
সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা ৯৭ থেকে ৯৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। একটু ওঠানামা করে বটে, তবে তার কিছু কারণও থাকে। যেমন সকালের তুলনায় রাতে শরীরের তাপমাত্রার পার্থক্য হতে পারে। ধরা যাক থার্মোমিটারে শরীরের তাপমাত্রা দেখা গেল ৯৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তাহলে কি আমার জ্বর হলো? ডাক্তার দেখাতে হবে? ওষুধ খাব? খুবই স্বাভাবিক প্রশ্ন। কতটা জ্বর এলে জ্বর? এ বিষয়ে কয়েকটি তথ্য বিবেচনায় রাখা যেতে পারে।
১. যদিও সামান্য বেশি তাপমাত্রা কোনো রোগের পূর্বলক্ষণ হতে পারে, কিন্তু অন্য কিছু কারণেও সাময়িকভাবে তাপমাত্রা বাড়ে। ৯৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রাকে সাধারণত জ্বর বলে ধরা হয় না। জার্মান চিকিত্সক কার্ল রিইনহোল্ড অগাস্ট উন্ডারলিখ ১৮৬৮ সালে হিসাব-টিসাব করে দেখিয়েছিলেন, সুস্থ অবস্থায় শরীরের স্বাভাবিক গড় তাপমাত্রা হলো ৯৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। থার্মোমিটারে লাল দাগে সেটাই দেখানো হয়।
২. দিনের তুলনায় মাঝরাতের দিকে প্রায় ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা থাকে, এ কথা বলেছেন শরীরের তাপমাত্রা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ম্যাথিউ ক্লুগার। তাঁর মতে, তাপমাত্রা সামান্য বাড়লে গতি বাড়ে, ফলে দেহের প্রতিরোধী প্রতিক্রিয়াও বাড়ে।
৩. খাওয়ার সময় তাপমাত্রা বাড়ে, ব্যায়াম করলে, নারীদের ডিম্বস্ফোটনের সময়; এমনকি ২০০১ সালে পরিচালিত জাপানি এক জরিপে জানা গেছে, আবেগজনিত স্নায়ুচাপেও তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
৪. চিকিত্সকদের মতে, বয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক গড় তাপমাত্রা একটু কম থাকে। যেখানে একজন তরুণের ৯৯ ডিগ্রি কিছুই না, সে তুলনায় একজন বয়স্ক মানুষের ওই তাপমাত্রা হয়তো জ্বরের লক্ষণ বলে ধরা যায়।
৫. কারও জন্য স্বাভাবিক তাপমাত্রা যা-ই হোক না কেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ১০০ দশমিক ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে জ্বরের লক্ষণ এবং অসুস্থতার প্রকাশ বলে ধরে নেওয়া হয়। আর যদি ১০৪ ডিগ্রির ওপরে উঠে যায়, তাহলে ডাক্তার দেখাতে হবে।
সূত্র: নিউইয়র্কটাইমস/সায়েন্সটাইমস, ১২ মে, ২০১৫