
কখনো লাল রং, কখনো বা গোলাপি। মন্দ লাগে না বাদামি রংটিও। বলছিলাম চুলে রং করার কথা। হাল ফ্যাশনের চাহিদা মেটাতে চুল রং করে থাকেন অনেকে। তবে রং করার পর অনেকেরই সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া হয় না। ফলে সুন্দর চুলগুলো নষ্ট হয়ে যায় কিছুদিনের মধ্যেই। রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা মুন্নী জানালেন এমন চুলের যত্ন নেওয়ার কিছু পদ্ধতি।
অনেকে আগে রং করা চুলের ওপর আবার রং করাতে চান। কেউ বা হয়তো কখনোই রং করাননি। এটাই আপনার প্রথমবার। চুলের ধরন জেনে তারপর রং করান। কারণ, আগে রং করা চুল না হলে সাধারণত ব্লিচ ব্যবহার করার দরকার হয় না। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আগেই কথা বলে নেবেন।
যেকোনো রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারে চুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের রং ব্যবহার করতে হবে। চুলের ভালো বা খারাপ থাকা এর ওপর অনেকাংশে নির্ভর করবে।
অনেকেই আছেন, যাঁরা কিছুদিন পরপরই চুলে রং করান। এটা না করালেই ভালো। তবে যাঁরা সাদা চুল ঢাকার জন্য এ কাজটি করেন, তাঁদের কথা ভিন্ন। অনেকের চুল খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যায়। এ কারণে গোড়া থেকে ওঠা চুলগুলোর সঙ্গে রং করা চুলগুলো সহজেই আলাদা করা যায়। পুরা চুলে রং না করে শুধু চুলের নতুন অংশটি রং করা যেতে পারে।
একেকজনের চুলের ধরন একেক রকম। কারও চুলে কম ক্ষতি হয়, কারও বেশি ক্ষতি হয়। চুল ফেটে যায় অনেকের। সপ্তাহে এক দিন না পারলে ১৫ দিনে একবার অবশ্যই অভিজ্ঞ হাতের দ্বারা হেয়ার স্পা, প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করাতে হবে। চুল রং করার পরপরই চুলের কীভাবে যত্ন নেবেন, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
চুলের রং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় রোদ থেকে। এই সময়ে রোদ নিরোধক সিরাম ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া চুলের স্কার্ফ অথবা ছাতা চুল ঢাকার জন্য সব সময় ব্যাগের মধ্যেই রাখুন।
রং করা চুলের জন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার কিনতে পাওয়া যায়। বাড়িতে ভালো মানের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে সব সময়।
রং করা চুলে সরাসরি মেহেদি লাগাবেন না। মেহেদির সঙ্গে অন্যান্য উপকরণ মেশানো থাকলে তবেই সেটা ব্যবহার করা যাবে।
চুলের কোনো কোনো অংশ ফাটা, খারাপ থাকতে পারে। সে চুলগুলো কেটে তারপর রং করান। তা না হলে চুল ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।