ইফতারের সময় খাবারের টেবিলে ভাজাপোড়া খাবার থাকেই। তবে আগে থেকে ভেজে রাখলে অনেক সময় খাবার নরম হয়ে যায়। চলুন দীর্ঘ সময় কীভাবে খাবার মুচমুচে রাখা যায় জেনে নিই।
# পেঁয়াজু মুচমুচে রাখতে চাইলে ডাল পুরোপুরি বেটে নেওয়া যাবে না। আধভাঙা করে ডাল বেটে বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। ডাল মিহি করে পেস্ট করলে পেঁয়াজু নরম হয়ে যাবে।
# বেগুনির জন্য বেসনের যে মিশ্রণ তৈরি করবেন, তা অল্প অল্প পানি দিয়ে ভালোভাবে ফেটে নেবেন। দীর্ঘ সময় মুচমুচে রাখার জন্য সামান্য বেকিং সোডা আর তেল বেসনের মিশ্রণে মিশিয়ে নেবেন।
# জিলাপি এখন আমরা অনেকেই ঘরে তৈরি করে থাকি। জিলাপির মিশ্রণে সামান্য চালের গুঁড়া দেবেন। এতে দীর্ঘ সময় জিলাপি মুচমুচে থাকবে।
# পাকোড়াজাতীয় খাবার তৈরি করার সময় সাধারণ পানির পরিবর্তে বরফপানি দেবেন। অথবা পাকোড়ার মিশ্রণ নরমাল ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নেবেন।
# আলুর চপ, রোল, কাটলেটজাতীয় খাবার ডিমে দেওয়ার আগে ময়দায় গড়িয়ে নেবেন। এরপর ডিমে জড়িয়ে ব্রেডক্রাম্ব অথবা বিস্কুটের গুঁড়াতে গড়িয়ে নেবেন। এরপর ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে ভেজে নিতে হবে। মুচমুচে থাকবে।
# শুকনা ময়দা দিয়ে কোনো খাবার তৈরি করলে তাতে কিছুটা চিনি দিয়ে দেবেন, অনেকক্ষণ মচমচে থাকবে।
# সমুচার রুটি বেলার সময় কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে রুটি তৈরি করবেন, সমুচা দীর্ঘ সময় মুচমুচে থাকবে।
এবার আসি ভাজায়। তেলে ভাজা খাবার অবশ্যই গরম তেলে ভাজতে হবে। তেল গরম হওয়ার পর মাঝারি আঁচে ভেজে নিন। ভাজা খাবার তেল থেকে তোলার আগে আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে। এতে বাড়তি তেল সহজে ঝরে যাবে, সেই সঙ্গে খাবারও থাকবে মচমচে।
ভাজার পর খাবার ঢেকে রাখবেন না, এতে গরম ভাপে খাবার নরম হয়ে যায়। ভাজা খাবার কখনোই টাইট বক্সে রাখবেন না, টিস্যু অথবা নরম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখবেন। হাতের কাছে টিস্যু কিংবা নরম কাপড় না থাকলে গরম ভাপ চলে যাওয়ার পর এমনভাবে ঢেকে রাখবেন যেন কিছুটা বাতাস বের হতে পারে। তবে ইফতারে এসব ভাজাপোড়া খাবার খেলে অবশ্যই টক দই, রায়তা অথবা লেবুপানি খেয়ে নেবেন।
লেখক: রন্ধনশিল্পী