মিম ও সনির বাগদানের এক ডজন ছবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল মিমের বাগদানের ছবি। শনিবার সন্ধ্যায় মিমকে ফোন করলাম বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে কি না জানতে। জানালেন, তিনি ‘অন্তর্জাল’ সিনেমার শুটিংয়ে। আপাতত বিয়ের সময় নেই। হাতের কাজগুলো শেষ করে তারপর বিয়ের দিনক্ষণ নিয়ে ভাববেন। বললাম, ‘বিয়েতে কী জামাকাপড় পরবেন, ডিজাইনারদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে?’ উত্তর এল, ‘কিচ্ছু না। এখনো কিছুই ভাবিনি। সময় করে সব ঠিকঠাক করব। আপনাদের জানাব।’ ১০ নভেম্বর হয়ে গেল বিদ্যা সিনহা মিম আর সনি পোদ্দারের বাগদান। বিশেষ এ দিনের মুহূর্তগুলো ফ্রেমবন্দী করেছেন রেমিনিসেন্স ফটোগ্রাফির তিন আলোকচিত্রী আতা এম আদনান, রাশেম বাপ্পি ও আনন্দ এম হায়দার। দেখে নেওয়া যাক মিমের জীবনের বিশেষ এ মুহূর্তের এক ডজন ছবি। রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে ডেকোরেশন করেছে ‘এসকে ইভেন্টস’।
১ / ১২
মিম এদিন পরেছিলেন ডিজাইনার সারাহ করিমের লেহেঙ্গা। রুপালি আর ছাই রঙের মিশেলের এই লেহেঙ্গাজুড়ে পাথর, জরির এমব্রয়ডারি আর মুক্তার ভারী কাজ। গলায় আর কানে ছিল মানানসই গয়না। মিমের মেকআপ করেছে এলিগ্যান্ট মেকওভার অ্যান্ড ফ্যাশন
২ / ১২
হবু বরের স্যুট–প্যান্ট জুরহেম থেকে নেওয়া। এই হবু বর পেশায় ব্যাংকার। ছবিতে বাগদানের পর মিম ও সনিসহ দুই পরিবারের ঘনিষ্টজনেরা
৩ / ১২
মিম নিজের ছবিগুলো ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে জানিয়েছেন এ সুখবর। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ছয় বছর আগে শুরু হয়েছিল এক ভালোবাসার অধ্যায়, যেটার পরতে পরতে ছিল খুশি আর আনন্দ। আজ একটা বিশেষ দিন। জীবনের একটা নতুন যাত্রার শুরু। অবশেষে বাগদানটা হয়েই গেল।’
৪ / ১২
মিমের এসব বাগদানের ছবির নিচে জমা হয়েছে অনেক অনেক ‘তারকা আর অতারকা’ অভিনন্দন। সেই অভিনন্দনের বন্যায় শামিল হয়েছেন হৃদয় খান, আফরান নিশো, মারিয়া নূর, মিথিলা, পূর্ণিমা, সাফা কবির, জ্যোতিকা জ্যোতি, মৌসুমি নাগসহ আরও অনেকে। একজন আবার মিমের হবু বর সনির উদ্দেশে লিখেছেন, ‘ভাই জিতছেন’
৫ / ১২
পরিচয়ের সাত মাসের মাথায় মিমকে প্রেমের প্রস্তাব দেন সনি। মিম তখন থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন বিয়েটা করবেন। ছবিতে সনিকে আংটি পরিয়ে দিচ্ছেন মিম
৬ / ১২
সেই সময় মিম তাঁর মাকে খানিকটা আভাস দিয়েছিলেন। মিমের মা বিশেষ পাত্তা দেননি। এরপর লুকিয়ে প্রেম করা শুরু করেন মিম। সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে মিম বলেন, ‘আমাদের অনলাইনেই বেশি কথা হতো। এমনিতে মাসে এক বা দুবার দেখা হতো। শুক্রবার জিমে বা পারলারে যাওয়ার সময় বড়জোর ৩০ মিনিট কথা হতো। তখন আমরা নিকেতনে থাকতাম। সময় ঠিক করে বারান্দায় দাঁড়াতাম। ও নিচে দাঁড়িয়ে আমাকে দেখত। আমি ওপর থেকে ফোনে কথা বলতাম’
৭ / ১২
২০১৯ সালের শেষের দিকে মিম তাঁর বাড়ির সবাইকে রাজি করান। এরপর আস্তে আস্তে বিয়ের প্রক্রিয়াটা এগিয়েছে
৮ / ১২
মিম জানিয়েছেন, সনির সঙ্গে একটা গ্রুপ থেকে বান্ধবীর মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল। মজা করতে করতেই নাকি প্রেম হয়ে গেছে তাঁদের। গ্লোরিয়া জিনসে প্রথম দেখা করেন তাঁরা। সনির কাছ থেকে মিমের পাওয়া প্রথম উপহার ছিল জন্মদিনে কেক, গলার সুন্দর একটা সেট আর গোলাপি রঙের বেশ কিছু ফুল
৯ / ১২
পরিবারকে জানানোর আগে মিমের বোন, কাছের বন্ধু ও ফেরদৌস জানতেন এ প্রেমের কথা
১০ / ১২
মিমের মাকে রাজিও করিয়েছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস
১১ / ১২
সনি সম্পর্কে মিম বলেন, ‘সে খুবই বিনয়ী আর লক্ষ্মী ছেলে। এর সঙ্গে আমার বোঝাপড়া ভালো। যখন আমি আপসেট থাকতাম, সে আমাকে হাসানোর চেষ্টা করত, মন ভালো করে দিত। এ ছাড়া আমার কাজ নিয়ে খুবই সাপোর্ট দিত’
১২ / ১২
আপাতত বিয়ের সময় নেই মিমের। হাতের কাজগুলো সেরে তারপর বিয়ের দিনক্ষণ, পোশাক–আশাক নিয়ে ভাববেন

সমস্ত ছবি মিমের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম আর রেমিনিসেন্স ফটোগ্রাফির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া।