বর্ণিল সাকরাইন

পৌষসংক্রান্তির এ উৎ​সবে সবার হাতেই থাকে ঘুড়ি
পৌষসংক্রান্তির এ উৎ​সবে সবার হাতেই থাকে ঘুড়ি

ঘুড়ির প্রচলিত নাম ঘুড্ডি। ঘুড্ডি ওড়াতে হলে আগের দিনে সুতায় মাঞ্জা দেওয়া হতো। 

ঘুড়ি থাকে অনেক রকম
ঘুড়ি থাকে অনেক রকম

এ জন্য ব্যাপক প্রস্তুতির দরকার পড়ত। তবে বর্তমানে ব্যাপারটা সহজ। 

ঘুড়ি থাকে অনেক রকম
ঘুড়ি থাকে অনেক রকম

এখন আর মাঞ্জা দেওয়ার দরকার পড়ে না,চীন থেকে মাঞ্জা দেওয়া সুতা আসে। 

ঘুড়ি থাকে অনেক রকম
ঘুড়ি থাকে অনেক রকম

বাকি শুধু নাটাই। চীন দেশের সুতা এবার নাটাইয়ে পেঁচিয়ে নিলেই হলো। 

ফানুস ওড়ানোর প্রস্তুতি
ফানুস ওড়ানোর প্রস্তুতি

চিৎকার করে গলা ফাটানো অবস্থা তৈরি হবে—ভোকাট্টা লোট!

সাকরাইনের রাতে আতশবাজি
সাকরাইনের রাতে আতশবাজি

অবশ্য সুতায় মাঞ্জা দেওয়ার প্রস্তুতির যে উত্তেজনা, তা এখন পাওয়া যায় না।

যুগের হাওয়া—লেজার রশ্মির খেলা
যুগের হাওয়া—লেজার রশ্মির খেলা

তবে সাকরাইন তো আছে। আসবে প্রতিবছর। পৌষের শেষ দিনে, অর্থাৎ মকরসংক্রান্তি নামের যে উৎসব দক্ষিণ এশিয়ায় পালিত হয়, তার ঢাকাই নাম সাকরাইন।

আকাশে ঘুড়ির ওড়াউড়ি
আকাশে ঘুড়ির ওড়াউড়ি

আসলে সংক্রান্তি শব্দটিই লোকমুখে সাকরাইন হয়ে গেছে। উৎসবটি মূলত এখন সর্বজনীন হয়ে গেছে। এদিন পুরান ঢাকার প্রায় সব বাড়ির ছাদে দিনভর চলে ঘুড়ি ওড়ানো আর কাটাকাটির খেলা।

সুতায় এখন মাঞ্জা দেওয়াই থাকে, নাটাইয়ে লাগিয়েই শুরু হবে ঘুড়ি ওড়ানো
সুতায় এখন মাঞ্জা দেওয়াই থাকে, নাটাইয়ে লাগিয়েই শুরু হবে ঘুড়ি ওড়ানো

সঙ্গে নাচ-গান আর শীতের পিঠাপুলি খাওয়া তো চলেই সারা দিন। সবশেষে সন্ধ্যায় শুরু হয় আতশবাজি আর কেরোসিন মুখে নিয়ে আগুনের হল্কা ছোড়ার কসরত।

সুতায় এখন মাঞ্জা দেওয়াই থাকে, নাটাইয়ে লাগিয়েই শুরু হবে ঘুড়ি ওড়ানো
সুতায় এখন মাঞ্জা দেওয়াই থাকে, নাটাইয়ে লাগিয়েই শুরু হবে ঘুড়ি ওড়ানো

এবারের সাকরাইন উৎসব হয়ে গেল ১৪ জানুয়ারি। তারই কিছু ছবি নিয়ে এ আয়োজন।