মূত্র সংক্রমণ এড়াতে কী খাবেন

ফাইল ছবি

মূত্র সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) অস্বস্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক এক পরিস্থিতি তৈরি করে। সমস্যাটা নারীদের ক্ষেত্রেই বেশি দেখা যায়। অনেকে আবার প্রায়ই মূত্র সংক্রমণে ভোগেন। বিশেষ করে মেনোপজ হয়ে গেছে এমন বয়স্ক নারী ও ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে এটা বেশি দেখা যায়।

জীবনযাত্রার পরিবর্তন, যথেষ্ট পানি পান, পরিচ্ছন্নতা, শৌচাগার ব্যবহারে সতর্কতা, পানীয় ও খাবারদাবারে সতর্কতা অবলম্বন করলে মূত্র সংক্রমণ অনেকাংশেই কমানো সম্ভব। ব্যাকটেরিয়াকে শরীর থেকে বের করে দিতে প্রচুর পানি পান করা ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো কিছু বিশেষ খাবার খাওয়া ও কিছু ক্ষতিকর খাবার বর্জন করলে উপকার পাওয়া যায়।

মূত্র সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবারদাবার নিয়ে আজ আলোচনা করছি।

ক্র্যানবেরি জুস: ক্র্যানবেরি একধরনের লাল রঙের জামজাতীয় ফল। গবেষণায় প্রমাণিত যে এই ক্র্যানবেরি মূত্র সংক্রমণ দূর করতে খুব সহায়ক। ফলটিতে প্রচুর বেটা ক্যারোটিন, লাইকোপেন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। ক্র্যানবেরি শুকনো ফল ও জুস—দুভাবেই পাওয়া যায় ও উপকারী।

ব্রকলি: প্রচুর ভিটামিন সি আছে ব্রকলিতে, যা মূত্রকে অ্যাসিডিক করে ইনফেকশনের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয়। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে সংক্রমণ দূর করে।

দারুচিনি: অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদানের কারণে শত শত বছর ধরেই দারুচিনি সমাদৃত। এটি শরীরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বেড়ে উঠতে বাধা দেয়। এক গবেষণায় জানা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মূত্র সংক্রমণ হওয়ার জন্য দায়ী ই. কোলি ভাইরাস প্রতিরোধ করে দারুচিনি।

পেঁপে: প্রচুর ভিটামিন সি আছে বলে পেঁপে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় ও মূত্রে অ্যাসিডিটি বাড়ায়। যে কারণে সংক্রমণ তৈরিতে দায়ী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, গাজর ও টমেটোর চেয়েও তিন গুণ ভালো ক্যারোটিওয়েড থাকে পেঁপেতে।

রসুন: রসুনে অ্যালিসিনসহ বেশ কিছু উপকারী উপাদান থাকে, যা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে বেশ ফলদায়ক। ই. কোলিসহ অনেক ব্যাকটেরিয়াকে দমন করতে পারে রসুন। বারবার ফিরে আসা মূত্র সংক্রমণ রোধেও রসুন বেশ উপকারী। কাঁচা রসুন খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়।