প্রিয় বড় বোন

ভুল বুঝে তুমি দিব্যি আছ, বেশ আছ। তোমার ধারণার যথার্থতা যাচাই করার প্রয়োজনটুকুও তুমি বোধ করোনি। মিথ্যে ধারণা নিয়েই তুমি যথেষ্ট ভালো আছ। আর তোমার এভাবেই থাকা উচিত। কারণ, তুমি সেটার জন্যই মানানসই। আমিও দিব্যি আছি, বেশ ভালোই আছি তোমাকে ছাড়া। মাঝপথে হাত ছেড়ে দিয়ে চলে গেলে। তোমায় ছাড়া নতুন করে পথ চলাটা হয়তো সহজ হবে না; তবে অবশ্যই, অসম্ভব নয়।

তুমি যখন ছিলে না, আমি বেঁচে ছিলাম, তুমি না থাকলেও আমি থাকব। ভালো থেকো, স্বপ্নের রাজকুমার।

নাবিলা জাহান, ঢাকা

জমাট রক্তের মতো গাঢ় অন্ধকার মেসের কোণে চুপচাপ বসে কল্পনা করি, সেদিন তোমার সঙ্গে শেষ দেখা আর প্রথম কথা। তোমার চোখের দিকে তাকাতে পারছিলাম না আমি। ঘাড় গুঁজে হেরে যাওয়া আমি তোমার শব্দগুলো শুনেছি শুধু। চোখ চাইছিল নদী বইয়ে দিতে। আমি বুকে দীর্ঘশ্বাস চেপে রেখেছি। তুমি তো চাইলে পারতে ফিরে আসা আমিটাকে পেছন থেকে আঁকড়ে ধরতে। ভেজা চোখ দুটো মুছে হাসিমুখ এঁকে দিতে। কিংবা তুমি চাইলে গল্পটা এমনো হতে পারত, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তুমি এলে মায়াবী চোখে কাজল মেখে। আমার বেলি ফুলের মালা ধরে রাখা কাঁপা হাত। তুমি হাসিমুখে পাশে বসলে। হয়তো জগতের সমুদয় সৌন্দর্য তখন হিংসা করে বলত, এত সুন্দর কেন তুমি?

কিন্তু শেষ হলো একতরফা ট্র্যাজেডি দিয়ে। রাস্তার প্রতিটি ধূলিকণা আমার কান্না দেখেছে, তুমি দেখনি। আজও বসি সেই জায়গাতে গিয়ে। যেখানে তোমার সঙ্গে আমার প্রথম ও শেষ কথা হয়েছিল।

রিফাত খান

বর্তমানে পাশাপাশি থেকেও অনেক সময় দুজন দুজনকে চেনা অসম্ভব হয়ে যায়। কী অদ্ভুত, তাই না! সেখানে ভার্চ্যুয়াল জগতে আমি তোকে কতটা চিনতে পেরেছি, সেটা একমাত্র তুই ভালো জানিস। আসলে একটা জীবনে খুব বেশি বন্ধু বা বোনের মতো সম্পর্কের প্রয়োজন হয় না, হাতে গোনা কয়েকজন কাছের মানুষ থাকলেই চলে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, সে রকম একটা মানুষকে খুঁজে পাওয়া। আমার মনে হয় সেই মানুষটাই সবচেয়ে একা, যে নিজেকে প্রকাশ করার মতো কাউকে খুঁজে পায় না। তোর সঙ্গে সম্পর্কটা দূরত্বেই গাঢ় হয়ে উঠছে। বান্ধবী থেকে বোনের জায়গা দখল। তবে অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, তোর সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও খুনসুটি, মায়া, ভালোবাসা নিজের বোনের মতোই কাজ করে। ব্যস্ততার কারণে আগের মতো কথা হয়তো হয় না। তবে ভালোবাসা ঠিক আগের মতোই আছে, প্রিয় সুমু আপু।

মো. আব্বাস উদ্দিন, পার্বতীপুর, দিনাজপুর