ফটিকছড়ি মাতিয়ে গেলেন কুদ্দুস বয়াতি

‘মন আমার দেহ ঘড়ি’ গানের কল্যাণে দেশজোড়া খ্যাতি পেয়েছিলেন। তিনি আবদুল কুদ্দুস বয়াতি। বড় বড় চুল দুলিয়ে বিশেষ ভঙ্গিতে গান করেন নেত্রকোনার এই বাউল শিল্পী। সেই বিখ্যাত ভঙ্গিটি এবার সরাসরি দেখার সুযোগ পেল ফটিকছড়িবাসী।
৬ মার্চ ফটিকছড়ির নারায়ণহাট আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) জনসভা শেষে তিনি দর্শক–শ্রোতাদের গান শুনিয়ে ভাসালেন প্রাণের উচ্ছ্বাসে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি সাংসদ মঈন উদ্দীন খান বাদল।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরু হয় কুদ্দুস বয়াতিকে দিয়ে। জায়গাটা ফটিকছড়ি। আর কুদ্দুস বয়াতিও সে কারণে ভান্ডারি গান দিয়েই পরিবেশন করেন। কয়েক ঘণ্টার পরিবেশনায় দর্শককে যেন মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখলেন তিনি। পরম্পরা মেনে করলেন বাউলগান, পালাগান এবং ময়মনসিংহ গীতিকার গান। হালে জনপ্রিয়তা পাওয়া গানগুলোও বাদ গেল না। স্বকীয় ঢং ও উপস্থাপনের কারণে কুদ্দুস বয়াতির গান দ্রুত শ্রোতার মন জয় করে। আসর জমাতে তাঁর তুলনা নেই। দর্শকদের ঘোর তৈরি হয় তাঁর গান শুনে। সবাই কমবেশি বুঝতে পারেন তাঁর গান শোনা নয় কেবল, দেখারও জিনিস।
‘আমার যমুনার জল দেখতে কালো, চান করিতে লাগে ভালো’, ‘শুয়া উড়িল উড়িল জীবের-জীবন’, ‘স্বামী আর স্ত্রী বানাইছে কোন মিস্ত্রি?’ কিংবা ‘একদিন মাটির ভিতর কে বানাইল ঘর’ জনপ্রিয় এই গানগুলো যখন গাইছিলেন কুদ্দুস বয়াতি তখন দর্শকেরাও গলা মিলিয়েছেন তাঁর সঙ্গে। ‘মন আমার দেহ ঘড়ি’ কিংবা বাউল আবদুল করিমের ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’ এই গানগুলো গেয়ে আসর জমিয়ে তুলেছিলেন আগেই। জমজমাট আসরে শ্রোতার উল্লাস আর করতালিও শিল্পীকে ভালোবাসায় সিক্ত করেছে।