লেবুগাছ লাগানোর দিন

আঙিনায় লেবুগাছ নেই, এমন একটা বাঙালি বাড়ি কিন্তু একসময় ভাবাই যেত না। সাজানো ভাতের থালার এক পাশে রসাল লেবুর ফালি, খাবার শুরুর আগে ধোঁয়া ওঠা ভাতের ওপর লেবু চিপে রস মাখিয়ে নেওয়া, তারপর আলগোছে লোকমা মুখে দেওয়া—এই না হলে বাঙালি ভোজন। কিন্তু আজকাল কি আর এমন আছে! বাড়ি বাড়ি লেবুগাছ তো এখন দেখাই যায় না।

অথচ কতই না উপকারী এ ঔষধি ছোট্ট ফলটি। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফলটির জুড়ি নেই। এ ছাড়া লেবুর রয়েছে বহুমুখী ব্যবহার। ত্বক কিংবা রূপচর্চা থেকে শুরু করে চুলের খুশকি দূরীকরণে লেবু যেমন উপকারী, তেমনই কাপড়, গৃহস্থালি তৈজসপত্র, ধাতব-অধাতব বিভিন্ন বস্তু পরিষ্কারক হিসেবেও এর উপকারিতা প্রমাণিত। লেবুর শরবত, সে আর বলতে! লেবুর খোসা বা পাতাও দারুণ কাজের। বমিভাব ও চুলকানি দূরীকরণে কিংবা দাঁতের যত্নে ব্যবহৃত হয় লেবুপাতা। গৃহসজ্জা, বিশেষত অন্দরসজ্জাতেও রয়েছে লেবুর ব্যবহার।

আজ ২১ মে, লেবুগাছ রোপণ দিবস। ঠিক কবে কীভাবে দিবসটির যাত্রা শুরু, জানা যায় না। জেনেই বা কী হবে! তার চেয়ে আসুন না, বাড়ির আঙিনায় আজ অন্তত একটি লেবুগাছ লাগাই। শহরের ফ্ল্যাটবাড়ির ছাদে বা ব্যালকনিতে টবে লাগাতে পারেন এই গাছ।

ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে