বাঘ ফিরিয়ে আনার উপায়

খবর: গত ৩০ জুলাই রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিশ্ব বাঘ দিবস-২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘সুন্দরবনের বাঘ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বেড়াতে গেছে।
জন্য বাঘের সংখ্যা কম পাওয়া গেছে। বাঘগুলো ফিরলে সংখ্যাও বাড়বে।’ (সূত্র: প্রথম আলো, ৩১ জুলাই ২০১৫)

.
.

* সুন্দরবনের ভেতর অবস্থানরত সব বাঘকে বিনা মূল্যে একটি করে স্মার্টফোন দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া যায়। এ ছাড়া পুরো সুন্দরবন এলাকা সম্পূর্ণ ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ের আওতায় আনতে হবে। এর ফলে বিনা মূল্য ইন্টারনেট চালানোর লোভে ওপারে বেড়াতে যাওয়া বাঘরা সুড়সুড় করে আবার দেশের বনে ফিরে আসবে। এই আকালের যুগে বিনা মূেল্য ইন্টারনেট চালানোর সুযোগ কে ছাড়তে চায়?
* ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের মতো সুন্দরবনে ‘একটি বাঘ একটি হরিণ’ নামে বিশেষ প্রকল্প চালু করতে হবে। সুন্দরবনে আজীবন অবস্থান করতে হবে, এই শর্তটি যেসব বাঘ মেনে নিতে পারবে, কেবল তারাই এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এই প্রকল্প চালু করলে বাঘেরা পড়িমরি করে দেশের বনে ফিরে আসবে।
* এক বিশিষ্ট ফেসবুকীয় কবি বলেছেন, ‘লাইকহীনা কে থাকিতে চায় এ সুন্দর ভুবনে?’ কবি যথার্থই বলেছেন। ফ্রি মেগাবাইটের এই যুগে লাইকবিহীন ফেসবুকার আর ঘাসবিহীন গরু সমান কথা! ওপারে চলে যাওয়া বাঘদের ফিরিয়ে আনার একটা ভালো উপায় হলো লাইক! ফেসবুকে বাঘদের অনেক লাইক দেওয়ার আশ্বাস দিলেই ঘরের বাঘ ঘরে ফিরে আসবে।

* গরু পাচারকারীদের গরুর বদলে ভারতে বেড়াতে যাওয়া বাঘগুলো ফিরিয়ে আনার কাজে ব্যবহার করতে হবে। এই বিদ্যায় পাচারকারীরা এতটাই পোক্ত যে বাঘদের একদম ঘোল খাইয়ে বাংলাদেশের মাটিতে এনে ফেলবে।