বাইরে সুনসান, ভেতরে সরব কুয়েট

দূর থেকেই চোখে পড়ে ‘দুর্বার বাংলা’
ছবি: সাদ্দাম হোসেন

বেলা সোয়া ১১টায় ক্যাম্পাসে পা রেখে প্রথমেই মনে হলো, ‘এই যা! আজকে ছুটি নাকি!’

কিন্তু সোমবার তো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কথা না। তা ছাড়া খোঁজখবর নিয়েই তো এসেছি। কিন্তু প্রধান ফটক পেরিয়ে কিছু দূর এগিয়েও যখন একজন শিক্ষার্থীরও দেখা পেলাম না, একটু দুশ্চিন্তাই হলো। মূল শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) আসাটা কি বৃথা গেল?

নীরব ক্যাম্পাসে পাখির ডাক আর গাছের পাতা পড়ার শব্দ ছাড়া কিছুই কানে আসছিল না। প্রশাসন ভবনে জনসংযোগ কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে পেয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম। তিনি জানালেন, সকাল আটটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত টানা ক্লাস। শিক্ষার্থীরা সবাই ক্লাসে। অতএব একটার আগে কারও সঙ্গে কথা বলার সুযোগ নেই। খুব বড়জোর দুপুর সাড়ে ১২টার পর দু-একজনকে এদিক-ওদিক পাওয়া যেতে পারে।

রবিউল ইসলাম যে ঠিক কথাই বলেছেন, প্রমাণ পেলাম ঘণ্টাখানেক পর। ক্লাস থেকে বেরিয়েও শিক্ষার্থীদের ব্যস্ততার শেষ নেই। একাডেমিক ভবন থেকে আবাসিক হল, কিংবা এক ভবন থেকে আরেক ভবনে ছুটছিলেন একেকজন। এই ব্যস্ততার মধ্যেই পলক হোসেনের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হলো। তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। পলক বললেন, ‘১টা পর্যন্ত টানা ক্লাসের পর এক ঘণ্টার বিরতি। এরপর শুরু হয় ল্যাব। চলে বিকেল পর্যন্ত। এ কারণে শিক্ষার্থীরা সাধারণত আড্ডা দেওয়ার সুযোগ পান না। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেমন প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যায়, এখানে তেমন সুযোগ নেই। বিকেলের দিকে হয়তো কিছু শিক্ষার্থীকে আড্ডা দিতে দেখবেন, সেটাও কোনো না কোনো একাডেমিক বিষয় নিয়ে।’ পলক জানালেন, ক্লাসে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। এই উপস্থিতির হার নিশ্চিত না হলে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয় না। তা ছাড়া একটা ক্লাস বাদ পড়লেই অনেক পিছিয়ে যেতে হয়। তাই শিক্ষার্থীরা কেউ ক্লাস মিস দিতে চান না।

আড্ডার সুযোগ এখানে খুব একটা মেলে না
ছবি: সাদ্দাম হোসেন

যন্ত্রকৌশলের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ত্বহা আল কাদির বলেন, ‘ক্লাস মিস গেলেও অবশ্য সহপাঠীদের কাছ থেকে পড়া বুঝে নেওয়া যায়। এই দিক থেকে আমাদের সবার মধ্যে খুব ভালো বোঝাপড়া আছে। সবাই সবাইকে যতটা সম্ভব সাহায্য করতে চেষ্টা করে। এমনকি যে বড় ভাই-আপুরা পাস করে বেরিয়ে গেছেন, তাঁদের কাছেও সাহায্য চাইলে পাওয়া যায়।’

কুয়েটের ভেতরে রাস্তা বেশ চওড়া। দুই পাশে কংক্রিটের ফুটপাত। ফুটপাতের পরেই ঘন সবুজ ঘাসের স্তর, নানা গাছের সারি। ইংরেজি ‘এস’ আকৃতির রাস্তাটি ধরে কিছু দূর এগোলে ডান পাশে শহীদ মিনার, বাঁয়ে খানজাহান আলী হল। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। মাঠ পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু চত্বর ও মিলনায়তন। দূর থেকেই চোখে পড়ে ‘দুর্বার বাংলা’। এই ভাস্কর্য, পদ্ম পুকুর, ভবন—সব মিলিয়ে পরিবেশটা ভারি সুন্দর।

একনজরে কুয়েট

১৯৬৭ সালে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলনা প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯৮৬ সালে প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়কে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (বিআইটি) রূপান্তর করা হয়। পরে ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর এটিই হয়ে যায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)।

এখন কুয়েটের আয়তন ১১৭ দশমিক ৩০২ একর। ইনস্টিটিউট আছে ৩টি—তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশ ও জ্বালানি প্রযুক্তি। এ ছাড়া পুরকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল এবং যন্ত্রকৌশলের অধীনে মোট ২০টি বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে। শিক্ষক আছেন ৩৬৮ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ হাজার ২৬ জন। ছেলেদের জন্য ছয়টি ও মেয়েদের জন্য একটি আবাসিক হল আছে। রয়েছে ৪০টি পরীক্ষাগার ও একটি ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব।

ফ্যাব ল্যাব

শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উদ্ভাবনী চিন্তাকে বাস্তবে কাজে লাগাতে সাহায্য করছে কুয়েটের ফ্যাব ল্যাব। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ল্যাবটিতে বিনা মূল্যে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন শিক্ষার্থীরা।

দুপুর ১২টায় ল্যাবে গিয়ে দেখা যায়, রোবটের কিছু যন্ত্রপাতি তৈরি করছেন আকাশ আহমেদ। যন্ত্রকৌশল বিভাগে চতুর্থ বর্ষে পড়েন তিনি। আকাশ বলেন, ‘ল্যাবে যেকোনো ছোটখাটো ডিভাইসের কাজ স্বাচ্ছন্দ্যে করা যায়। মাথায় যেসব উদ্ভাবনী চিন্তা আসে, সেগুলোই ল্যাবের যন্ত্রপাতি কাজে লাগিয়ে আমরা বাস্তব রূপ দিতে চেষ্টা করি। থ্রি-ডি প্রিন্টারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকায় কাজ অনেক সহজ হয়ে গেছে। আগে যেসব কাজ হাতে করতে হতো, এখন ল্যাবের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে সূক্ষ্মভাবে করা যায়।’

আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকায় কাজ অনেক সহজ হয়ে গেছে
ছবি: সাদ্দাম হোসেন

ফ্যাব ল্যাবের ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন সাকলাইন মোস্তাক। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ফ্যাব ল্যাব থেকে প্রাথমিক গবেষণার ভিত্তি পাচ্ছে। এখানে ওরা নিজেদের মতো কাজ করতে পারে। আগে এগুলো করতে ঢাকা, কিংবা কখনো কখনো বিদেশের ওপরও নির্ভর করতে হতো। এখন শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্যাম্পাসের ল্যাবে বসেই সব কাজ করতে পারছে।’

দেশের গণ্ডি পেরোনোর অপেক্ষায় ২ প্রকল্প

‘কুয়েট মার্স রোভার’ ও ‘কিলো ফ্লাইট আলফা’ নামের দুটি প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন দুই শর বেশি শিক্ষার্থী। মঙ্গল গ্রহের অভিযানে রোবট পাঠানোর প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কুয়েট মার্স রোভার নামের রোবটটি তৈরি করেছে ‘কুয়েট দুর্বার’ নামের একটি দল। এই দলের সদস্য ৫০ জনের বেশি। আর কিলো ফ্লাইট আলফা নামের একটি রেসিং কার তৈরি করেছে ‘কিলো ফ্লাইট’। এই দলের সদস্য সংখ্যা প্রায় দেড় শ। পাটের আঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে রেসিং কারটির বডি।

চলছে রেসিং কার তৈরির কাজ
ছবি: সাদ্দাম হোসেন

আগামী জুলাই ও আগস্ট মাসে ভিনদেশি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অপেক্ষায় আছে এই দুই প্রকল্প। তাই শিক্ষার্থীরা ভীষণ ব্যস্ত। পাশাপাশি বিদেশে যাওয়ার খরচ নিয়েও তাঁরা উদ্বিগ্ন। সময় প্রায় শেষ হয়ে এলেও এখনো কোনো দলই পৃষ্ঠপোষক (স্পনসর) জোগাড় করতে পারেনি। তাই প্রতিযোগিতার প্রস্তুতির পাশাপাশি অন্য চ্যালেঞ্জও তাঁদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

রোবট নিয়ে কাজ করার জন্য প্রায় তিন বছর আগে গঠন করা হয়েছিল কুয়েট দুর্বার। এটিই কুয়েটে প্রথম রোভার দল। মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রোবট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্যই দলটি গঠন করা হয়। আগামী জুলাই মাসে তুরস্কে অনুষ্ঠেয় রোভার চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে ‘কুয়েট রোভার মার্স’। গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত অনলাইনভিত্তিক প্রতিযোগিতায় বিশ্বের মধ্যে ১৯তম ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম হয়েছিল এই রোবট। তুরস্কে অনুষ্ঠেয় প্রতিযোগিতায় বিশ্বের মোট ১৪টি দেশ থেকে রোভার দল অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যাবে দুটি দল।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে
ছবি: সাদ্দাম হোসেন

দলনেতা নাজমুস সাদাত বলছিলেন, ‘এ ধরনের কাজ করতে গিয়ে সবার আগে যে সমস্যায় পড়তে হয়, তা হলো আর্থিক সমস্যা। নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে এত দূর এসেছি। এখন তুরস্কে গিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার খরচ তো আমাদের পক্ষে মেটানো সম্ভব নয়। রোবটটা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, সঙ্গে কয়েকজনকে যেতে হবে। আমরা স্পনসর পাওয়ার চেষ্টা করছি। না পেলে হয়তো যাওয়া হবে না।’

একই ধরনের সমস্যায় আছে টিম কিলো ফ্লাইটও। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত দলটিও রেসিং কার বানিয়েছে নিজেদের খরচে। খরচ জোগানোর স্বার্থেই দলের আকার বড় করতে হয়েছে। আগামী ৬-১০ জুলাই যুক্তরাজ্যে হবে রেসিং প্রতিযোগিতা। আর জার্মানিতে প্রতিযোগিতা হবে ১৫-২১ আগস্ট। দুই বছর আগে অনলাইনভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিশ্বে ৫০তম হয়েছিল কুয়েটের দল। গত বছর হয়েছে ৩৩তম। এবার যুক্তরাজ্য ও জার্মানিতে অনুষ্ঠেয় প্রতিযোগিতায় আরও ভালো কিছু করার প্রত্যাশা তাঁদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যাওয়া হবে তো?

না পাওয়ার আক্ষেপ

আবাসিক হল ঘুরে ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কুয়েটে আবাসন সংকট খুব বেশি। সাধারণত তৃতীয় বর্ষে ওঠার আগে হলে সিট পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বাইরের বিভিন্ন হলে থাকতে হয়। হলের ডাইনিংয়ে খাবার চলে মেস সিস্টেমে। কেউ যদি না খায়, তাঁকেও কিছু টাকা পরিশোধ করতে হয়। প্রতি মাসে হল থেকে ডিশ বিল, বিদ্যুৎ, পানি বিলসহ বিভিন্ন কারণে প্রায় ৫০০ টাকার মতো কেটে নেওয়া হয়। এই টাকা পরিশোধ করা অনেক শিক্ষার্থীর জন্যই চাপ হয়ে যায় বলে জানালেন কেউ কেউ।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকল্পভিত্তিক গবেষণার জন্য তেমন কোনো আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয় না বলেও জানালেন শিক্ষার্থীরা। তাই তাঁরা বড় কোনো প্রকল্প হাতে নিতে পারেন না। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসব ক্ষেত্রে যদি সার্বিক সহযোগিতা করা হতো, তাহলে আরও বেশি গবেষণালব্ধ উদ্ভাবন বেরিয়ে আসত।

২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছি

অধ্যাপক কাজী সাজ্জাদ হোসেন, উপাচার্য, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
ছবি: সাদ্দাম হোসেন

অধ্যাপক কাজী সাজ্জাদ হোসেন, উপাচার্য, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে একটি পরিপূর্ণ গবেষণাধর্মী, উদ্ভাবনী ও পরিবেশবান্ধব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠবে কুয়েট। গবেষণা খাতে সর্বোচ্চ বাজেট সংস্থান করা হবে। একটি বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ‘শেখ রাসেল রিসার্চ পার্ক’ তৈরির পরিকল্পনা আছে, যার মূল লক্ষ্য হবে টেকসই উদ্ভাবন ও বাস্তবধর্মী সমাধান। কুয়েট ক্যাম্পাসে রুফ গার্ডেন, সোলার প্যানেল স্থাপন করা হবে। গ্রে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট, শেয়ারড বাইসাইকেল রাইডের ব্যবস্থা থাকবে। ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছি। এই মাস্টারপ্ল্যানে পরিকল্পিত এবং বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক ও নান্দনিক ক্যাম্পাস তৈরির নির্দেশনা ও প্রস্তাবনা রয়েছে। যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আবাসিক হলের চাহিদা পূরণ, আন্তর্জাতিক মানের লাইব্রেরি সুবিধা প্রদান ইত্যাদি বিষয়ের উল্লেখ আছে। আমাদের প্রত্যাশা, এই মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও জ্ঞানার্জনের পথ প্রশস্ত হবে, ভবিষ্যতে যা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে কুয়েটকে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে যাবে।

বর্তমানে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের কার্যালয় এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ পরিচালকের কার্যালয় থেকে সীমিত আকারে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। তবে এই খাতে অবশ্যই বাজেট বাড়ানো প্রয়োজন। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।