শিক্ষার্থীদের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে টিকটক

অল্প দিনের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে টিকটক। অনেকে বলছেন, সামাজিক এই যোগাযোগমাধ্যমই প্রযুক্তি দুনিয়ার ‘নেক্সট বিগ থিং’। আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যম হিসেবে টিকটককে গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে টিকটকে রুচিশীল কনটেন্টের অভাব, এটি তরুণদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছে—এমন অপবাদও শোনা যায়। তরুণদের মধ্যেও রয়েছে টিকটক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দেশের নানা প্রান্তের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীর কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম টিকটক সম্পর্কে তাদের ভাবনা।

সুমাইয়া হক, শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

একটা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দুটো দিক থাকে, এটাই স্বাভাবিক। তবে করোনাকাল বোধ হয় টিকটকের মন্দ দিকগুলো আরও বেশি করে আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে। টিকটকের প্রভাবে নানা গান-সংলাপের সঙ্গে তরুণেরা ঠোঁট মেলাচ্ছেন, অদ্ভুত সব নাচের মুদ্রা রপ্ত করছেন। তারকাদের জুতায় পা গলাতে গিয়ে অনেক যেটা করছেন, সেটা উচ্ছৃঙ্খলতা ছাড়া কিছু না।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

ভালো কনটেন্টও নিশ্চয়ই টিকটকে আছে। তবে কুরুচিপূর্ণ ভিডিওগুলোই এখানে দেখা হয় বেশি। আর এসব ভিডিও যেসব অ্যাকাউন্টে পাওয়া যায়, সেগুলোর ফলোয়ারও লাখো কোটি। এ ছাড়া ছেলেমেয়েরা টিকটকের ভিডিও বানাতে গিয়ে কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের বানানো ভিডিওর বিষয়বস্তু কখনো কখনো অবাস্তব, অসামাজিক, ঝুঁকিপূর্ণও। এই গ্যাংগুলো বিভিন্ন সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছে—এমন ঘটনাও আমরা পত্রিকায় পড়েছি।

শিক্ষার্থীদের ওপরই বোধ হয় টিকটকের নেতিবাচক প্রভাব সবচেয়ে বেশি। কেননা, এই বহুল আলোচিত অ্যাপ যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের অধিকাংশই বয়সে তরুণ। তরুণেরা যদি পথ হারান, ভুক্তভোগী হবে তাঁদের পরিবার ও সমাজ।

বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে দেখা যায় তথাকথিত টিকটকারদের। তারা পরিবেশ নষ্ট করছে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। একটা সুস্থ-সুন্দর প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলে এসব ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার এখনই সময়।