যা খেলে ওজন কমবে

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও কমাতে গ্রিন টি বা দুধ–চিনি ছাড়া কফির জুড়ি নেই
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও কমাতে গ্রিন টি বা দুধ–চিনি ছাড়া কফির জুড়ি নেই

অনেক খাবেন কিন্তু ওজন বাড়বে না, এমন খাবার আবার আছে নাকি? সব সময় ক্যালরি মেপে খেতে কার ভালো লাগে। তাই এবার ডায়েট তালিকায় যুক্ত করে নিতে পারেন তেমনই কিছু খাবার।

মাছ ওজন কমাতে সাহায্য করে
মাছ ওজন কমাতে সাহায্য করে

মাছ

ওজন কমানোর জন্য পুষ্টিবিদেরা বেশির ভাগ সময় মাছ খেতে পরামর্শ দেন। তৈলাক্ত মাছের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। ৪৪ জন মানুষকে নিয়ে ছয় সপ্তাহের এক গবেষণা করা হয়। সেখানে অন্যদের তুলনায় বেশি মাছ খাওয়া মানুষেরা আধা কেজি ওজন কমিয়েছে অন্য কিছু করা ছাড়াই। তা ছাড়া মাছ আমিষের ভালো উৎস, যা হাড়ের ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে। এমনটা বললেন পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ।

কফি

কফিতে রয়েছে ক্যাফেইন, যা মানসিক ও শারীরিক কার্যকারিতা বাড়ায় এবং মেটাবলিজম উন্নত করে। তবে খেয়াল রাখতে হবে এই কফি যেন চিনি ও ফুলক্রিম দুধ ছাড়া বানানো হয়। এক গবেষণায় বলা হয়েছে, মধ্যবয়স্ক যাঁরা ১২ ঘণ্টার মধ্যে দুই ঘণ্টা পরপর ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন গ্রহণ করেন তাঁরা দিনে প্রায় ১৫০ ক্যালরি হারাচ্ছেন শুধু এই ক্যাফেইনের জন্যই। আর প্রাপ্তবয়স্করা পারছেন ৭৯ ক্যালরি।

ডিম

ডিম একটি উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, যা ক্ষুধা হ্রাস করতে সাহায্য করে। ডিম চর্বি কমায়। হৃদ্‌রোগের জন্যও ডিম ভালো খাবার। শুধু ডিম খেয়েও ক্রাশ ডায়েট করা যায়। তবে এসব ডায়েট করার আগে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলে নেবেন।

গ্রিন টি

১২ জন প্রাপ্তবয়স্কের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে বাকিদের তুলনায় গ্রিন টি পানকারীদের ওজন কমেছে ১৭ শতাংশ। এর মধ্যে থাকা ক্যাফেইন এবং ইপিগোলটেনচিন আছে, যা মেটাবলিজম বাড়ায়, ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

আমিষ

অনেকেরই ধারণা, ডায়েট মানেই সব ধরনের খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া। যার প্রথমে সবাই শর্করা বাদ দেয়। এরপরই আমিষ। অথচ আমিষের অভাবে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে, চামড়া ঝুলে যায়, চুল পড়ে। সবচেয়ে মজার তথ্য, পর্যাপ্ত পরিমাণ আমিষ গ্রহণে ওজন কমতে পারে।

মুরগির মাংস থেকে পাওয়া প্রোটিন পেশি বৃদ্ধি করে, ক্ষুধা কমায়, পূর্ণতা বৃদ্ধি এবং অন্যান্য যেসব প্রোটিন উৎস আছে যেমন গরুর মাংস, খাসির মাংস থেকে অনেক বেশি নিরাপদ।

আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সিডার ভিনেগার ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। পেটের মেদ কমাতে এবং রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

তাহলে আজ থেকেই এ ধরনের খাবার যোগ হোক। আর আপনার খাবারের তালিকায় বাদ যাক তেল মসলাযুক্ত ভারী খাবার।