মা-বাবা শিশুদের যেসব 'মিথ্যা' বলেন

শিশুদের অনেক সরল প্রশ্নের জবাবে আমরা সব সময় সত্য কথা বলতে পারি না! প্রতীকী এই ছবিটি রয়টার্স থেকে নেওয়া।
শিশুদের অনেক সরল প্রশ্নের জবাবে আমরা সব সময় সত্য কথা বলতে পারি না! প্রতীকী এই ছবিটি রয়টার্স থেকে নেওয়া।

স্বীকার করি বা না করি, পছন্দ হোক বা না হোক, মিথ্যা বলা পরিবার-জীবনের এক অমোঘ সত্য। আমরা শিশুদের সব সময় সত্ হতে বলি। কিন্তু যে কারণেই হোক আমরা নিজেরা সব সময় তা হতে পারি না! মিথ্যা, তা যে ধরনেরই হোক মিথ্যাই। আমরা হয়তো একে ‘নির্দোষ মিথ্যা’ বলতে পারি, কিন্তু এটা আমাদের পরিবার জীবনে আছেই। বাবা-মায়েরা শিশুদের হরহামেশাই বলেন এমন কিছু ‘মিথ্যাকথা’ তুলে ধরেছে দ্য গার্ডিয়ান।
মা-বাবা ঝগড়া করছেন না
মা-বাবা আসলে একটা বিষয়ে ‘ভিন্নমত’ পোষণ করছেন। আমরা যখন এটা বলি তখন হয়তো আমরা ওই প্রবাদের কথা ভুলে যাই যে, ‘দেখতে হাঁসের মতো হলে আর হাঁসের মতোই প্যাক প্যাক করলে, ওইটা হাঁসই।’
মা-বাবাই সবচেয়ে ভালো জানেন
এমন তো হতেই পারে যে মা-বাবা কেউই আসলে জানেন না। অনেক সময়ই তাঁদের কোনো ধারণাই থাকে না আসলে তাঁরা কি করছেন। প্রাপ্তবয়স্কদের জগতে এই না জানাটাই অনেক সময় সবচেয়ে বড় সত্য!
শাস্তি না দিলে তুমি শিখবে না

হয়তো ভুল করার জন্য বা অপরাধ করার কারণে দেওয়া এই শাস্তিতে কিছুই আসে যায় না। হয়তো এর পরও তুমি একই কাজ করবে। কিন্তু তোমাকে শাস্তি দেওয়ার মধ্য দিয়ে মা-বাবা নিজেকে শক্তিমান মনে করেন!

এই জুতো জোড়াই ভালো
মা-বাবা বলেছেন, এই জুতো জোড়াই ভালো, এখনো সুন্দর! আসলে এই জুতো জোড়া দিয়েই তোমাকে স্কুলের এই বছরটাও পাড়ি দিতে হবে। মা-বাবার টাকা নেই এখনই নতুন জুতো কিনে দেওয়ার। তুমি আরও বড় হয়ে গেলে, জুতোটা আর পায়ে না আঁঁটলেই কেবল নতুন জুতো কিনে দেওয়া হবে।

মা-বাবা কখনোই তোমাকে কষ্ট দেবেন না
মা-বাবারা অনেক সময়ই এমন অনেক কিছুই করেন যার ফলাফল তাঁরা জানেন না! নিজে যথেষ্ট বড় হলে, বুঝতে শিখলে তুমি নিজেই অনেক কিছু বুঝে যাবে, যা এখন তোমাকে বুঝিয়ে বলা যাবে না। আর নিজে মা-বাবা হলে তো তা বুঝতেই হবে।

বেশি করে ফল-শাক-সবজি খাও শতায়ু হও
সুস্বাস্থ্যের ফল ও শাক-সবজি বেশি করে খেতেই হবে। কিন্তু শতায়ু হওয়াটা হচ্ছে সেই চিরায়ত মিথ্যা। আমরা সব সময়ই আমাদের শুভ কামনায়, মঙ্গল কামনায় এটা বলি। আসলে আমরা যে কেউই আজ বা কাল যেকোনো মুহূর্তেই মরে যেতে পারি।

পরীক্ষায় খারাপ করলে মা-বাবা হতাশ হবে না
মা-বাবা সত্যি বুঝদার মানুষ হলে তাঁরা তা হবেন না ঠিকই, যদি তুমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকো। কিন্তু সত্যি কথাটা হলো তাঁরা হতাশ হতেই পারেন।

একা স্কুলে গেলে তুমি হারিয়ে যাবে
একা স্কুলে গেলে তুমি হারিয়ে যাবে না হয়তো। কিন্তু রাস্তাঘাটের নিরাপত্তাহীনতা আর দুর্ঘটনার ভয়েই মা-বাবা তোমাকে একা স্কুলে যেতে দেন না। কিন্তু সেটা তাঁরা তোমাকে ঠিকমতো বলেনও না।

কখনোই মিথ্যা বলা উচিত না
আসলেই কখনোই মিথ্যা বলা উচিত না। অনেকেই মিথ্যা বলেন আর ভাবেন যে মিথ্যা বলে পার পেয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্টই চালাক হয়ে গেছেন তাঁরা।

টাকা কোনো সমস্যা না
হয়তো এটাই অনেক সময় সবচেয়ে বড় সমস্যা। আর টাকা আসলেই কোনো সমস্যা হতো না যদি সবকিছু বিনা মূল্যে পাওয়া যেত কিংবা সমাজে বা রাষ্ট্রে সবকিছুই ঠিকঠাক চলত।