পুরস্কার পেল বাংলাদেশের চার ছবি

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত কিওক্সিয়া এক্সেলেন্স (ExceLENS) পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশের তিন আলোকচিত্রীর চারটি ছবি। বাংলাদেশি তিন আলোকচিত্রী হলেন পিনু রহমান, সুলতান আহমেদ ও রাকিবুল আলম খান।

‘ড্রোন’ শাখায় সুলতান আহমেদের তোলা এই ছবিটি প্রথম হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতাটির আয়োজক কিওক্সিয়া হোল্ডিংস করপোরেশন। জাপানের ইলেকট্রনিক ও প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তোশিবা নাম পরিবর্তনের পর যে তিনটি কোম্পানি গঠন করে, কিওক্সিয়া হোল্ডিংস তারই একটি। আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার কারিগরি সহায়তায় ছিল আইএসডি (ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক ডায়ালগ) গ্লোবাল।

আরও পড়ুন
‘জীবনযাপন’ শাখায় বিজয়ী পিনু রহমানের তোলা ‘লস্ট চাইল্ডহুড’
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সময় ৭ জুন রাত আটটায় দুবাইয়ের ইতিহাদ জাদুঘরে প্রতিযোগিতার ফল ঘোষণা করা হয়। প্রতিযোগিতার ‘জীবনযাপন’ শাখায় বিজয়ী হয়েছে পিনু রহমানের তোলা ‘লস্ট চাইল্ডহুড’। যে ছবিতে শিশুশ্রমের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। ‘ভ্রমণ’ শাখায় রানারআপ হয়েছে তাঁরই আরেকটি ছবি। এ ছবিতে দেখা যায়, নৌকায় বসে শাপলা ফুল তুলছে কিশোরী। ‘ড্রোন’ শাখায় বিজয়ী হয়েছে সুলতান আহমেদের তোলা হাতি ও এক কিশোরের ছবি। এ ছাড়া ‘পিপল’ শাখায় রানারআপ হয়েছে রাকিবুল আলম খানের তোলা মা-সন্তানের একটি ছবি।

রাকিবুল আলম খানের তোলা এই ছবিটি ‘পিপল’ শাখায় রানারআপ হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

আইএসডি গ্লোবালের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতার এবারের আসরে স্থাপত্য, শিল্পকলা, খাদ্য, অটোমোবাইলসহ ১৫টি শাখা ছিল। এসব শাখায় বিশ্বের প্রায় ৭ হাজার আলোকচিত্রীর ৩৯ হাজারের বেশি ছবি জমা পড়ে। এর মধ্যে বিচারকের মনোনয়ন পায় ৭৫টি ছবি। তারপর চূড়ান্ত পর্বে ‘উইনার’ ও ‘রানারআপ’ হিসেবে ৩০টি ছবি পুরস্কার পায়।

পিনু রহমানের এই ছবিটি ভ্রমণ’ শাখায় রানারআপ হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

পিনু রহমান বলেন, ‘দুবাইয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আমি পুরস্কার গ্রহণ করেছি। আমাদের ছবিগুলো নিয়ে প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়েছিল।’