মনের বাক্স
ওপারে ভালো থেকো
২২ জুলাই ২০১৮, রোববার। তখন ঢাকায় ভর্তি পরীক্ষার কোচিং করছিলাম। গ্রাম থেকে খবর এল, নানু আর বেঁচে নেই। ছোটবেলা থেকে মা–বাবার পর যাঁর মায়া-মমতায় বেড়ে উঠেছিলাম, তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর খবর মেনে নিতে পারছিলাম না। জন্মের পর নানা, দাদা-দাদি কাউকেই পাইনি। তিনিই ছিলেন আমার সব ভালোবাসার পরিপূরক। এমন মানুষকে হারিয়ে মনের অজান্তেই কাঁদতে লাগলাম।
এর দুদিন আগেই আমার এইচএসসির ফল প্রকাশিত হয়। জিপিএ-৫ পেলাম। আব্বু-আম্মুর পরেই নানুকে জানালাম। খবরটা শুনে এতই খুশি হয়েছিলেন যে মনে হচ্ছে গ্রাম থেকেই আমাকে কোলে নিয়ে নেবেন! বললেন, ‘তাড়াতাড়ি বাড়ি আসো। আমার হাতে মিষ্টি খাবে।’ সঙ্গে দোয়া করে দিলেন, যাতে জীবনে অনেক বড় হই।
আগে থেকে তাই ঠিক ছিল দুদিন পর বাড়িতে যাব। নির্দিষ্ট দিনেই বাড়িতে এলাম, কিন্তু তাঁর মুখে মিষ্টি তুলে দিতে পারলাম না। তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে। তাঁকে ভালোবেসে জড়িয়ে ধরা হলো না। উল্টো নিজের কাঁধে খাটিয়া তুলে নিলাম। নিজ হাতে ভালোবাসার মানুষকে কবরে রেখে এলাম। চিরদিনের জন্য বিদায় জানালাম। সেই দিনগুলো যেন এখনো মনকে কাঁদায়। অশ্রুসিক্ত হয়ে ওঠে আমার দুচোখ। ২২ জুলাই আমার প্রিয় মানুষের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। সেদিনের স্মৃতি, তাঁর মায়া-মমতা, ভালোবাসা এখনো খুঁজে ফিরি। ভালো থেকো নানু!
সালমান মাহমুদ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আপনাকে মিস করি
প্রিয় খালিদ ইমরান স্যার
এই করোনাকালে কেমন আছেন? দেখতে দেখতেই প্রায় এক বছর হয়ে গেছে আপনি জার্মানিতে পাড়ি দিয়েছেন। স্যার, সেখানে তো এখন বসন্তের হাওয়া বইছে। শুনেছি, ইউরোপের বসন্ত যে একবার দেখেছে, সে তার জীবনের সেরা প্রকৃতি দেখে ফেলেছে। প্রকৃতি যে এত সুন্দর হতে পারে, সেটা নাকি ইউরোপের বসন্ত না দেখলে বোঝাই যায় না।
স্যার, ইউরোপের সেই বসন্তের সেরা সৌন্দর্যময় মুহূর্তগুলো কি উপভোগ করছেন? নাকি ঘরবন্দী হয়ে শুধু বই আর পড়াশোনাতেই ডুবে আছেন? স্যার, জানেন, আপনার ক্যাম্পাসটা আপনাকে অনেক মিস করে। আপনার বিভাগ এবং ওয়াজেদ ভবনের পঞ্চম তলাজুড়েই মিস করে আপনাকে।
স্যার, মনে আছে, আপনার ক্লাসে একদিন অর্থনীতির একটি কবিতা শুনিয়েছিলেন। সেদিন ভেবেছিলাম, আমিও আপনাকে একদিন একটা কবিতা শোনাব। লিখেছিও। সময় করে আপনাকে সেটা শোনাতে চাই। ভালো থাকবেন স্যার।
ইতি
আপনার স্নেহের
কবি সাহেব (সুমন সরকার)।
তোমাকেই
কেমন আছ? আমি না ভালো নেই তোমাকে ছাড়া। তুমি আমার মাকে বলে, আমাকে এভাবে অপমান না করলেও পারতে। সত্যি, আমার মা ওই কথাগুলো বলেননি, সত্যি তুমি কি ওর জন্য আমাকে ভুলে যাচ্ছ?
তুমি না বলছিলে আমাদের মধ্যে যা–ই হোক তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না। আর আমাকে ছাড়া তুমি পাগল হয়ে যাবে, বলছিলে না! সত্যিই আমি তোমাকে ছাড়া অসহায়, আমি তোমাকে ছাড়া সুখী হতে পারব না। আমার শরীর খুব খারাপ। জানি না কত দিন বাঁচি। প্রতিটি রাত খুব কষ্টে যায়। আমার যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে ক্ষমা করে দাও।
রানি
কক্সবাজার।
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’