রুমমেটের সঙ্গে বোঝাপড়া

>
অলংকরণ: তুলি
অলংকরণ: তুলি

নিজ আঙিনা ছেড়ে নতুন শহরে অনেকেই পাড়ি জমান। পড়াশোনা কিংবা চাকরির খাতিরে প্রতিবছর হাজারো মানুষ এই তালিকায় ভিড় জমান। নতুন হোস্টেল, হল কিংবা মেসের পরিবেশটা কেমন অচেনাই ঠেকে। আর এর মধ্যে আপনার রুমমেট যদি হয় বিপরীত মেরুর, তাহলে তো কথাই নেই। যাঁর সঙ্গে দিন-রাত গুজরান করছেন, তাঁর সঙ্গেই যদি মনোমালিন্য লেগে থাকে, তবে সেখানে থাকাটাই দায়।

কিন্তু তাই বলে তো আর যখন-তখন হোস্টেল বা হলের ঘর পাল্টানো সম্ভব নয়। এ জন্য বরং রুমমেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখুন।

রুমমেটের সঙ্গে যত সব ঝামেলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মালিহা বিনতে নাসিম। ফরিদপুরে নিজ ঘরখানা ছেড়ে এখন থাকছেন কবি সুফিয়া কামাল হলে। রুমমেটদের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘প্রথম প্রথম বেশ খারাপ লাগত, কিন্তু এখন হল-জীবনটা খারাপ লাগছে না।’ আর রুমেটরা? মালিহা বলেন, ‘হ্যাঁ, একটু সমস্যা তো হয়েছেই, কেননা, এখানে আমরা চারজন থাকছি। সবার মানসিকতা তো এক নয়। হয়তো দেখা গেল আজ রুমের কারও জন্মদিন কিন্তু পরদিন আবার আরেকজনের পরীক্ষা। এসব বিষয়ে ছোটখাটো সমস্যা তো হয়েই থাকে।’

 এ না হয় সামান্য সমস্যা। কিন্তু এসব অনেক সময় তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। যেমন কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই আরেক শিক্ষার্থী ফরিদুল আহসানের সঙ্গে। শিক্ষা এবং গবেষণা অনুষদের এই ছাত্র বলেন, ‘বিবাদ এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে আগের মেস ছেড়ে একেবারে হলেই সিট নিয়েছি। এখানেও সিনিয়র রুমমেটদের সঙ্গে সমস্যা হয়। তারপরও মানিয়ে নিচ্ছি।’

এ রকম শত সমস্যা নিত্যদিনই আমাদের পোহাতে হয়। আপনি হয়তো আজ খুবই ক্লান্ত তারপরও হলের রুম পরিষ্কার করার কাজটা আপনাকেই দেওয়া হলো। কিংবা রুমের একটি মাত্র টেবিলে আপনার পছন্দের বই রাখলেন তো অন্যজন সেটা সরিয়ে নিজের বইগুলো রাখলেন। রাতে লাইট জ্বালিয়ে রাখা, অতিরিক্ত শব্দ, রান্না করা এমন সব বিষয় নিয়েও ঝামেলা লেগেই থাকে।