মহাশূন্যের আম!

মহাশূন্যের বিরূপ পরিবেশে চাষাবাদের চেষ্টা বিজ্ঞানীদের অনেক দিনের। চীনের একদল গবেষক বলছেন, তাঁরা ‘মহাশূন্যের আম’ উৎপাদন করেছেন। তবে সেটা পৃথিবীতে বসেই। আর এই কৃতিত্বের তাঁরাই প্রথম দাবিদার।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, মানুষবাহী নভোযান ষষ্ঠ শেনঝু গত নভেম্বরে ৩৩ দিনের অভিযান শেষে আমের ভ্রূণ কোষ নিয়ে ফিরেছিল। সেগুলো নিয়েই বিজ্ঞানীরা চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাইনান প্রদেশের একটি পরীক্ষাগারে কাজ করছিলেন। সম্প্রতি ওই ভ্রূণ থেকে নতুন টিস্যু গজিয়েছে।
মহাশূন্যে পরিবেশগত পরিবর্তনের প্রভাবে আমের একটি নতুন জাত সৃষ্টির লক্ষ্যে ওই গবেষকেরা একটি পরীক্ষামূলক চেষ্টা চালান। তারই ফলাফল নতুন টিস্যুগুলো। তাঁদের পরবর্তী ধাপের কাজটা হলো ফলের ওপর ক্রমবিকাশের প্রভাব যাচাই এবং সেই প্রক্রিয়ায় মহাশূন্যের ‘আম উৎপাদন’ অব্যাহত রাখা।
এ প্রকল্পের প্রধান গবেষক পেং লংগ্রং আশা করেন, মহাশূন্যের আম পৃথিবীর সাধারণ আমের তুলনায় বেশি পোকামাকড় প্রতিরোধী হবে। গুণ-মানেও সাধারণ আমের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।
‘মহাশূন্যের আমের’ সবুজ কুঁড়ি চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভিতে দেখিয়েছেন লংগ্রং। মহাকাশ পরিভ্রমণের সময় নভোচারীরা সেখানে আমের অঙ্কুরোদ্গমের লক্ষ্যে কয়েক দফা পরীক্ষা চালান। তাঁরা চেয়েছিলেন, অস্বাভাবিক পরিবেশে ফলটি যাতে দ্রুত মানিয়ে নেয় এবং নতুন ও সুবিধাজনক জিনগত বৈশিষ্ট্য অর্জন করে।
‘মহাশূন্যের আমের’ স্বাদ কখন জনসাধারণ নিতে পারবে, তা অবশ্য এখনো অস্পষ্ট। চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আম উৎপাদনকারী দেশ, যদিও তারা শীর্ষ দেশ ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। কিন্তু ‘মহাশূন্যের আম’ উৎপাদনের কৃতিত্ব নিয়ে তারা অনেক দূর এগোতে চায়।