মনেরবাক্স

.
.

দিদি, তোদের খুব মিস করি

আমি ছোট থেকে ছিলাম একা, খুব একা। ভাইবোনের অভাবে চোখের জল পড়ত। খুব আনন্দ পেতাম যখন কোনো ভাই বা বোন বাড়িতে বেড়াতে আসত। আমি সব ভাইবোনকেই নিজের ভাইবোন হিসেবেই সম্মান করতাম, করি এবং করতে থাকব। তারাও আমাকে ভালোবাসার কোনো ত্রুটি রাখেনি। তবে তাদের মধ্যে দুজন ছিল, যাদের স্থান ছিল আমার হৃদয়গর্ভে সবচেয়ে গভীরে। তারা হলো আমার প্রিয়াংকা ও প্রিয়া দিদি। যাদের আমি পিকু (প্রিয়াংকা) ও পিকাচু (প্রিয়া) বলে আখ্যায়িত করতাম। তারা আমার জীবনের অনেক বড় একটা অংশ। আমার জীবনের এমন কোনো কথা নেই, যা তারা জানে না। আমার দুর্ভাগ্য যে তারা আমার কাছ থেকে অনেক অনেক দূরে থাকে। আমার কখনো সন্দেহ হয় যে তারা আমার মনের কথাটাও জানে কি না!

কিন্তু আমার জীবনের প্রতিটা সময় তাদের কথা মনে পড়ে, খুব মনে পড়ে। হয়তোবা আমি তাদের জন্য খুব একটা বেশি কিছু করতে পারিনি, তবে আমি তাদের সুখে ও আনন্দে রাখার প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেই গেছি। তবে জানি না আমি কতটা সফল বা আদৌ সফল হব কি না!

তবে প্রতিটি মুহূর্তে তাদের আমি খুব মিস করি। সব সময় তাদের কথা মনে পড়ে।

আমার একটাই চাওয়া, আমার কোনো দোষ থাকলে তারা যেন আমাকে ক্ষমা করে দেয়। আমার কোনো গুণ থাকলে তারা যেন সেটা তাদের গুণ বলে মেনে নেয়।

আমি শুধু বলতে চাই, তাদের আমি খুব ভালোবাসি, একটু বেশিই ভালোবাসি।

যে ভালোবাসা এক আদর্শ ভাই আর বোনের দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পারে। যে ভালোবাসা কয়েকজনের চোখের জল চিরস্থায়ী বিদায় করতে পারে। যে ভালোবাসা কখনো ধ্বংস হবে না এই প্রতিশ্রুতি দিতে পারে।

সত্যি কথা বলতে, এ হলো আমার জন্য ভালোবাসার এক অন্য মানে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

সেই মেয়েটা

ঘড়িতে সময় এখন রাত ১২টা ৫২ মিনিট। সেদিনের সেই মেয়েটার কথা খুব মনে পড়ছে। ঘুম আসছে না চোখে। আমি সরকারি একটা কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র। রোজার মাস, তাই মেসে না থেকে বাসায় চলে এসেছি। বাসায় এসে বিদ্যুতের কাজ করি এক ভাইয়ের সঙ্গে। সেদিন ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েছিলাম। সেদিন ছিল ২০১৬ সালের ১১ জুন। বাড়িতে ঢোকার পরপরই মেয়েটিকে দেখতে পেলাম। খুব সুন্দর তা নয়, কিন্তু যেকোনো ছেলেরই মন কেড়ে নেবে মেয়েটি বলা যায়। মেয়েটির নাম জানতে পারিনি। কিন্তু মেয়েটি আমার মন কেড়ে নিয়েছে এটা জানতে পেরেছি।

তোমার

নীল

মাগুরা

বাবা, জানি ​তুমি লেখাটি পড়ছ

বাবা আজ তোমাকে অনেক বেশি মিস করছি। অনেক অনেক। আমি জানি বাবা আমার এই লেখাটা তুমি পড়বে, তবুও লিখছি। তোমাকে জানানোর জন্য নয় বাবা, হৃদয়ের গভীর থেকে ডুকরে কেঁদে ওঠা কিছু কথা শেয়ার করার জন্য। আমি দেখেছি বাবা, আমার সব চাওয়া তুমি বলার আগেই পূরণ করো। আমি একটা শার্ট চাইলে তুমি দুইটা এনে দাও। আমি দুইটা প্যান্ট চাইলে তুমি তিনটা এনে দাও। বাবা, আমার কোনো চাওয়া তুমি তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ না করতে পারলে তোমার চোখের চাহনিতে যে কত কষ্ট লুকিয়ে থাকে তা দেখে সত্যিই আমি ওই জিনিসটার কথা ভুলে যায়। সাময়িকভাবে দেরি হলেও তুমি আমার সব চাওয়া, সব আবদার অচিরেই পূরণ করো। জানো বাবা, আজকাল আমি বড় বেশি অন্য রকম হয়ে গেছি। কাউকে আর বিশ্বাস করতে পারি না। কাকে বিশ্বাস করা দরকার আর কাকে দরকার না তা-ও বুঝি না। বাবা, সবাই আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায় কেন? আজ তোমাকে সব বলি শোনো, বাবা সবাই আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায় আমাকে ব্যবহার করে ওপরে ওঠার জন্য। আচ্ছা বাবা তুমিই বলো ওপরে ওঠতে পারাটাই কি জীবনের চরম সার্থকতা? ওপরে যেতে পারলেই কি সুখী হওয়া যায় বাবা? কেউ আবার ভালোবেসে সারা জীবন পাশে থাকার মিথ্যা আশ্বাস দেয়। জানি সে তার উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারলেই পথ মাপবে। আচ্ছা তুমি কি জানো বাবা মানুষগুলো এত নিষ্ঠুর কেন? সবাই আমাকে কেন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে শেষে ছুড়ে ফেলে দেয়। সত্যি কি জানো বাবা? আজও তোমার মতো কাউকে পাইনি যে অন্তত আমাকে নিয়ে একটু ভাবে, আমাকে একটু ভালোবাসে। সত্যিই বাবা তোমার বড় আদরের ছেলেটা আজ ক্লান্ত, আজ বড় অসহায়।

কাজী বাহারুল ইসলাম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

এটা কি প্রকৃতির নিয়ম?

আগে আমি বিশ্বাস করতাম না যে অতিরিক্ত কাউকে ভালোবাসলে তাকে অবহেলা করে। কিন্তু এখন বুঝলাম। সত্যি কাউকে বেশি ভালোবাসলে তাকে অবহেলা করে। ভুলে থাকার যত কৌশল সে ব্যবহার করে। জানি না কী জন্য করে। এটা কি প্রকৃতির নিয়ম, নাকি মানুষের তৈরি নিয়ম? কিন্তু ভুলে যাবেন না একদিন আপনিও কারও কাছে অবহেলিত হতে পারেন, যা আপনার জীবনে অনেক কষ্টের ও যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। যেটা আপনার ধৈর্যের সীমানার বাইরে।

মো. আলমগীর হোসাইন

রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী।

ফিরে এসো মা

‘মা’ কথাটি ছোট হলেও অনেক দামি! মা আমার মা। যে মা আমাকে পৃথিবীতে আনার জন্য কত কষ্টই না সহ্য করেছেন। তবু বিরক্তবোধ করেননি। কত নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন আমাদের বড় করার জন্য। কেন মা এত কষ্ট সহ্য করেও রাগ করে চলে গেলে। তোমাকে ছাড়া সব খালি খালি লাগছে। মা তুমি ভালো আছ তো? জানো মা, তোমার ছেলে এখন লক্ষ্মী হয়ে গেছে। তুমি থাকতে তোমার প্রয়োজন বুঝিনি। সরি মা। ফিরে এসো মা, প্লিজ।

মেহেদী হাসান

তিতুমীর কলেজ, ঢাকা।

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

ই-মেইল:

[email protected] ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA.

খামের ওপরও -মেইলের subject-লিখুনমনেরবাক্স