বিষে ভরা বিদেশিনী

২০ বছর আগে
আজকের শিশু আগামী দিনের স্বামী-স্ত্রী।
ব্যাপারটা বুঝলাম না।
আমার ছেলে আর তোর মেয়ে বড় হলে ওদের বিয়ে দেব। আমরা হব বেয়াই।


যখন তাঁদের বয়স ১০
তুমি তো বইয়ের কোনো পড়াই মনে রাখতে পারো না। কিছুদিন পরে আমাকে মনে থাকবে তো?
তোমার কথা ভাবতে ভাবতেই তো আমি সব পড়া ভুলে যাই।


যখন তাঁদের বয়স ২০
ইদানীং তুমি আমার কল রিসিভ করো না, পোস্টে লাইক-কমেন্টও দেখি না, মেসেজ সিন করে রেখে দাও। হয়েছেটা কী তোমার?
ইয়ে মানে, ইদানীং লেখালেখি নিয়ে খুব ব্যস্ত আছি তো...।


Angelina Jolie
Jolie, I love u soooo much!
Please come to my country.
Shakib, I love u too!
I am coming baby.


জোলি জোলি জোলি আমার, সোনা জোলি রে, ধইরা নিছি তুই আমার বউ হইলি রে...
অ্যাঁ, চৌধুরী পরিবারের সাথে প্রতারণা! খান পরিবারকে ভেঙে খান খান করে দেব!


কী বললি তুই? কী বললি...শাকিব বিদেশি এক মেয়ের সাথে নেচে বেড়াচ্ছে! এমন প্রতারণা ও করতে পারল আমাদের সাথে! ইক্...!
খান, তোর কারণে আমার বাবার আজ এই অবস্থা! শেম অন ইউ...!


ফলে দুই পরিবারের মধ্যে বাধল মুখোমুখি সংঘর্ষ
এতে হয়েছেটা কী, শুনি? এই বয়সে ছেলেরা এ রকম এক-আধটু করতেই পারে!
খামোশ! চুপ থাকো তুমি। এসব বোঝার বয়স তোমার এখনো হয়নি!
এক্সকিউজ মি, স্যার! ডোন্ট জাজ এ গার্ল বাই হার ফেস! এই দেখুন, তাঁর বার্থ সার্টিফিকেট।


এক পরিবারের সদস্য আরেক পরিবারকে করতে লাগল বর্জন। ফেসবুকে একে–অপরকে করে দিতে লাগল ব্লক...
ওই খান ফ্যামিলির সাথে আর কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না! আজকে থেকে ওদের আমরা বর্জন করলাম।
ফেসবুকে ওদের সব কটাকে ব্লক করে দিলাম।


এদিকে সুযোগ বুঝে সাইড নায়কের আবির্ভাব। অনেক দিন ধরে ফারিয়ার কাছে পাত্তা না পেয়ে জায়েদ আসে ভালোবাসা নিবেদন করতে...
ওহ্ ফারিয়া, আমি তোমাকে পেতে মরিয়া! আমি তোমাকে ভালোবাসি...ভালোবাসি...।
দূরে গিয়ে মরো! শাকিব আমার ভালোবাসা, শাকিব আমার পৃথিবী।

১০
আমি ডানাকাটা জোলি, আমি ডানাকাটা জোলি...
জোলি, থাকতে আমি ফারিয়ার কাছে কীভাবে গেলাম! শেম অন মি!
জোলির প্রেমে আমি জ্বলছি! আই লাভ ইউ, জোলি!

১১
তোমার জন্য মরতে পারি, ও সুন্দরী, তুমি গলার মালা...
যাহ্, কী যে বলো! মরতে হবে না, আমার থাকার ব্যবস্থা করে দাও।
ও, এই কথা? যাও, আমার গুলশানের ডুপ্লেক্স বাড়িটা আজ থেকে তোমার।

১২
তোমার জন্য নিয়ে আসব এক শ একটা নীলপদ্ম।
রাখো তোমার নীলপদ্ম। তোমাদের দেশে রিকশা পেতেই তো জান শেষ!
না প্রিয়া, না! এ হতে পারে না! এই নাও আমার গাড়ির চাবি। আজ থেকে এই গাড়ি তোমার।

১৩
কিন্তু কদিন বাদেই...
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আমার সব নিয়া ভাগছে। এই হৃদয়, সোনার গয়না, কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা—সব!
হ্যাঁ রে ভাই, ও আমার স্বপ্নের বাড়িটাও বেচে দিয়ে ভাগছে!
ওই মেয়ে আমাকে পথের ফকির বানিয়ে গেল রে। ও বিষে ভরা বিদেশিনী!

১৪
ও জোলি, ও জোলি, তুমি কোথায়...

১৫
ভাই রে, আজ নিজেরা একতাবদ্ধ থাকলে এমন দিন দেখতে হতো না!
যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে। এখন কি আমরা আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারি না? এটা কি একেবারেই অসম্ভব?

সমাপ্ত
কেন সম্ভব নয়? অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তের কাজ!

সংলাপ ও চিত্রনাট্য: মাসউদ ফোরকান, মাহবুব আলম, সঞ্জয় সরকার ও রাফি আদনান

চিত্রগ্রহণ: শিখা
পরিচালনা: মাহফুজ রহমান