মনের বাক্স

অলংকরণ: তুলি
অলংকরণ: তুলি

আমি অপরাধী হয়ে রইলাম
নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম, তাই প্রেম-ভালোবাসা ছিল বৃত্তের বাইরের চিন্তা। তুমিই জাগালে প্রেম নামক অজানা-অদৃশ্য ভালো লাগা আর কাছে থাকার অনুভূতি, যা তোমার নিবিড় পরিচর্যায় অতি দ্রুত পরিপক্বতার শিখরে পৌঁছায়। আমার দারিদ্র্য নামক অসহায়ত্বকেও তুমি মেনে নিয়েছিলে হাসিমুখে। কিন্তু আমার ব্যস্ততাটাকে মেনে নিতে পারোনি। পারবেই-বা কী করে? যখনই ফোন করতে, আমি হয় ক্লাসে, না হয় টিউশনিতে কিংবা লাইব্রেরিতে অথবা কোনো সাংস্কৃতিক কর্মে, নয়তো কোচিংয়ে। তুমি খুব কষ্ট পেতে, তবু আমাকে ব্যস্তই থাকতে হতো। রাতে যখন চার-পাঁচ মিনিটের জন্য ফোন করতাম, তুমি অনেক অভিমানের সুরে আমাকে বলতে, ‘হাজিরা দিতে হবে না’। বৃষ্টিস্নাত কোনো এক বিকেলে তুমি অনেক অনুরোধ করেছিলে ছাদে উঠতে, বৃষ্টিতে ভিজতে। তুমি মানতেই চাইলে না আমি টিউশনিতে। অনেক কেঁদেছ তুমি, সান্ত্বনা হিসেবে টিউশনি শেষে লেক সার্কাস কলাবাগান হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত আমি একা একা ভিজেছি। এখন কেউ আর তোমার মতো জেদ করে না বৃষ্টিতে ভিজতে। তোমার শহরে কি এখন বৃষ্টিরা সব হারিয়ে গেছে? সেদিন তোমার কথা শুনে যদি আমি তোমাকে বিয়ে করতাম, তোমাকে আমি সুখী করত পারতাম না। তোমার পড়াশোনা হয়তো শেষ করাও হতো না। আমি তোমাকে কিছুই দিতে পারতাম না। তাই আমি অপরাধীই হয়ে রইলাম। তুমি আমাকে ভুল বুঝেছ। বিশ্বাস করো, তোমাকে হারাতে আমি চাইনি। প্লিজ, ফিরে এসো আমার বারান্দায়, যদি হৃদয় কাঁদে আমার জন্য।
তারেক
ঢাকা।

‘এখনো অনেক মিস করি তোমায়’
জানি না কেন হঠাৎ করে তুমি আমার জীবনে এসেছিলে। তুমি যখন আমার জীবনে এলে, তখন যেন সবকিছুই পাল্টে যেতে শুরু করল। মনের ভেতর সারাক্ষণ শুধু তোমার ভাবনা। ধীরে ধীরে কখন যে তোমায় এত বেশি ভালোবেসে ফেলেছি, নিজেও জানি না। তোমার সঙ্গে এখন কথা হয় না, কোনো যোগাযোগ নেই। তাই বলে ভেবো না, তোমায় ভুলে গেছি। কী করে ভুলব তোমায়? এটা আমি কল্পনাও করতে পারি না। তোমাকে যে আমার হৃদয়ের গভীরে স্থান দিয়েছি। তুমি তো আমার প্রতিটি শিরা-উপশিরায় মিশে আছ। আমার প্রতিটি শ্বাসপ্রশ্বাসে তোমার বিচরণ। যদি কখনো তোমায় ভুলতে পারি, সেটা হবে আমার নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার পর। এখনো অনেক মিস করি তোমায়। এখনো প্রতিটি শিশিরভেজা ভোরে, অলস দুপুরে, পড়ন্ত বিকেলে, বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায়, জ্যোৎস্নামাখা রাতে—প্রতিটি মুহূর্তে অনেক অনেক মিস করি তোমায়।
জাকারিয়া বিপুল
বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।

অলংকরণ: তুলি
অলংকরণ: তুলি

তোকে ভালোবাসি, বন্ধু
এই ২০ বছরের জীবনে তোর আর আমার বন্ধুত্বের বয়সও এক যুগ পেরিয়ে গেছে। একসঙ্গে এতগুলো দিন হাঁটা, একসঙ্গে বড় হওয়া।
তোর কি মনে আছে? সেই স্কুলজীবনে শত বিপদের দিনেও তুই আমার পাশেই থাকতি। আমাকে ভালোবেসে অন্যের সঙ্গে ঝগড়া করতেও দ্বিধা করতি না। আমার জীবনের প্রথম প্রেম থেকে শুরু করে অনেক প্রথমেই তোর সহযোগিতা ছিল। তুই একটু মোটা ছিলি বলে আড়ালে সবাই তোকে নিয়ে হাসত। জানিস, আমার খুব খারাপ লাগত। কিন্তু কখনো কিছু বলতে পারতাম না। জানি, তোর জন্য তেমন কিছুই করতে পারিনি। কিন্তু বিশ্বাস কর মিরাজ, তোকে অনেক ভালোবাসি, বন্ধু।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তুই কেমন জানি হয়ে গেলি। অনেক বেশি বুদ্ধিমান। অনেক বেশি সচেতন তুই। কী জানি, ভুল ধারণাও হতে পারে আমার। তবে বিশ্বাস কর, আমি আগের মতোই আছি। বুঝতে দিই না। কিন্তু তোকে ভালোবাসি, বন্ধু।
এল রহমান
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।

কেমন আছিস তুই?
তোর কি মনে আছে সেই দিনগুলোর কথা? যে দিনগুলোতে আমার সঙ্গে কথা না বললে তোর দিন পার হতো না। আমি বলতাম, একটু পরেই তো আমাদের দেখা হবে। তুই বলতিস, সেই একটু সময় আমার কাছে হাজার বছরের চেয়ে বেশি। আর আজ কত দিন পার হয়ে গেল, ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলাম। অনেকগুলো খুদে বার্তাও দিয়েছিলাম। কিন্তু উত্তরে একটি হাইও পেলাম না। তোর কথা খুব মনে পড়ে, মাঝে মাঝে চোখের কোণ বেয়ে অঝোরে বৃষ্টি ঝরে যায়। কিন্তু সান্ত্বনা শুধু একটাই—বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পরে তুই হয়তো অনেক ভালো আছিস। আর সেটাই আমার একমাত্র চাওয়া।
শাওন হোসেন
ঝিকরগাছা, যশোর।

তুমি কি একটিবারও আমাকে সুযোগটি দিতে পারো না!
ব্যাডমিন্টন আমার প্রিয় খেলা জানো। কেননা এই খেলা খেলতে খেলতেই আজ থেকে ১০ বছর আগে তোমার প্রেমে পড়েছিলাম। সেদিনের সেই কিশোরের মনের গহিনে এক অদ্ভুত মায়াজাল সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু কখনোই এ হৃদয়ের অব্যক্ত কথাগুলো মুখ ফুটে বলা হয়নি। গত বছর যখন তোমার ফেসবুক আইডি পেলাম, ভেবেছিলাম সেটাকে আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছি। কিন্তু তুমি যখন কিছুতেই আমাকে তোমার মনের বিশালতায় ঠাঁই প্রদান থাক, বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করলে না, তখন সেই চাঁদটি নিমেষেই ছাইতে পরিণত হলো। তুমি কি একটিবারও আমাকে সুযোগটি দিতে পারো না! প্রতিজ্ঞা করছি, তুমি সারা জীবন আমার কাছে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ‘মোনালিসা’ হয়েই থাকবে।
আদিল আহমেদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

কেন ভেঙে দিলে?
জীবনে প্রথম কাউকে এতটা ভালোবাসিনি। হয়তো তুমিও আমাকে খুব ভালোবেসেছিলে। ভালোই তো ছিলাম আমরা! তাহলে কেন এই এক বছর এক মাসের সম্পর্ক ভেঙে দিলে তুমি? একটুও কষ্ট হলো না তোমার? আমাদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর দুই মাস হতে যাচ্ছে। তবু আমি তোমাকে ভুলতে পারিনি। আমার জীবনজুড়ে রয়েছ শুধুই তুমি। আজও বারবার বলতে চাই, অনেক ভালোবাসি তোমাকে। অনেকবারই তো আমায় সুযোগ দিয়েছ, আর একটা সুযোগ দিয়েই দেখো। ফিরে এসো।
নিশি (ছদ্মনাম)
রাজশাহী।

লেখা পাঠানোর ঠিকানা:
অধুনা, প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ই-মেইল: [email protected] ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA. খামের ওপর ও ই-মেইলের subject-এ লিখুন ‘মনের বাক্স’