বাঘ-সিংহের বন্ধুত্ব

.
.

সিংহ আর বাঘের সহাবস্থান বিরল। বরং জঙ্গলের রাজত্ব নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ হওয়াটাই স্বাভাবিক মনে হয়। কিন্তু জাপানের একটি সাফারি পার্কে খুদে দুই বাঘ-সিংহের সম্পর্কটা ব্যতিক্রমী। কারণ, তাদের ভাব গলায়-গলায়।
জাপানের ওতিয়া এলাকার ওই অভয়ারণ্যের নাম আফ্রিকান সাফারি পার্ক। বাঘ ও সিংহের দুই শাবককে সেখানে আলাদা করে রাখা কঠিন। পার্ক কর্তৃপক্ষ টুইটারে ওই দুই বন্ধুর কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, তারা পাশাপাশি ঘুমাচ্ছে, খেলছে। শুধু তাই নয়, খরগোশসহ অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গেও এদের সুসম্পর্ক।
এই দুই শাবকের কীর্তি অন্য কোনো বাঘ-সিংহ যে অতিক্রম করবে, সেই সম্ভাবনা কম। এই দুই প্রাণীর একসঙ্গে বংশবৃদ্ধির ঘটনাও বিরল। অবশ্য টাইগন এবং লাইগারের দৃষ্টান্ত কয়েকটা আছে। কোনো সংকর প্রাণীর বাবা সিংহ অথবা বাঘ হলে তাদের এমন নাম হয়। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে সম্প্রতি এমন একটি সংকর প্রাণী দেখানো হচ্ছে।
মড নামের বিরল একটি টাইগনের চামড়া ম্যানচেস্টারের বেল ভু চিড়িয়াখানায় গত বছর প্রদর্শন করা হয়। এটি ১৯৩০-এর দশক থেকে ১৯৪০-এর দশক পর্যন্ত বেঁচে ছিল।
জাপানের দুই বাঘ-সিংহশাবক প্রমাণ করেছে, ভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর মধ্যেও বন্ধুত্ব হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে একটি সিংহ, একটি বাঘ এবং একটি কালো ভালুকের মধ্যেও এমন সম্পর্কের নজির রয়েছে।