মনের বাক্স

আবার ফিরে পেতে ইচ্ছা করে

আজ অনেক দিন হয় তোমার সঙ্গে কথা হয় না৷ দুজনের পরিচয় ফেসবুকে৷ কে আগে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলাম মনে নেই৷ তবে প্রথম হাইটা তুমিই পাঠিয়েছিলে৷ আর এভাবেই প্রতিদিন কথা বলা হতো৷ যদিও অন্য সবার মতো দিনে কয়েকবার কথা হতো না৷ তবে দুজন অনেক রাত পর্যন্ত কথা বলতাম৷ বিষয়টি এমন দাঁড়িয়েছিল যে একদিন কথা না বললে ভালোই লাগত না, অনেক ভালোবাসি তো তোমাকে৷ দুজনে কত না দুষ্টুমি করতাম৷ তোমাকে কত না আজব নামে ডাকতাম—টুকটুকি, টিকটিকি, কুটকুটি, কটকটি, আইলসার বউ ইত্যাদি৷ কিন্তু আমি তিন-তিনবার ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে আনফ্রেন্ড হয়ে গেলাম কেন? তা-ও মাসখানেকের মধ্যে৷ দুইবার তুমি রিকোয়েস্ট গ্রহণ করেছ, কিন্তু তৃতীয়বার কেন করোনি, বুঝি না৷ হয়তো দেখোনি, হয়তো দেখেছ৷ সত্যিই আমি তোমাকে ভীষণ মিস করি৷ জানি লেখাটা তুমি পড়বে না, তবু এই বিশ্বাসে লিখলাম তুমি পড়বে৷

ইতি

তুমি বুঝে নিও

হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ৷

আজও অপেক্ষা করি

তোমার সঙ্গে যখন আমার প্রথম পরিচয় হয়েছিল, তখন আমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী আর তুমি এইচএসসি প্রথম বর্ষ। আমি যে কোচিংয়ে কোচিং করতাম, সেই কোচিংয়ের এক স্যারের কাছে তুমি প্রাইভেট পড়তে। পরিচয়ের সূত্রটা সেখান থেকেই। এইচএসসি পরীক্ষার জন্য যখন আমি শহর থেকে বাসায় আসি, তার কয়েক দিন পর হঠাৎই তুমি আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দাও। পরে অনেক চেষ্টা করেও তোমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারিনি। আমি দ্বিতীয়বার যে কলেজের যে বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম, তুমিও যে একই কলেজের একই বিভাগে ভর্তি হয়েছিলে, তা আমি সেদিন বুঝতে পারলাম, যেদিন তুমি আমাদের ব্যাচে প্রাইভেট পড়তে এলে। টানা দুই বছর পর তোমাকে দেখে আমি এতটাই অবাক হয়েছিলাম যে কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তুমি বই পড়তে প্রচণ্ড ভালোবাসতে। মাঝে মাঝে কবিতাও লিখতে আর আমাকে পড়ে শোনাতে। প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার আগে হঠাৎই তুমি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে যাও। তারপর ধীরে ধীরে আমার সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দাও। প্রথম প্রথম খুব কষ্ট পেয়েছিলাম, কিন্তু এখন নিজেকে সামলে নিয়েছি এই ভেবে যে তুমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আর আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। এটাই হয়তো আমার সঙ্গে তোমার যোগাযোগ বন্ধের প্রধান কারণ। আমি আজও তোমাকে ভীষণ মিস করি, মিস করি তোমার কবিতাগুলো। আমি আজও অপেক্ষা করি এই ভেবে যে হয়তো একদিন হঠাৎ করেই আবার ফোন দিয়ে আমাকে অবাক করে দেবে...।

ফারুক আহম্মেদ

রংপুর।

কথাগুলো মা আর আমার

এখনো আমি বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি। হয়তো হারিয়ে যেতে পারতাম সময়ের সমুদ্রস্রোতে। যখনই হারিয়ে যেতে থাকি আর তখনই তোমার মুখখানি মনে পড়ে। তুমি তো কোনো পৌরাণিক চরিত্র নও আমার কাছে। তুমি আমার নিশ্বাসের মতো প্রতিনিয়ত ভালোবাসা। মা, তোমার নিশ্চয় মনে আছে সেই সব দিনগুলোর কথা, যখন আমার পড়াশোনা চুকিয়ে কাঠমিস্ত্রির কাজ শুরু করেছিলাম ১২৫ টাকা মাইনেতে। অন্যের খেতেও কাজ করেছি মাঝে মাঝে। তুমি হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে যাচ্ছ আজও। কোনো দিন বায়না ধরে বলিনি—মাগো, এটা দাও ওটা দাও। আমি জানতাম কতটা মুড়ির চালের মতো ফটফটিয়ে মরতে, উৎসবের দিনগুলোতে। তোমার চোখগুলো আজও মনে পড়ে। শিম ফুলের মতো কচি সৌন্দর্য। খুব কষ্ট করে আমাকে পড়াচ্ছ। ঋণের দায় মুক্তির জন্য বাড়িটাও চলে গেল। আজ আমাদের ঘর নেই, বাড়ি নেই। তবে আমাদের স্বপ্ন আছে। হতাশা ভর করে শরীরে। বড্ড পাংশুটে ভারী লাগে জগৎ সংসার। নিজেকে তবু ভাসিয়ে রাখি বাস্তবতার শূন্যে। মা, তুমি আমাকে খুব মারতে, মনে আছে? রেগে গেলে তোমাকে চেনা যেত না। নৌকার লগি দিয়েও পিটিয়ে আবার পরক্ষণেই শিশুর মতো করে কেঁদেছিলে। আজ তুমি গ্রামে থাকো আর আমি চলে এসেছি শহুরে বাস্তবতায়। এ দেশের খ্যাতনামা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। ঘরে আমি ফিরবই, তোমার স্বপ্ন হাতের অঞ্জলিতে নিয়ে। তোমার পায়ে অর্ঘ্য দেব ভালোবাসা। সারাটা জীবন তুমি নিজেকে তিলে তিলে পাথর করেছ। মা, আমি তোমার হাসিমাখা মুখটা দেখতে চাই সময়মেঘের দেয়াল ভেদ করে। বলতে চাই—মাগো, ভালোবাসি তোমায়। আমি কথা দিলাম, আমি আসব।

শুভ মণ্ডল

কী নামে ডাকব?

তোমার সঙ্গে আমার পরিচয়টা খুব বেশি দিনের নয়। যদিও কখনো তোমার সামনে যাওয়া হয়নি, তবু আমাদের দেখা হয়েছে ম্যাসেঞ্জারে। ছবি দেওয়া-নেওয়া হয়েছে। তোমার মন খারাপ থাকলে আমি কবিতা লিখে তোমার মন ভালো করার চেষ্টা করি। তোমার অসুস্থতার কথা শুনে আমার ভীষণ খারাপ লেগেছে। কিন্তু তোমার খোঁজ নিতে পারছি না, কারণ তোমার মোবাইল নম্বরই তো নেই আমার কাছে। ম্যাসেঞ্জারই একমাত্র ভরসা, কিন্তু সেটাতে তুমি কম আসছ। কী নামে ডাকব তোমাকে।

উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম...

মেহেদি হাসান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

কোনো কারণ না বলে চলে গেলে

কাপকেক, মনে পড়ে এটার কথা? আমার তরফ থেকে তোমাকে দেওয়া ডাকনাম। কোনো এক অজানা কারণে তুমি আমাকে নীলপরি ডাকতে। তোমার সঙ্গে আমার পরিচয়টা বেশ ফরমালভাবে হয়। আমাদের সম্পর্কের আগে কেউ কাউকে কোনো দিন চোখের দেখাও দেখিনি। কোনো এক বিকেলে তুমি আমাকে দেখো এর বেশ কয়েক মাস পর আমাকে এসে প্রস্তাব করো। সালটা ছিল ২০১৪। ওই বছরের ১৯ মে তুমি আমার জীবনে আসো। একসঙ্গে শুরু করি আমরা এক নতুন পথচলা। তোমার সঙ্গে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত ছিল অসাধারণ। বিকেলে যখন আমরা একসঙ্গে সমুদ্রের তীরে ঘুরতাম, তুমি যখন হঠাৎ করে পরি বলে ডেকে উঠতে, কেমন জানি বুকে একটা চিনচিন ব্যথা করত।

আচ্ছা, তুমি তো আমাকে অনেক সাধনার পর বিশ্বাস করাতে পেরেছিলে যে তুমি সত্যিই আমাকে ভালোবাস। আমাকে ছেড়ে যাবে না কখনো। আমিও আস্তে আস্তে তোমার প্রেমে পড়তে লাগলাম। তোমাকে ভালোবাসতে শুরু করলাম, তোমাকে অনুবাদ করতে শুরু করলাম। কতবার বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলে ‘ভালোবাসি’, মনে পড়ে? তিন বছরের সম্পর্কে হঠাৎই তুমি বদলে গেলে। ছেড়ে দিলে আমার হাত। কোনো কারণ না বলে চলে গেলে আমাকে একা ফেলে। একবারও পেছনে ঘুরে আমার অশ্রুসিক্ত চোখের দিকে তাকালে না। সেদিন যদি একবার পেছন ফিরে কাছে এসে বলতে, ‘নীলপরি, কাঁদছ কেন?’ আমি তো তোমারই। খুব ভালোবাসি তোমাকে।’ একবার যদি চোখের পানি মুছে দিয়ে জড়িয়ে ধরতে, আমি সব কষ্ট ভুলে যেতাম। জানি না তুমি ফিরবে কি না। তা-ও আশায় আছি। তা-ও তোমাকে আজও ভালোবাসি। কোনো একদিন সামনে এসে যদি একবার ‘নীলপরি’ বলে ডাকো, তাহলে আমি সব ভুলে যাব। তোমাকেই ভালোবাসব। জানি না সেই দিন আসবে কি না, তা-ও অপেক্ষায় আছি।

মারিয়া

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

ই-মেইল: adhuna@prothom-alo.info ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA.

খামের ওপর ও ই-মেইলের subject-এ লিখুন ‘মনের বাক্স’