মন মোর মেঘেরও সঙ্গী...

আষাঢ়স্য চতুর্থ দিবসে বর্ষাবরণের আয়োজন করে প্রথম আলো চট্টগ্রাম বন্ধুসভা। ‘মন মোর মেঘেরও সঙ্গী’ শিরোনামের এ আয়োজনে নাচ, গান ও কবিতার ছন্দে সেদিন বর্ষা নেমেছিল বন্ধুসভা কক্ষে।
১৮ জুন বিকেল পাঁচটায় আষাঢ়ের কদম ফুলের শুভেচ্ছা জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর’ কবিতা আবৃত্তি করে নাজিফা তাজনুর। এরপর জয়শ্রী মজুমদারের ‘এমন বরষা ছিল সেদিন’ গানের পরিবেশনা মুগ্ধ করে সবাইকে। শৈশবের বর্ষার স্মৃতির ঝাঁপি খোলেন বন্ধু সাফরিন আক্তার। তাঁর সঙ্গে অনেকেই রোমন্থন করেন শৈশবের স্মৃতি।
আবার গান। ‘ধিমতানা ধিমতানা’ গানে মাত করেন জিতু বড়ুয়া। সঞ্জয় বিশ্বাসের আবৃত্তি ও সায়মা আক্তারের গান মুগ্ধ করে শ্রোতাদের। এরপর নূপুরের রিনিঝিনি ছন্দে ‘মন মোর মেঘেরও সঙ্গী’ গানের সঙ্গে প্রান্তিকা ভৌমিক ও ‘রিমিঝিমি রিমিঝিমি’ গানের সঙ্গে তানজিলা বিনতে শওকত আসর মাতিয়ে তোলেন।
আবৃত্তি, গান ও নাচের পর বর্ষাকথন নিয়ে আসেন প্রথম আলো র যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী। তাঁর কথামালায় ওঠে আসে বৃষ্টি ও বর্ষার সঙ্গে কবিতার মেলবন্ধন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে বর্ষা একমাত্র দৃশ্যমান ঋতু। বৃষ্টি শুধু অনুভবের নয় দৃশ্যমানও। তাই যুগে যুগে কবিদের কবিতায় রয়েছে বর্ষার প্রভাব।’
কথামালার পর আবার গান ও আবৃত্তি। ‘যদি মন কাঁদে’ গান পরিবেশন করেন সুবর্ণা বিশ্বাস। গানের সঙ্গে কবিতার ছন্দে এর রূপায়ণ করেন শিহাব জিশান ও জয়শ্রী দাশ। এরপর ছিল তাহমিনা সানজিদার একক সংগীত পরিবেশনা। আয়োজনে একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন মিনহাজ হোসাইন, পল্লবী খাস্তগীর, ইব্রাহীম তানভীর, বেনজির বিনতে শওকত ও আরিকা মাইশা। স্বরচিত ছোটগল্প পাঠ করেন সেঁজুতি গুপ্তা এবং হূমায়ুন আহমেদের ‘বৃষ্টি বিলাস’ বই নিয়ে আলোচনা করেন হাফেজা আক্তার। সবশেষে ‘পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে’ গানে দলীয় পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয় এ আনন্দ আয়োজন।