
‘বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও’, ‘অলির কথা শুনে বকুল হাসে’ কিংবা ‘আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা’—হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের এই গান আজও শ্রোতাদের মধ্যে মুগ্ধতার আবেশ ছড়ায়। আর এমন গানে যদি সংগীতসন্ধ্যার আয়োজন হয়, তাহলে তো ষোলো আনাই উপভোগ্য।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাতটায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গানে গানে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন শিল্পী শাহরিয়ার খালেদ। বাংলা সংগীত জগতের অন্যতম পুরোধা ও সুরস্রষ্টা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে আর্য্য সংগীত সমিতি ও একাডেমি ফর সাউথ এশিয়ান কালচারাল হেরিটেজ যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলা চলচ্চিত্র শাপমোচন, দুই ভাই, স্বরলিপি, নতুন জীবন, শেষ পর্যন্ত, তাসের ঘর, লুকোচুরি, নীল আকাশের নিচে, বালুচরী ও নাগিন-এ গাওয়া হেমন্তের জনপ্রিয় গানগুলো গেয়ে শোনান শিল্পী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল কথামালা। বক্তব্য দেন ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ সিকান্দার খান, অধ্যাপক রঞ্জিত দাশ, বিএসএ গ্রুপের চেয়ারম্যান আমজাদ উল ফেরদৌস চৌধুরী, কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ূব ভুঁইয়া, সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ঝর্ণা খানম, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী চট্টগ্রাম জেলার সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও নুরুন্নবী ইমরান।
প্রায় আড়াই ঘণ্টার অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার খালেদ গাইলেন ‘সুরের আকাশে তুমি যে গো শুকতারা’, ‘তুমি কি যে বল বুঝি না’, ‘আমার জীবনের এত খুশি’, ‘কত রাগিণীর ভুল ভাঙাতে’, ‘যাবার আগে কিছু বলে গেলে না’, ‘একি চঞ্চলতা জাগে আমার মনে’, ‘ওগো যা পেয়েছি সেই টুকুতে’, ‘তারে বলে দিও সে যেন আসে না’, ‘গভীর রাতে হঠাৎ জেগে’, ‘যে বাঁশি ভেঙে গেছে’, ‘লজ্জাবতী নূপুরের রিনিঝিনি’, ‘কোন এক গাঁয়ের বধূর’, ‘এই বালুকা বেলায় আমি লিখেছিনু’, ‘শূন্য ডানা মেলে’, ‘মুছে যাওয়া দিনগুলি’, ‘এমন আমি ঘর বেঁধেছি’, ‘আমার গানের স্বরলিপি লেখা রবে’সহ ২৭টি গান।
গানে শিল্পী শাহরিয়ারের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান শ্রোতারও। গানের ফাঁকে ফাঁকে চলল কথামালা। দর্শকদের অনুরোধে গেয়ে শোনান ‘তুমি এলে অনেক দিনের পরে’, ‘মনের জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে গেছে’, ‘ডাগর ডাগর চোখে কেন কাজল দিলে’ ও ‘চলিতে চলিতে পথে’। শিল্পী অনুষ্ঠান শেষ করেন ‘আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা’ গেয়ে।