মস্তিষ্কেও পরজীবী জন্মায়!

অন্ত্র বা যকৃতের মতো মানুষের মস্তিষ্কেও পরজীবী বা কৃমি সংক্রমণ হয়। উন্নত দেশে বিরল হলেও উন্নয়নশীল দেশে এখনো এই সমস্যার প্রাদুর্ভাব আছে। এর মধ্যে সিস্টিসারকোসিস, হাইটাডিট ডিজিজ ও টক্সোপ্লাজমোসিস নামের তিন ধরনের পরজীবীসংক্রান্ত সমস্যা বেশি দেখা যায়। সাধারণত সংক্রমিত পশু যেমন: কুকুর, বেড়াল, শূকর, ভেড়া ইত্যাদির মাধ্যমে সংক্রমিত কাঁচা খাবার, কাঁচা দুধ, অর্ধসিদ্ধ মাংস, কাঁচা ডিম ইত্যাদি থেকে মানুষের দেহে এসব পরজীবীর প্রবেশ ঘটে। টকসোপ্লাজমা আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ খেলে বা গর্ভজাত সন্তানেরও এ রোগ হতে পারে।
পরজীবী আক্রমণের কারণে সাধারণত মস্তিষ্কের ভেতরে সিস্ট বা পানিপূর্ণ থলে সৃষ্টি হয়। এটি মস্তিষ্কের ভেতর চাপ সৃষ্টি করে। ফলে খিঁচুনি, পক্ষাঘাত, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। মস্তিষ্কের পরজীবী সংক্রমণ এড়াতে কিছু

সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত:
 মাংস, ডিম ইত্যাদি ভালোভাবে সেদ্ধ করার পর খেতে হবে, কাঁচা দুধ অবশ্যই ফুটিয়ে তারপর খেতে হবে।
 ঘরে বাইরে সর্বত্রই কাঁচা খাবার যেমন সালাদ বা ফলমূল ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে খেতে হবে।
 রান্না ও খাবার প্রস্তুত বা পরিবেশনকারীর পরিচ্ছন্নতা জরুরি।
 পশু জবাই ও মাংসের দোকানের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা।
 সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দরকার, যেন খাবার ও পানি সরবরাহের সঙ্গে পশুপাখির মলমূত্র কোনোভাবেই সংস্পর্শে না আসে
 নিয়মিত কৃমির ওষুধ সেবন।

শিশু নিউরোসার্জারি বিভাগ, জাতীয় ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতাল