রং করা চুলের যত্ন নেবেন কী করে
চুল রাঙাতে ভালোবাসেন অনেকেই, কিন্তু রং করা চুলের যে আলাদা যত্ন না নিতে হয়, সেটা নিতে চান না। ফলে দ্রুতই নষ্ট হয়ে যায় সেই রং। তাই চুলে শুধু পছন্দমতো রং দিলেই হবে না, নিয়মিত যত্নও নিতে হবে।
রেড বিউটি সেলুনের স্বত্বাধিকারী আফরোজা পারভীন বলেন, চুলে রং মানেই বাড়তি কেমিক্যালের যোগ। এ জন্য চাই নিয়মিত যত্ন। চুলে নিয়মিত ম্যাসাজ ও স্পা করাতে হবে। রং করা চুলে আমলা প্যাক দেওয়া যাবে না। এতে রং নষ্ট হয়ে যাবে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন চুলের পরিচর্যা করাতে হবে। মাসে এক দিন পরিচর্যা করালে চুলের রং দ্রুত ফিকে হয়ে যায়। যেহেতু কেমিক্যাল দিয়ে রং করা হয়, তাই পরিচর্যার জন্যও কেমিক্যাল জরুরি। অবশ্যই যে শ্যাম্পুগুলো কালার প্রোটেক্টেড, সেসব শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। কেমিক্যাল সম্পর্কে যদি সঠিক জ্ঞান না থাকে, তাহলে নিজে নিজেই চুলের স্পা, পরিচর্যা না করাই ভালো। নষ্ট হয়ে যেতে পারে রং, ঝরে যেতে পারে চুল। এ জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জরুরি।
এ ছাড়া কিছু পরিচর্যা আপনার রাঙানো চুলকে করবে আরও আকর্ষণীয়
নিয়মিত তেল: চুলে রিবন্ডিং, রং বা হাইলাইটস করানো মানে হলো কৃত্রিম উপায়ে চুলের সৌন্দর্য বাড়ানো। এই কৃত্রিম সৌন্দর্যের জন্য চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হতে পারে। প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য চুলে নিয়মিত তেল দিতে হবে। তেল দেওয়ার সময় চুলের গোড়ায় আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করতে হবে। এভাবে মাথার তালু থেকে চুলের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তেল লাগাতে হবে। তেল লাগানো চুলে দ্রুত ধুলাবালু জমে। তাই যেদিন বাসায় থাকবেন, সেদিন চুলে তেল লাগানোর চেষ্টা করবেন। তবে পারলারে যেতে পারলে বেশি ভালো।
গরম পানি দেবেন না: গরম পানিতে চুলের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। নিয়মিত গরম পানিতে চুল পরিষ্কার করলে কমে যায় কৃত্রিম রঙের চিকচিকে আভা। এ জন্য শীতকালে শরীরে গরম পানি ব্যবহার করলেও রং করা চুলের জন্য চাই স্বাভাবিক পানি। যদি আপনার হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট, সাইনোসাইটিস, টনসিলে ইনফেকশন, জ্বর, কাশি ইত্যাদি থাকে, তাহলে সাময়িকভাবে হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন।
সালফেটযুক্ত শ্যাম্পু বাদ দিন: সালফেট দেওয়া শ্যাম্পুতে লবণ থাকে। এ ধরনের শ্যাম্পু চুলের উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয়। চুলে যে ধরনের রং বা হাইলাইটই থাকুক না কেন, সালফেটে ফিকে হয়ে যায়। সালফেট নেই, এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। চুল রং করার পর ঘন ঘন তাপ দিয়ে চুলের স্টাইল পরিবর্তন করা অনুচিত। এতে মসৃণতা হারিয়ে ফেলে চুল।
ট্রিমিং: চুলের আগা ফেটে গেলে অথবা এলোমেলোভাবে বড় হলে, ফেটে যাওয়া অংশগুলোতে রং অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে। চুলের বৃদ্ধিও ব্যাহত হয়। এ জন্য বৃদ্ধি বুঝে নিয়মিত নিজের চুলের ট্রিমিং করতে হবে।