ফেলনা নয় কচুর লতি

চিংড়ি দিয়ে রান্না কচুর লতির তরকারির স্বদের তুলনা হয় না। অনেকে চিংড়ির সঙ্গে নারকেলও দেন। খেতে মালাইকারির চেয়ে কোনো অংশে খারাপ নয়। এ ছাড়া ছুরি, ফাঁইস্যা, লইট্টা বা চিংড়ি শুঁটকি দিয়ে রান্না কচুর লতিও অতুলনীয়। এত স্বাদের এই সবজিটির গুণাগুণ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। আর অভিজাত সবজির ভিড়ে কচুর লতিরও যেন স্থান নেই। অথচ পুষ্টিগুণে অনন্য এই সবজি।
কচুর লতিতে প্রচুর আঁশ, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, লোহা, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি রয়েছে। কচুর আঁশ দেহ থেকে বর্জ্য বের করে দেয়, খাবার হজমে সাহায্য করে। যাঁরা দ্রুত ওজন কমাতে চান তাঁরা কচুর লতি খেতে পারেন। মুখি বা কচুর চেয়ে লতিতে শর্করার পরিমাণ কম। ফলে যারা শর্করা পরিহার করে চলেন তাঁরা কচুর লতি খেতে পারেন। কচুর লতির ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠন শক্ত করে। এ ছাড়া এতে থাকা আয়োডিন ও ভিটামিন বি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ভালো রাখে ত্বক আর চুল। কচুর লতিতে থাকা ভিটামিন সি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। কচুর লতিতে আছে প্রচুর লোহা। যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন কচুর লতি তাঁদের জন্য ভালো পথ্য হতে পারে।

লেখক, প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল