
কতভাবেই তো অন্দর সাজানো যায়—ফুলদানিতে ফুল, দেয়ালে দেয়ালচিত্র কিংবা মুখোশের ছড়াছড়ি, ফ্রেমে বাঁধানো ছবি—এমন আরও কত কী! কিন্তু এর সবই তো গেল আলো ঝলমল ঘরের জন্য, অন্ধকার ঘরে শোভা বাড়াবে কে? হ্যাঁ, অন্ধকার ঘরে শোভা বাড়াতে পারে মিটিমিটি মৃদু আলো! অল্প দামেই কিনে নিতে পারেন বাহারি সব বাতি।
মরিচ বাতি
না, ডেকোরেটরের কাছ থেকে ভাড়া করতে হবে না। কিনে নিতে পারেন মরিচ বাতি। বাজারে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের ও বিভিন্ন রঙের লতানো মরিচ বাতি মেলে এখন। কিছু বাতি পাবেন যেগুলো একনাগাড়ে জ্বলে। আবার মিটিমিটি জ্বলে এমনও আছে। একই লতায় লাল, সবুজ, নীল, হলুদ, সাদা রঙের মরিচ বাতি থেকে বেছে নিতে পারেন যেকোনোটি, আবার পরপর জ্বলবে—এমন বৈচিত্র্যের জন্য নিতে পারেন একই লতায় অনেকগুলো রঙের মিশেল। লম্বায় ১২ ফুট থেকে শুরু হওয়া মরিচ বাতির একেকটি লতার দাম শুরু ১৫০ টাকা থেকে। আছে প্লাস্টিক ফিতায় গাঁথা মরিচ বাতির লতাও। ফিতার বিপরীত পিঠে থাকা স্টিকার খুলে সহজেই লাগানো যায় ঘরে পছন্দসই কোনো জায়গায়। শুধু তা-ই নয়, রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বাতির জ্বলা-নেভা। পাঁচ মিটার দৈর্ঘ্যের ফিতায় গাঁথা মরিচ বাতির দাম ৮০০ টাকা।

স্টিক মরিচ বাতি
লতানো মরিচ বাতির পাশাপাশি পাবেন স্বচ্ছ কাচ বা প্লাস্টিকের স্টিক মরিচ বাতি। স্থির জ্বলে থাকা স্টিক মরিচ বাতি যেমন আছে, আছে একটানা আলোর প্রবাহ চলা স্টিক বাতি। সে ক্ষেত্রে ছয়টি বাতিসহ একেকটি স্টিকের দাম পড়বে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২০০ টাকা।
ডিজে লাইট
চক্রাকারে হরেক রঙের আলো ছড়াবে ডিজে লাইট। শুধু রঙের ছড়াছড়িই নয়, বাতি থেকে ছিটকে পড়া আলো আবার মেঝেতে বিভিন্ন ধরনের নকশা ফোটায়, এমনও আছে। সেসব নকশায় ফুটে ওঠে নানান ফুল, তারা, প্রজাপতিসহ অনেক কিছু।
দাম শুরু ১৫০ টাকা থেকে।
এলইডি বাতি
অনেকটা মরিচ বাতির মতোই জ্বলে-নেভে, তবে তুলনামূলকভাবে আকারে একটু বড়। পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের লাল, নীল, গোলাপি রঙে আঙুর ফলের আকারে। প্রজাপতি, ফুল কিংবা পুতুলের আকারেও পাবেন। নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের এমন সব এলইডি বাতি পাবেন ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়।
ম্যাজিক লাইট
এটিকে এক অর্থে ডিজে লাইটও বলা চলে। আকারে গোল চ্যাপ্টা পাতের মতো, অনেকটা সূর্যমুখী ফুলের কাঠামো। এর চারদিকে আছে বিন্দু বিন্দু বিভিন্ন আলোর বাতির সারি। এতে পেনড্রাইভ বা মেমোরি কার্ড থেকে সরাসরি গান বাজানো যায় বলে একে আবার মিউজিক প্লেয়ারও বলতে পারেন! গানের তালে তালে নেচে ওঠে আলোর ঝলক।
এমন ম্যাজিক লাইটের দাম শুরু ৭৫০ টাকা থেকে।
প্লাগ-ইন ডিম লাইট
সুইচ বোর্ডে প্লাগ ইন করলেই জ্বলে উঠবে একসঙ্গে অনেকগুলো ডিম লাইট। ব্যাঙের ছাতা, ফুলের ঝাঁপি কিংবা পাহাড়ি ঝরনাসদৃশ বাতিগুলো দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। পরপর সাতটি রঙের আলো ছড়ায়—এমন প্লাগ-ইন ডিম লাইট পাবেন ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে।
লেজার লাইট
হোটেল-রেস্তোরাঁর মতো বাসাবাড়ির পার্টিতেও রাখতে পারেন লেজার লাইটের আলোকরশ্মির উন্মাদনা। নিতে পারেন ৬৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে।
ব্যাডমিন্টন খেলার কর্ক
শীত আসি আসি করছে। বাড়ি বাড়ি পড়েছে ব্যাডমিন্টন খেলার ধুম। তা সেই ব্যাডমিন্টন খেলার কর্কেও যদি থাকে নানান রঙের আলোর উপস্থিতি? হ্যাঁ, লাল, সবুজ, নীল আর হলুদ রঙা চারটি আলোর উপস্থিতি আছে এমন চারটি কর্কের এক সেট কিনতে পারবেন ৩২০ টাকার মধ্যে। পাবেন খেলনার সরঞ্জামাদি বিক্রির দোকানে।
অন্যান্য
এ ছাড়া শিশুদের খেলনার উপকরণেও আছে আলোর উপস্থিতি। বিভিন্ন ধরনের ব্যাটারিচালিত প্লাস্টিক খেলনা পুতুল আছে। যেমন চড়ুইপাখি, খরগোশ, ডলফিন, আম, আনারসসহ আরও অনেক কিছু। সুইচ অন-অফ করে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে পুতুলের ভেতরে থাকা নানান রঙের আলোর জ্বলে ওঠা। প্লাস্টিকের হালকা এসব পুতুলের দাম শুরু মাত্র ১০ টাকা থেকে।
কোথায় পাবেন
ঢাকার পুরানা পল্টনে রয়েছে আলোকসজ্জার শতাধিক দোকান। পাবেন ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট, গুলিস্তান, নিউমার্কেটসহ শহরের প্রায় সব বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বিক্রির দোকানে। এমনকি চলতি পথের ফুটপাতেও মিলবে এমন সব বাতি।