্ড করব কীভাবে?
প্রশিক্ষক: ও নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না। সেটা বাংলাদেশি গেরিলারাই করিয়ে নেবে!
এক পাকিস্তানি জওয়ান গেছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। ব্যথা পাওয়ায় সে তার হাত দুটি মাথার ওপর তুলতে পারছিল না। ডাক্তার বললেন, ‘স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তুমি ফেল। কেননা আত্মসমর্পণের সময় তুমি হাত তুলতে পারবে না।’
পাকিস্তানি সেনা: স্যার, আমাদের জামশেদ একটা বুলেট গিলে ফেলেছে। এখন কী করব?
পাকিস্তানি অফিসার: আপাতত ওকে সাবধানে রাখো, কারও দিকে তাক কোরো না যেন!
পাকিস্তানি কমান্ডার: মার্চ অন!
পাকিস্তানি সেনা: স্যার, সামনে মুক্তিযোদ্ধারা ওত পেতে আছে। এগিয়ে যেতে ভয় করছে।
পাকিস্তানি কমান্ডার: ভয় লাগলে আমার মতো চোখ বন্ধ করে এগিয়ে যাও।
প্রথম পাকিস্তানি সেনা: দুশ্চিন্তায় দুদিন কিছু খেতে পারছি না! সিকি রুপি ধার হবে?
দ্বিতীয় পাকিস্তানি সেনা: দুই দিন খাওনি! কিন্তু সিকি রুপিতে তো খাবার তেমন কিছুই হবে না!
প্রথম পাকিস্তানি সেনা: খাবারের জন্য না। দেখতে চাই, টেনশনে ওজন কতটুকু কমেছে।
প্রথম পাকিস্তানি সেনা: ওই, নাক ডেকে ঘুমাচ্ছ কেন?
দ্বিতীয় পাকিস্তানি সেনা (জেগে): কে বলল নাক ডাকছিলাম?
প্রথম পাকিস্তানি সেনা: নিজের কানে শুনলাম!
দ্বিতীয় পাকিস্তানি সেনা: মনে নেই, স্যার বলেছেন, শোনা কথা বিশ্বাস না করতে।
পাকিস্তানি অফিসার: এই নোটের ভাঙতি আছে?
পাকিস্তানি সেনা: আছে, ইয়ার।
পাকিস্তানি অফিসার: অফিসারের সঙ্গে তুমি এই সম্বোধনে কথা বলতে পারো না। আবার বলো, এই নোটের ভাঙতি আছে?
পাকিস্তানি সেনা: না, স্যার।
পাকিস্তানি অফিসার: অ্যাটাক!
পাকিস্তানি সেনা: সরি, স্যার। এখন তো রাত! ওভারটাইম করার মতো অ্যানার্জি নাই।
পাকিস্তানি অফিসার: খামোশ! পরাজয়ের কথা শুনে আমার মাথায় আগুন জ্বলছে।
পাকিস্তানি সেনা (মনে মনে): তাই তো বলি, কোথা থেকে ঘুঁটে-পোড়ার গন্ধ আসছে!
প্রথম পাকিস্তানি সেনা: খাবারে এত মাছি এল কোত্থেকে?
দ্বিতীয় পাকিস্তানি সেনা: আমিও তো অবাক হচ্ছি! স্যার তো বলেছিল, এটা ‘নো ফ্লাই জোন’।
বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে গুলিবিনিময়কালে একবার সব পাকিস্তানি সেনা দৌড়ে পালাতে লাগল। হতভম্ব জেনারেল চিত্কার করে বললেন, ‘তোমরা দৌড়াচ্ছ কেন?’
‘কেন আবার? গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে!’