মেয়ে মায়ের পথে, ছেলে বাবার!

জরিপের ফলে বলা হয়েছে, সন্তানের ভবিষ্যত্ মঙ্গল বিবেচনা করে বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকা উচিত। অন্যথায় এর প্রভাব ছেলে-মেয়ের চরিত্রের ওপরও পড়তে পারে। ছবিটি প্রতীকী।
জরিপের ফলে বলা হয়েছে, সন্তানের ভবিষ্যত্ মঙ্গল বিবেচনা করে বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকা উচিত। অন্যথায় এর প্রভাব ছেলে-মেয়ের চরিত্রের ওপরও পড়তে পারে। ছবিটি প্রতীকী।

বিবাহিত জীবনে মেয়েরা তাঁদের মায়ের আর ছেলেরা বাবার চরিত্রের নেতিবাচক দিকগুলো অনুসরণ করেন। তবে ছেলেরা বাবাকে যতটা অনুসরণ করেন, মেয়েরা সে তুলনায় মাকে বেশি অনুসরণ করেন। ব্রিটিশদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে পরিচালিত নতুন এক জরিপে এই দাবি করা হয়েছে। ডেইলি মেইল-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
যেসব নারী ও পুরুষ অনলাইনে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন, তাঁদের ওপর এই জরিপ চালানো হয়েছে। প্রায় দুই হাজার বিবাহিত নারী ও পুরুষ এই জরিপে অংশ নিয়েছেন।
জরিপের ফলে দেখা যায়, স্বামীর সঙ্গে প্রতারণাকারী নারীরা অনেক ক্ষেত্রেই মায়ের পথ অনুসরণ করেছেন। সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণাকারী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জন নারীই জানিয়েছেন, তাঁদের মা বাবার প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন না। এমন অনেক নারীই মনে করেন, বাবার প্রতি মায়ের অবিশ্বস্ত আচরণ নিজের বিবাহিত জীবনে সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করার ক্ষেত্রে তাঁদের প্রভাবিত করেছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৬২ ভাগ নারীই এই মত দিয়েছেন।

সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণাকারী ৭৩ ভাগ নারী জানিয়েছেন, বাবার সঙ্গে তাঁদের মা প্রতারণা করেছেন। আর ৫৪ ভাগ প্রতারক পুরুষ জানিয়েছেন, মায়ের প্রতি তাঁদের বাবা বিশ্বস্ত ছিলেন না। ছবিটি প্রতীকী।
সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণাকারী ৭৩ ভাগ নারী জানিয়েছেন, বাবার সঙ্গে তাঁদের মা প্রতারণা করেছেন। আর ৫৪ ভাগ প্রতারক পুরুষ জানিয়েছেন, মায়ের প্রতি তাঁদের বাবা বিশ্বস্ত ছিলেন না। ছবিটি প্রতীকী।


অন্যদিকে, বাবার চরিত্রের নেতিবাচক দিক অনুসরণে পিছিয়ে নেই ছেলেরাও। জরিপে দেখা গেছে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানো বেশির ভাগ পুরুষই তাঁদের বাবার পথ অনুসরণ করেছেন। তবে বাবাকে অনুসরণকারী পুরুষের তুলনায় মাকে অনুসরণকারী নারীর সংখ্যা বেশি। সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণাকারী ৭৩ ভাগ নারী জানিয়েছেন, বাবার সঙ্গে তাঁদের মা প্রতারণা করেছেন। আর ৫৪ ভাগ প্রতারক পুরুষ জানিয়েছেন, মায়ের প্রতি তাঁদের বাবা বিশ্বস্ত ছিলেন না।
জরিপের ফল নিয়ে এই গবেষণা প্রতিবেদনে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, সন্তানের ভবিষ্যত্ মঙ্গল বিবেচনা করে বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকা উচিত। অন্যথায় এর প্রভাব ছেলে-মেয়ের চরিত্রের ওপরও পড়তে পারে।