ব্যস্ত ব্যবসায়ী রুবি

নিজের দোকানে রুবি কবির l ​ছবি: খালেদ সরকার
নিজের দোকানে রুবি কবির l ​ছবি: খালেদ সরকার

দারুণ দক্ষতায় কেবল ব্যবসা নয়, সংসারও সামলাচ্ছেন তিনি। সাত বছরের মেয়ে তাওশী এবার দ্বিতীয় শ্রেণিতে উঠল। তিন বছরের ছেলে তাইফকে স্কুলে ভর্তি করানো হবে এবার। ভোর ছয়টায় ঘুম থেকে উঠে নাশতা তৈরি করে বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যান। এরপর দোকানে চলে আসেন সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে। যেদিন ক্রেতা বা অন্যান্য ব্যস্ততা থাকে, বিকেল চারটা-পাঁচটা পর্যন্ত থাকেন দোকানেই। নইলে দেড়টা-দুইটার দিকে আদাবরের বাসায় ফিরে বাচ্চাদের খাওয়াদাওয়ার পর্ব সারেন। খানিক বিরতিতে বিকেলে আবার চলে আসেন দোকানে। এরপর সাড়ে ১১টা, কখনো ১২টা পর্যন্ত থাকেন দোকানে—এই হলো ব্যবসায়ী রুবি কবিরের দৈনন্দিন রুটিন।

হঠাৎ চলে এলেও কাজটা উপভোগ করছেন, বোঝা গেল কথাতেই, ‘ব্যবসা ভালোই লাগছে। ছেলেমেয়ে বলে কথা নয়; মনে করি, সাহস আর যোগ্যতা থাকলে যে-কেউ যেকোনো ব্যবসা করতে পারেন। অনেকে উৎসাহিত করে, কেউ আবার বাঁকা চোখেও দেখে। তবে সব ক্ষেত্রে মেয়েদের অংশগ্রহণ থাকলে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাবে।’

এক-দুই ধাপ করে বাড়ছে রুবির স্বপ্নের পরিধি। ভবিষ্যতে ব্যবসাটা তিনি দাঁড় করাতে চান আরও বড় কলেবরে।