সচেতন হোন এখনই
৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যানসার দিবস। সচেতন বা জানা থাকলে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়। প্রথম পর্যায়ে রোগ ধরা পড়লে তার চিকিৎসাও করা যায়। নানা রকম ক্যানসার নিয়ে আজকের এই লেখা।

ক্যানসার একক কোনো রোগ নয়। শত শত রোগ। দেহের যেকোনো অঙ্গে ক্যানসার জন্মাতে পারে। এ রোগের অপর নাম ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বা নিওপ্লাজম। একটি কোষ থেকে এই রোগের উৎপত্তি, যা খালি চোখে দেখা যায় না। মানবদেহ বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য কোষের গাঁথুনি। প্রতিটি কোষ অত্যন্ত সুচারুভাবে কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে তার সত্তা বজায় রাখে। প্রয়োজনে প্রায় সব কোষই নিয়মতান্ত্রিকভাবে নতুন কোষের জন্ম দেয় এবং পুরোনো কোষ বিদায় নেয়।
প্রতিটি কোষে নিরন্তর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ঘটে চলেছে। কোষের ভেতরে অবস্থানকারী জিন হচ্ছে এ কোষের সব কর্মকাণ্ডের মূল। বিভিন্ন ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানের আঘাতে কোষের নিয়ন্ত্রণকারী জিনেরÿক্ষতি হয়। সে ক্ষত না সারলে কোষ অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। ক্যানসার হলো জিনের সূক্ষ্ম পরিবর্তন। এতে স্বাভাবিক কোষের রূপান্তর ঘটে। কোষ দ্রুতগতিতে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে কোষসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটিয়ে যায়—যা কখনো পিণ্ড আকার ধারণ করে, কখনো বা শুধু কোষসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটায়। ধীরে ধীরে ক্যানসার পার্শ্ববর্তী অঙ্গে প্রবেশ করে এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে যায়। দূরের অঙ্গে রোগ ছড়িয়ে যাওয়াকে ‘মেটাসটেসিস’ বলে। ক্যানসারে মৃত্যুর কারণই এ মেটাসটেসিস।
স্বাভাবিক কোষ রাতারাতি ক্যানসার হয়ে ওঠে না। দীর্ঘদিন বিভিন্ন পর্যায় পার হয়ে অবশেষে ক্যানসার কোষে পরিণত হয়।
ক্যানসারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ—
* বয়স বেড়ে যাওয়া।
সিগারেট ও তামাকপাতা ৬০ শতাংশ ক্যানসারের জন্য দায়ী। ৮০ শতাংশ ফুসফুস ক্যানসারের মৃত্যুর কারণ সিগারেট ও তামাকপাতা।
অ্যালকোহল।
অস্বাস্থ্যকর খাবার (অতিরিক্ত লাল মাংস, প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত চিনি ও লবণ যুক্ত খাবার বা উচ্চ ক্যালরির খাবার, শাকসবজি, ছত্রাক পড়া খাবার, আর্সেনিকযুক্ত পানি)। খাদ্যাভ্যাস ৩০ শতাংশ ক্যানসারের কারণ। ফলমূল কম খাওয়াও ক্যানসারের একটি কারণ।
অতিরিক্ত ওজন।
শারীরিক পরিশ্রম না করা।
দীর্ঘদিন সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত থাকা, যেমন হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি ও হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস এবং এইডস ভাইরাস, হেলিকোব্যাক্টও পাইলোরি, প্যারাসাইট।
কিছু কিছু হরমোন।
কিছু কিছু রাসায়নিক দ্রব্য।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়।
তেজস্ক্রিয় রশ্ম ও সূর্যরশ্মি।
ঘরে-বাইরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
পরিবারে ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে। তাদের সংখ্যা ৫ শতাংশ।
ক্যানসার প্রতিরোধ
এক-তৃতীয়াংশ ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। ক্যানসার সৃষ্টিকারী বিষয়গুলো এড়িয়ে চললে কিংবা জীবনযাপনের পরিবর্তন ঘটিয়ে ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়।
সিগারেট ও তামাকপাতার ব্যবহার চিরতরে বন্ধ করা।
ধূমপান এলাকা এড়িয়ে চলা। পরোক্ষÿধূমপানের শিকার না হওয়া
শারীরিক ওজন সারা জীবন স্বাভাবিক রাখা।
শারীরিক পরিশ্রম করা। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটা।
স্বাস্থ্যসম্মত ও সুষম খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা। যথেষ্ট পরিমাণ টাটকা শাকসবজি, ফলমূল খাওয়া।
অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকা।
হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা এবং অল্প বয়সে এর টিকা দেওয়া
হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধে টিকা নেওয়া
তেজস্ক্রিয় রশ্মির আঘাত প্রতিরোধে অযথা এক্স-রে না করা, দীর্ঘ সময় কড়া রোদে না থাকা, ছাতায় শরীর ঢেকে রোদে যাওয়া।
বায়ুদূষণ থাকলে নাকে-মুখে মাস্ক ব্যবহার করা।
রান্নাঘরের জ্বালানি ব্যবহারে সচেতন হওয়া, যাতে বাড়ির ভেতরের পরিবেশ সুস্থ থাকে।
কর্মক্ষেত্রে রাসায়নিক দ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাব কাটাতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়মাবলি মেনে চলা
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগনির্ণয় হলে উপযুক্ত চিকিৎসা দিয়ে রোগ নিরাময় করা যায়। ক্যানসারজনিত মৃত্যু ঠেকানো যায়।
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয়
১.
ক্যানসারের সতর্কসংকেতগুলো জানা। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগনির্ণয় হয়। উপযুক্ত চিকিৎসায় রোগ নিরাময় হয়।
ক্যানসারের কয়েকটি সতর্কসংকেত
কাশি তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে। সহসা কাশি সেরে না গেলে।
অনিচ্ছাকৃত ওজন কমে যাওয়া। তিন মাসে পাঁচ কেজি ওজন কমা।
নারীদের জরায়ু থেকে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ। দুই মাসিকের মধ্যবর্তী সময় এবং মেনোপজ নারীদের মাসিকের মতো রক্তক্ষরণ।
স্তনের অস্বাভাবিক পরিবর্তন। স্তনে চাকা, ত্বক কুঁচকে যাওয়া, বৃন্ত ডেবে যাওয়া, বৃন্ত থেকে তরল বের হওয়া।
খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া।
দীর্ঘদিন বদহজম থাকা।
পেট ফেঁপে থাকা, ফুলে ওঠা ও ভারী বোধ হওয়া।
ত্বকের ক্ষত শিগগিরই না সেরে ওঠা। আঁচিলের পরিবর্তন।
মল, মূত্র ও কাশিতে রক্ত দেখতে পাওয়া।
পেটব্যথা ও মনমরা ভাব।
মুখ ও মুখগহ্বরে ক্ষত না শুকানো, সাদা বিচি।
দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা।
দেহের যেকোনো স্থানে পিণ্ড বা চাকা অনুভব করা।
অকারণে জ্বর থাকা।
অকারণ দুর্বলতা।
সাধারণত ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী পুরুষদের অণ্ডকোষের পরিবর্তন বা চাকা অনুভব করা।
প্রস্রাবের সমস্যা। ঘনঘন প্রস্রাব, জ্বালাপোড়া, আটকে যাওয়া, বেগ কমে যাওয়া।
উল্লিখিত সংকেতগুলো শুধু ক্যানসার নির্দিষ্ট করে না। অন্যান্য রোগেও এসব উপসর্গ থাকতে পারে।
২.
ক্যানসার স্ক্রিনিং করা। ক্যানসারের কোনো চিহ্ন নেই, উপসর্গ নেই কিন্তু ক্যানসারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ—এমন ব্যক্তিদের বিভিন্ন পরীক্ষা করে খুঁজে দেখা ক্যানসার আছে কি না। এতে প্রায়ই ক্যানসার পূর্বাবস্থায় রোগ নির্ণয় হয়। নিজে ক্যানসারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কি না, তা জানা এবং স্ক্রিনিংয়ে অংশ নেওয়া।
নারীদের বেলায়
বিয়ের তিন বছর পর থেকে (২১ বছরের আগে নয়) পেপস টেস্ট এবং ভায়া টেস্ট করানো। এ টেস্ট জরায়ুমুখ ক্যানসার স্ক্রিনিং একটি সফল উদাহরণ।
২০ বছর বয়স থেকে নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করতে শেখা। ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়স পর্যন্ত তিন বছরে একবার এবং ৪০ বছর হলে বছরে একবার চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা করানো। প্রয়োজনে ম্যামোগ্রাফি ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা।
পুরুষদের বেলায়
১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ব্যক্তিরা প্রতি মাসে গোসলের সময় নিজের অণ্ডকোষ নিজে পরীক্ষা করে দেখা।
মাসে একবার গোসলের সময় নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করা।
নারী-পুরুষ উভয়ই
প্রতি মাসে একবার দাঁত ব্রাস করার সময় নিজের মুখ ও মুখগহ্বর নিজে আয়না দিয়ে পরীক্ষা করা
প্রতি মাসে দেহের কোথাও তিল বা আঁচিল থাকলে নিজে পরীক্ষা করা।
৫০ বছর বয়স হলে কোলন ক্যানসারের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করানো।
ক্যানসার চিকিৎসা
যথাযথ ও উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য রোগনির্ণয় সঠিক হতে হবে। কারণ, প্রতিটি রোগই আলাদা এবং চিকিৎসাও আলাদা। ক্যানসারের প্রচলিত চিকিৎসাগুলো হলো সার্জারি (অপারেশন), কেমোথেরাপি (ওষুধের চিকিৎসা) ও রেডিওথেরাপি (তেজস্ক্রিয় রশ্মির চিকিৎসা)। সবারই সব চিকিৎসাপদ্ধতির প্রয়োজন হয় না। চিকিৎসার প্রাথমিক লক্ষ্য রোগ নিরাময় করা অথবা জীবনকে দীর্ঘায়িত করা। তবে রোগীর জীবন-মান বাড়ানো চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। এর জন্য প্রয়োজন প্রশমনসেবা (পেলিয়েটিভ কেয়ার) এবং মানসিক সহায়তা।
নিরাময়যোগ্য প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় হওয়া রোগ।
সচরাচর যেসব রোগ বেশি হয় (যেমন স্তন, জরায়ুমুখ, মুখ, কোলন, রেক্টাম প্রভৃতি ক্যানসার), প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় হলে এবং চিকিৎসা যথোপযুক্ত হলে নিরাময় হওয়া সম্ভাবনা বেশি।
নিরাময়যোগ্য অন্যান্য ছড়িয়ে যাওয়া রোগ
কিছু কিছু ক্যানসার, যা দেহের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে গেলেও উপযুক্ত চিকিৎসা দিয়ে নিরাময় করা যায়। যেমন শিশুদের লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, অল্প বয়সী পুরুষদের অণ্ডকোষের ক্যানসার।
প্রশমনসেবা (পেলিয়েটিভ কেয়ার)
পেলিয়েটিভ কেয়ারের অপর নাম সাপোর্ট কেয়ার বা সহায়ক চিকিৎসা। বাংলায় প্রশমনসেবা। কমফোর্ট কেয়ারও (আরাম করে দেওয়ার ব্যবস্থা) বলা যায়। পেলিয়েটিভ কেয়ার হলো এমন সব ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে রোগীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় থাকে এবং জীবনে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। ক্যানসারের জন্য নির্ধারিত চিকিৎসা সময়মতো গ্রহণ করে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন লাভ করতে পারেন। রোগী ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসায় সন্তুষ্টি আসে। পেলিয়েটিভ কেয়ারের মূল লক্ষ্য হলো রোগীর বিভিন্ন উপসর্গের উপশম ঘটিয়ে, জীবন-মান বাড়িয়ে জীবনকে অর্থবহ করে তোলা।
সাধারণত ক্যানসার তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে এসে গেলে বিভিন্ন উপসর্গে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। উপযুক্ত পেলিয়েটিভ কেয়ার দিতে পারলে ৯০ শতাংশের বেশি রোগীর উপসর্গ উপশম করা যায়।
পেলিয়েটিভ কেয়ার চালু করার কৌশল
জনসাধারণের মধ্যে এ বিষয়ে ধারণা দেওয়া প্রয়োজন। সমাজে ও পরিবারে সেবাদানের ব্যবস্থা করা দরকার, যাতে বাড়িতে রোগীর ব্যথাসহ অন্যান্য উপসর্গের উপশম করা যায়।
ক্যানসার রোগী যারা তীব্র ব্যথায় কাতর, তাদের ব্যথা লাঘবে মুখে খাবার মরফিন বড়ি বা সিরাপ পর্যাপ্ত পরিমাণ সরবরাহ করা জরুরি প্রয়োজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১২-এর রিপোর্ট অনুয়ায়ী, গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য
বিশ্বব্যাপী ক্যানসারের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। আজকের দিনে ক্যানসার মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। প্রতিবছর ১ কোটি ৪০ লাখ নর-নারী নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে এবং ৮২ লাখ রোগী এ রোগে মৃত্যুবরণ করছে।
এ সংখ্যা আগামী দুই দশকে ৭০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০৩২ সালে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটি ২০ লাখে।
পুরুষদের প্রধান পাঁচটি স্থানের ক্যানসার—যথা ফুসফুস, প্রোস্টেট, কোলন ও রেক্টাম, পাকস্থলী ও লিভার (যকৃৎ)।
ক্যানসারজনিত মৃত্যুর প্রধান কারণ
ফুসফুস ক্যানসার
লিভার ক্যানসার
পাকস্থলী ক্যানসার
কোলন ক্যানসার
স্তন ক্যানসার
গলনালি ক্যানসার
অতিরিক্ত ওজন ১০টি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়
কোলন
* স্তন (মেনোপজ নারী)
জরায়ু (এন্ডোমেট্রিয়াম)
পিত্তথলি
ডিম্বাশয়
কিডনি
লিভার
থাইরয়েড
খাদ্যনালি
ব্লাড ক্যানসার (লিউকেমিয়া)
•নারীদের প্রধান পাঁচটি ক্যানসার—স্তন, কোলন ও রেক্টাম, ফুসফুস, জরায়ুমুখ এবং পাকস্থলী
ক্যানসারজনিত এক-তৃতীয়াংশ মৃত্যুর কারণ জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস। যথা: ১. মুটিয়ে যাওয়া (অতিরিক্ত উচ্চতা সূচক ওজন) ২. শাকসবজি ও ফলমূল কম খাওয়া ৩. শারীরিক পরিশ্রম না করা ৪. ধূমপান ৫. অ্যালকোহল পান।
শুধু ধূমপান ও তামাকপাতা ২০ শতাংশ ক্যানসার মৃত্যু ঘটায় এবং ৭০ শতাংশ ফুসফুস ক্যানসার মৃত্যুর কারণ।
ক্যানসার সৃষ্টিকারী সংক্রামক ভাইরাস যথা হেপাটাইটিস বি ও হেপাটাইটিস সি, হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস স্বল্প ও মধ্যম আয়কারী দেশের ক্যানসারে মৃত্যুর জন্য দায়ী ২০ শতাংশ।
উন্নয়নশীল দেশে নতুন ক্যানসার রোগী সংখ্যার ৬০ শতাংশের বেশি এবং ক্যানসারজনিত মৃত্যু ৭০ শতাংশের বেশি।
পারভীন শাহিদা আখতার : অধ্যাপক, মেডিকেল অনকোলজি, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা