মনের বাক্স

মনের বাক্স

আমার হৃদয়

কখনো তোমাকে চিঠি লেখা হয়নি। তাই আজ লিখলাম মনের বাক্সে। কেমন আছ তুমি? আমি ভালো নেই। আমার পরীক্ষা আর করোনাভাইরাসের জন্য আট মাস দেখা হয় না! উফফ। ভাবতেই নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। কিন্তু আমি খুশি তুমি সুস্থ আছ।

যত দূরেই থাকি, মনে হয় তুমি আমার কাছেই। কারণ আমরা এক প্রাণ। আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি। আর কিছুদিন পর আমাদের সম্পর্কের পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। কিন্তু আমার মনে হয় আমাদের সম্পর্ক হাজার বছর ধরে।

তোমাকে খুব ভালোবাসি। যত দিন বেঁচে আছি তোমার হৃদয়ে থাকতে চাই। আমি যেদিন মরে যাব, সেদিন যেন তোমার বুকে শেষনিশ্বাস ফেলি। আমি মরে যাওয়ার কথা বললেই তো তুমি বকা দাও। এখন কীভাবে বকা দেবে? চিঠি লিখেই না হয় বকে দিয়ো। আর শোনো, তুমি কিন্তু আমাকে অনেক বকা দাও, একটু কম বকা দিয়ো। আবারও বলছি, অনেক ভালোবাসি তোমাকে।

তোমার জান
ময়মনসিংহ।

যা আছিল কইবার

যেই দিন থেইক্কা বুঝবার পারছি শাড়ি পরোনের পর তুমি দুই–চাইরডা ভালা কথা হুনবার চাও, হেই দিন থেইক্কা তোমার জইন্যে লেহি। না না, হেইডা আমি কই না যে আমি তোমারে ভালা কথা হুনাই, যেডুক কই মন থেইক্কা কই।

মন খুইলা কই, এই যে কোনো দলিল কাগজে ওয়াদা দ্যাওন ছাড়া দিল খুইল্লা তোমারে লইয়া লেহি, এইডাই আমার দিন রাইতের সুখ বইল্লা মনে হয়। এই যে এক অজানা স্বাধীনতা তুমি আমারে দাও, এইডারেই আমি ভালোবাসা কইবার চাই। কাছে পাওন না গ্যালেও যে ভালোবাসোন যায়, আমি এইডাই বুঝাইবার চাই।

আমি একটু দ্যাহাইবার চাই, কাগজে লেইখ্যা ভালোবাসি কইবার মানুষ এহনো বাঁইচ্চা আছে...।

আশিক এলাহী

বরিশাল।

(লেখাটি আঞ্চলিক ভাষায় লিখিত)

এখনো ভাবতে ভালো লাগে তাকে

আমার কার্নিশ লাগানো বারান্দায় বসে, আলো–আঁধারি রাত দেখতে আকাশপানে চেয়ে আছি। খালি চোখে! যে চোখে স্বপ্ন থাকে না। থাকে না কোনো আশা। থাকে যে কেবল ওই একজনকে ভালোবাসার, গভীর ধ্যানের আকুল আবিরতা।

তার অই স্নিগ্ধ মুখটার মতো, এই অদ্ভুত জ্যোৎস্নাবিহীন রাতটাও যে ভয়ংকর রকমের সুন্দর, তা আগে জানা ছিল না আমার। যার জন্য এখন তার মায়াজালে হারাতে চাই আমি বারবার।

ভীষণ সুন্দর, হ্যালোজেন লাইটের আলোয় অন্ধকার দূরীভূত হওয়া এই শহুরে রাত। ভীষণ অনুভূতি নিয়ে ভাবছি তার কথা। দিন ফুরোচ্ছে, স্রোতে স্রোতে বহুকালের আক্ষেপ জমা পড়ে আছে ধুলোর ফ্রেমে। কত জায়গায় কতজনকে ভুলেছি সেই কবেই, যত্ন নিয়ে ভুলিনি শুধু তাকে ভালোবাসতে।

শ খানেক প্রশ্নের জবাব আজও পাইনি। চোখে কাজল দিয়ে দেওয়ার যে সাধ আমার, তা এখনো কল্পনায়। সত্যিই কি এর কিছুই হবে না?

আশিক

বাড্ডা, ঢাকা।

প্রিয়

আজকাল খুব ভালোবাসার তীব্রতা অনুভব করছি। এরূপ হওয়ার কারণটা বোঝার চেষ্টায় আছি। প্রতিটি সেকেন্ড কেমন জানি তোমাকে পাশে পাওয়ার এক তীব্র আকাঙ্ক্ষায় চেপে ধরেছে। খারাপ লাগে, আবার কিছু মুহূর্ত চিন্তা করলে অনেক অনেক ভালো লাগে। অনন্তকাল একসঙ্গে থাকলে বোধ হয় খারাপ হবে না।

মাঝেমধ্যে খুব ভাগ্যবান মনে হয় তোমাকে পাশে পেয়ে। তবে রাগ উঠলে আবার সব ভুল মনে হয়। তুমি সবই জানো, তবুও বলতে ইচ্ছা করল নতুন করে নতুনভাবে,

ভালোবাসি তোমাকে। এভাবে চলার পথে সব সময় পাশে থেকো প্রিয়।

জিমথি

ঝালকাঠী।

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’