হলুদ ছাড়া কি চলে?

হলুদ
হলুদ

রান্নায় মেশালে স্বাদ বাড়ে। ত্বকে ব্যবহার করলে সৌন্দর্য বেড়ে যায়। বলছি হলুদের কথা। কাঁচা হলুদই হোক আর গুঁড়া হলুদ—দুটোরই আছে গুণ। এই হলুদের গুণের কথা বিস্তারিত জানিয়েছেন বারডেম হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা শামসুন্নাহার নাহিদ।
হলুদ হজমের জন্য খুব উপকারী। খাদ্য হজম হতে যেসব পরিপোষক দরকার, সেগুলো হলুদে নির্দিষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান।
খাদ্যে পরিমাণ অনুযায়ী হলুদের ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, এটি খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেও সহায়ক। তবে অতিরিক্ত হলুদ খাবারে তেতো স্বাদ আনে।
কুসংস্কার প্রচলিত আছে, ‘জন্ডিস রোগে হলুদ একেবারে নিষিদ্ধ’—এই ধারণা ঠিক নয়; বরং জন্ডিসের রোগীর খাবারেও সামান্য পরিমাণ হলেও ব্যবহার করতে হবে।
পেটের নানা রকম পীড়ায় যাঁরা ভুগছেন, (যেমন: গ্যাস্ট্রিক, অজীর্ণতা ইত্যাদি) তাঁরা রোজ সকালে খালি পেটে অল্প একটু কাঁচা হলুদের রস কিংবা পাতলা করে কাটা হলুদের ছোট টুকরা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ত্বকের জন্যও এটি খুব ভালো। ত্বকে নিয়মিত হলুদের ব্যবহার চেহারায় দ্যুতি আনে।
এটি ত্বককে সুন্দর ও কোমল করে।
হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
দুধের সঙ্গে অল্প হলুদের রস মিশিয়ে পান করা শরীর ও ত্বক উভয়ের জন্যই ভালো।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
* লিভারে যাঁদের সমস্যা আছে বা লিভারের রোগ হওয়ার ঝুঁকি আছে, তাঁরা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী হলুদ খাবেন। বেশি হলুদ খাওয়া তাঁদের জন্য ক্ষতিকর।
* খাবারে কার কতটুকু হলুদ গ্রহণ করা উচিত, তা অবশ্যই চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।
* ল্যাক্টোস ইন্টলারেন্ট হলে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে দুধ বাদ দিয়ে মধু বা শুধু হলুদ অল্প পরিমাণে খেতে হবে। অথবা সয়া দুধও নেওয়া যেতে পারে।
* দুরারোগ্য কোনো লিভারের অসুখ হলে হলুদ যতটা পারা যায় এড়িয়ে চলতে হবে। কী পরিমাণে গ্রহণ করা যাবে, তা জেনে নিতে হবে চিকিৎসকের কাছ থেকে।
* ত্বকে সহ্য না হলে হলুদের ব্যবহার বাদ দিন।
* দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা হলুদ না খেয়ে মাঝেমধ্যে বিরতি দিতে হবে।
* অতিরিক্ত হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। খেতে হবে
পরিমাণ মতো।