মূত্র পরীক্ষায় শনাক্ত হবে স্তন ক্যানসার!

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

মূত্র পরীক্ষা থেকে আগেভাগেই স্তন ক্যানসার শনাক্ত করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জার্মানির ফ্রাইবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন একটি গবেষণা মডেল নিয়ে কাজ করে সাফল্য পেয়েছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পদ্ধতি খুবই আশাব্যঞ্জক হতে পারে। বার্লিন থেকে পিটিআই এ খবর জানিয়েছে।

ফ্রাইবুর্গের গবেষকেরা এমন একটি পদ্ধতি বের করেছেন, যাতে কোষের পরিপাক নিয়ন্ত্রণকারী অণুগুলোর সম্মিলন পর্যবেক্ষণ করা হয়। ক্যানসার কোষের ক্ষেত্রে অনেক সময় এই অণুগুলোর এই নিয়ন্ত্রণ ভেঙে পড়তে দেখা যায়। মাইক্রো-আরএনএ হিসেবে চিহ্নিত এই অণুগুলো রক্তের মধ্য দিয়ে প্রস্রাবে চলে আসে। প্রস্রাবের মধ্যে এই অণুগুলোর উপস্থিতির পরিমাণ ও ধরন পর্যবেক্ষণ করেন জার্মানির এই গবেষকেরা। এই পদ্ধতিতে প্রস্রাব বা মূত্র পরীক্ষা করে ৯১ শতাংশ ক্ষেত্রেই রোগ শনাক্তের বিষয়ে সফল হয়েছেন তাঁরা।

জার্মানির গবেষকদের এই পরীক্ষণ-পদ্ধতি যাচাই করে দেখেছেন অন্য গবেষকেরাও। এই পদ্ধতি থেকে যথাযথভাবে রোগ পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসার সুযোগ তৈরি হতে পারে বলেও মনে করছেন কোনো কোনো গবেষক। আর সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক খবর হলো মূত্র পরীক্ষার এই ফ্রাইবুর্গ মডেল থেকে প্রাথমিক অবস্থাতেই স্তন ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব হতে পারে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। জার্মানির বিজ্ঞানীদের এই গবেষণাপত্রটি বিএমসি ক্যানসার সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

ফ্রাইবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসেট্রিকস ও গাইনোকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও স্তন ক্যানসার সেন্টারের পরিচালক ডক্টর এলমার স্টিকেলার এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন,‘আমরা আবিষ্কার করেছি যে, স্তন ক্যানসার আছে এমন রোগীর প্রস্রাবের মধ্যে একটি বিশেষ চরিত্র নিয়ে হাজির থাকে এই মাইক্রো-আরএনএর বিন্যাস। ফলে এই মাইক্রো-আরএনএ-এর মাধ্যমেই স্তন ক্যানসার পরীক্ষা নীতিগতভাবে সুবিধাজনক হতে পারে।’

এখন স্তন ক্যানসার শনাক্তের জন্য ম্যামোগ্রাফি কিংবা আলট্রাসাউন্ড পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় এবং টিস্যুর নমুনা থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু তেজস্ক্রিয়তা যুক্ত থাকায় এই ধরনের পরীক্ষার কারণে রোগীর শরীরে প্রভাব পড়ে বলে এসব পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে।