শেকল ভাঙার গান

ডিসি হিলে মে দিবসের অনুষ্ঠানে নাচ পরিবেশন করে শিশুশিল্পীরা
ডিসি হিলে মে দিবসের অনুষ্ঠানে নাচ পরিবেশন করে শিশুশিল্পীরা

কণ্ঠে প্রতিবাদী গান ও কবিতা, চোখে-মুখে সাম্যের বীজমন্ত্র। মে দিবসের দিন সংস্কৃতি অঙ্গনের চিত্র ছিল এমনই। নগরের ডিসি হিল ও শিল্পকলা একাডেমীতে দিবসটি উপলক্ষে নানা আয়োজন করে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
শিল্পকলা একাডেমী: ১ মে বিকেল পাঁচটায় ‘জয়ধ্বনি জীবনের মুক্তির শপথের, জনতার শ্রমিকের বিশ্ব পতাকা’ স্লোগানে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর মুক্তমঞ্চে শুরু হয় মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসের অনুষ্ঠান। আয়োজক ছিল সমাজ সমীক্ষা সংঘ, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায় এবং দৃষ্টি চট্টগ্রাম। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় আয়োজন। এরপর ছিল কথামালার পর্ব। আবৃত্তিশিল্পী মো. মুজাহিদুল ইসলামের পরিচালনায় কথামালা পর্বে সভাপতিত্ব করেন সমাজ সমীক্ষা সংঘের সভাপতি কাজী মাহমুদ ইমাম। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী এবং মূল আলোচক ছিলেন প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার।
সভায় বক্তারা বলেন, মে দিবস আজ পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তের বৈষম্যের শিকার মানুষের সংগ্রামের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। আলোচনা শেষে ‘শেকল ভাঙার গান’ শিরোনামে দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন সমাজ সমীক্ষা সংঘের শিল্পীরা। এরপর ছিল তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের ‘মিছিল’ শিরোনামের বৃন্দ আবৃত্তি এবং অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়ের পথনাটক রক্তস্নান। এরপর ‘আমার এ দেশ সব মানুষের’ শিরোনামের একক সংগীত পরিবেশন করেন সেঁজুতি দে। সেঁজুতির গানের পর মঞ্চে একে একে আবৃত্তি করেন সাবিরা সুলতানা, বনকুসুম বড়ুয়া, সংগীতা দেবী এবং কাজী মাহতাব। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন ভাগ্যধন বড়ুয়া এবং মনিরুল মনির। সবশেষে দৃষ্টি চট্টগ্রামের পরিবেশনায় পেশাজীবী-শ্রমজীবী বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
ডিসি হিল: নগরের ডিসি হিলে মে দিবসের দিন বিকেলে ‘রক্তে ধোয়া মে তোমায় সেলাম’ শিরোনামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মে দিবস উদ্যাপন পরিষদ। আয়োজনের শুরুতে উদীচীর কেন্দ্রীয় সহসভাপতি চন্দন দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি মৃণাল চৌধুরী ও প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান। কথামালা শেষে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। গণসংগীত গেয়ে শোনান উদীচীর শিল্পীরা। আয়োজনে নাচ পরিবেশন করে স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্সের শিল্পীরা। এরপর প্রমা আবৃত্তি সংগঠন ও বোধনের শিল্পীরা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে শোনান মেহনতি মানুষের গল্প। সব শেষে চট্টগ্রাম চলচ্চিত্র কেন্দ্রের আয়োজনে মোরশেদুল আলম পরিচালিত সূচনা চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়।