মহাজাগতিক সম্প্রচারনীতি(একটি বৈজ্ঞানিক কল্প ভাবনা)

আঁকা: জুনায়েদ
আঁকা: জুনায়েদ

গতকাল কিরিটি গ্রহে মহাজাগতিক মন্ত্রিসভায় মহাজাগতিক সম্প্রচারনীতি পাস করা হয়েছে। মহাজাগতিক সরকারের এক প্রতিনিধি বলছেন, দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেও যে কাউকে স্বাধীন রাখা যায়, এটি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
সকালবেলা মুরগির ডাক নিয়ন্ত্রিত উপায়ে হতে হবে
স্বাধীনভাবে জীবনে অনেক ডেকেছিস, তাই আমরা তোর স্বাধীনতাকে আরও বাড়াব বলে ঠিক করেছি, তুই কাল থেকে ২৭০ থেকে ২৭২ ডেসিবেলের মধ্যেই ডাকবি, এর বেশিও না, কমও না, ওকে?
জি হুজুর, বাড়তি স্বাধীনতার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!
দেশের স্বার্থ সমুন্নত রেখেই আকাশে বিদ্যুৎ চমকাতে হবে
নিয়মটা দেখে মনে হচ্ছে বিদ্যুৎ চমকানোর ওপরও নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা করছেন?
না, তা কেন? বিদ্যুৎ তো চমকাবেই, শুধু বর্ষাকালে না চমকালেই হলো!
শুধু চোখ দিয়ে দেখেই কোনো বিষয়ে কথা বলা বা প্রচার করা যাবে না
অমুক মহাজাগতিক কর্মকর্তা, তমুক ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন, এটা আমি নিজ চোখে দেখেছি।

না না ভাই, কেবল চোখ দিয়ে দেখলেই হবে না, আরও কিছু দিয়েও দেখতে হবে। যেমন—চুল। দেখেছেন চুল দিয়ে?

বিরক্ত হয়ে মরে গেলেও বক্তার দিকে পচা ডিম ছুড়ে মারা যাবে না
তাহলে কি ভালো ডিম ছোড়া যাবে?

আঁকা: জুনায়েদ
আঁকা: জুনায়েদ

দেখুন, দুর্নীতিতে জড়িত হওয়া নেতাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার, কিন্তু ভাষণটা সামাজিক! দুটোকে একসাথে না মেলালেই দেখবেন ডিমগুলো সেভ করা যাবে।
বিপদে পড়লেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ডাক দিয়ে বিব্রত করা যাবে না
বাঁচান, বাঁচান!
কনস্টেবল, দেখুন তো কে আমাদের বিব্রত করছে?
টিয়া পাখিকে আদর্শ মানতে হবে, পূর্ণ স্বাধীনভাবে শেখানো বুলি আওড়াতে হবে
টিয়াটিকে দেখুন, ও পুরোপুরি বাক্স্বাধীন, ওকে আমরা যা শেখাই ও শুধু তা–ই বলে! এর বাইরে ও কখনোই কিছু বলে না।
উন্নত বিশ্বের চিড়িয়াখানার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদেরও এমন বাক্স্বাধীনতা খুবই দরকার!