বর্ণিল সাকরাইন

ঘুড়ির প্রচলিত নাম ঘুড্ডি। ঘুড্ডি ওড়াতে হলে আগের দিনে সুতায় মাঞ্জা দেওয়া হতো।

এ জন্য ব্যাপক প্রস্তুতির দরকার পড়ত। তবে বর্তমানে ব্যাপারটা সহজ।

এখন আর মাঞ্জা দেওয়ার দরকার পড়ে না,চীন থেকে মাঞ্জা দেওয়া সুতা আসে।

বাকি শুধু নাটাই। চীন দেশের সুতা এবার নাটাইয়ে পেঁচিয়ে নিলেই হলো।

চিৎকার করে গলা ফাটানো অবস্থা তৈরি হবে—ভোকাট্টা লোট!

অবশ্য সুতায় মাঞ্জা দেওয়ার প্রস্তুতির যে উত্তেজনা, তা এখন পাওয়া যায় না।

তবে সাকরাইন তো আছে। আসবে প্রতিবছর। পৌষের শেষ দিনে, অর্থাৎ মকরসংক্রান্তি নামের যে উৎসব দক্ষিণ এশিয়ায় পালিত হয়, তার ঢাকাই নাম সাকরাইন।

আসলে সংক্রান্তি শব্দটিই লোকমুখে সাকরাইন হয়ে গেছে। উৎসবটি মূলত এখন সর্বজনীন হয়ে গেছে। এদিন পুরান ঢাকার প্রায় সব বাড়ির ছাদে দিনভর চলে ঘুড়ি ওড়ানো আর কাটাকাটির খেলা।

সঙ্গে নাচ-গান আর শীতের পিঠাপুলি খাওয়া তো চলেই সারা দিন। সবশেষে সন্ধ্যায় শুরু হয় আতশবাজি আর কেরোসিন মুখে নিয়ে আগুনের হল্কা ছোড়ার কসরত।

এবারের সাকরাইন উৎসব হয়ে গেল ১৪ জানুয়ারি। তারই কিছু ছবি নিয়ে এ আয়োজন।