>ঈদের ছুটি শেষ। গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরে আসছে মানুষ। ফিরতি পথে অনেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখছে। নিজে ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখতে লিখতে অন্যের স্ট্যাটাসের খোঁজখবর নিয়েছেন সঞ্জয় সরকার
সরকারদলীয় রাজনীতিবিদ
গ্রামের মানুষগুলোকে ছেড়ে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তারা আমাকে এতটা ভালোবাসে কেন নিজেও জানি না! এতটা ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য আমি নই। বর্তমান সরকারের কাজকর্মে গ্রামবাসী সন্তুষ্ট। ভবিষ্যতেও তারা আমাদেরই চায়।
বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ
গ্রাম ছেড়ে এবার যেতেই ইচ্ছে করছে না। এলাকার মানুষের কষ্ট দেখে আমি সত্যিই মর্মাহত। এই সরকারের আমলে এলাকার কোনো মানুষই শান্তিতে নেই। ঢাকায় গিয়েই দলের বাকিদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসব। এভাবে দেশ চলতে পারে না!
বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী
মা, মা, আজ আমি তোমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি, মা! আমার খুব কষ্ট হচ্ছে, মা! তুমি ভালো থেকো, মা। চৌধুরী সাহেবখ্যাত ‘সেমিস্টার ফাইনাল’ শেষে আমি আবার তোমার কোলে ফিরে আসব, মা। কথা দিলাম।
ফেসবুক সেলিব্রিটি
একটা সময় আসে যখন সবকিছু থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হয়। চোখ-মুখ বন্ধ করে ‘না’ বলতে হয়। অতীতকে অতীতের মতো থাকতে দিতে হয়। বর্তমানকে বর্তমানের মতো চলতে দিতে হয়। প্রিয় বন্ধুরা, আজ বর্তমানের টানে ফিরে যাচ্ছি আমার প্রিয় কর্মস্থলে, যে কর্মস্থল আমাকে মাসে সিক্স ডিজিট স্যালারি দেয়।
টিভি সিরিয়াল আসক্ত দর্শক
ইশ্! বাড়ি থেকে আসতে ইচ্ছেই করছিল না। আজকে আমার প্রিয় সিরিয়ালের মহাপর্ব দেখাবে। ওকে বললাম, একবারে মহাপর্ব দেখে বাসায় যাই। রাজি হলো না! এদিকে বাসায় পৌঁছাতে কতক্ষণ লাগবে ঠিক নাই। কী যে করি!
রাশভারী প্রাবন্ধিক
দেশ নিয়ে রাজনীতিবিদদের নাকি চিন্তার শেষ নাই! কিন্তু মহামান্য রাজনীতিবিদবৃন্দ, আপনারা কি ভুলে গেছেন গ্রাম দেশের বাইরে নয়? গ্রামের উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন করবেন কীভাবে? এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিরোধী দলও দেখি নীরব। আপনারা কি এর মধ্যেই ভেবে নিয়েছেন আগামী নির্বাচনে জিততে চলেছেন? গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান। না হলে নির্বাচনে জেতার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।
রস+আলোর লেখক
যাক, একটা আইডিয়া অন্তত পেলাম! এটা লিখেই এই সংখ্যাটা চালিয়ে দেওয়া যাবে।