
বিরাট বড় ক্যাসেট প্লেয়ার কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর দিন তো আগেই ফুরিয়েছে। এমপিথ্রি প্লেয়ার আর আইপড এখন অনেকেরই পকেটে। একা একা গান শুনতেই হয়তো বেশি ভালো লাগে আপনার। তবে কখনো হয়তো মন চায় প্রিয় গানটি বন্ধুদেরও শোনাতে। আবার ল্যাপটপেও অনেকে আরও একটু জোরে শব্দ শুনতে চান। তাঁরা কিনে নিতে পারেন ছোট ছোট বহনযোগ্য স্পিকার।
তারসহ বা তার ছাড়া দুভাবেই ব্যবহার করতে পারেন এগুলো। দেখতেও বাহারি এসব স্পিকার। কোনোটা আপেল আকারের, কোনোটা আবার নানা পানীয়র ক্যানের মতো। কাজও চলবে, দেখতেও দারুণ। গান শোনার জন্য বহনযোগ্য স্পিকারগুলোতে বেশ কিছু সুবিধাও রয়েছে। এই বহনযোগ্য স্পিকারগুলোতে রয়েছে এফএম রেডিও শোনার সুবিধাও। আর আছে মেমোরি কার্ড ব্যবহারের সুযোগ। এগুলো চলে রিচার্জেবল ব্যাটারি সুবিধা।

দরদাম
বিভিন্ন কোমল পানীয় ক্যানের আকৃতির বহনযোগ্য স্পিকারের দাম ৪৫০ টাকা। বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি আকৃতির পোর্টেবল স্পিকারের দাম ৪০০ টাকা। আপেল আকৃতির পাবেন ৫০০ টাকায়। গাড়ি আকৃতির স্পিকার ৬০০ টাকা। পাওয়া যাচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের মাসকট ফুলেকো দ্য আরমাডিলো আকারের স্পিকারও, দাম ৯৫০ টাকা।
এ ছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইউএসবি মিনি স্পিকারের দাম ৬৫০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। ক্রিয়েটিভ স্পিকারের দাম ৬৫০ থেকে এক হাজার টাকা। মাইক্রোল্যাব ব্র্যান্ডের স্পিকার ৬০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। হেভিট মিনি স্পিকার ৬০০ থেকে এক হাজার ৭০০ টাকা। জিনিয়াস স্পিকার ৬০০ থেকে দুই হাজার ৩০০ টাকা।

ওয়ারেন্টি
ব্র্যান্ডের স্পিকারগুলো প্রতিটি এক বছরের ওয়ারেন্টি দেওয়া হয়। নন-ব্র্যান্ডের যেমন বহনযোগ্য ক্যান, ট্রফি, পুতুল এই ধরনের স্পিকারগুলো সাধারণত ওয়ারেন্টি থাকে না।
কোথায় পাবেন
এই স্পিকার পাবেন ঢাকার বিসিএস কম্পিউটার সিটি, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের প্রথম তলা ও ষষ্ঠ তলায়, প্রগতি সরণি যমুনা ফিউচার পার্কের চতুর্থ তলা, ইস্টার্ন প্লাজার পঞ্চম তলা, এলিফ্যান্ট রোড মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের চতুর্থ থেকে দশম তলার দোকানগুলেঅতে।