সন্তান কী পড়বে, বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা তাকে দেওয়া উচিত

‘সুযোগ পেলে লেখাপড়ার যে নিয়ম বদলে দিতাম’ — এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লেখা আহ্বান করেছিলাম আমরা। পড়ুন নির্বাচিত লেখাগুলোর মধ্য থেকে একটি।

মডেল: লাবণ্য
ছবি: স্বপ্ন নিয়ে

ছোট বাচ্চাটা হয়তো খেলাচ্ছলেই খেলনা গাড়িটা ভেঙে ভেতরের মোটরটা বের করে ফেলেছে। তাই দেখে মা-বাবা খুশিতে হাততালি দিয়ে বলছে, ‘ছেলে আমার ইঞ্জিনিয়ার হবে।’ ব্যস। ছেলেবেলা থেকেই শুরু হয়ে যায় ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার প্রতিযোগিতা। হয়তো একদিন এই ছেলেই নিজের আঁকা ছবিগুলো তোশকের নিচে রেখে বেরিয়ে পড়বে প্রকৌশলের পাঠ নিতে। হয়তো কোনোরকমে প্রকৌশলী হয়েও যাবে। তারপর জুতার তলা খসিয়ে জুটিয়ে নেবে একটা মোটামুটি বেতনের চাকরি। কিন্তু এই ছেলেই হয়তো মাঝেমধ্যে তোশকের কোনা তুলে নিজের আঁকা পুরোনো ছবিগুলো দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলবে। কেউ জানবে না, কোডিংয়ের চেয়ে স্কেচিংটাই তার বেশি প্রিয় ছিল। হয়তো একজন মোটামুটি মানের প্রকৌশলী না হয়ে সে একজন দুর্দান্ত শিল্পী হতে পারত।

এভাবেই কত শিল্পী, খেলোয়াড়, লেখক, বিজ্ঞানীকে আমরা হারিয়ে ফেলি শুধু চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতার জন্য। সন্তান কী পড়তে চায়, প্রাথমিক শিক্ষার পর সেটা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা তাকেই দেওয়া উচিত। ভাবতে পারেন, ছোট মানুষ, যদি ভুল করে? ভুলটাই হয়তো তাকে শেখাবে, কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাই যদি সুযোগ হতো, আমি সবার আগে এই চাপিয়ে দেওয়ার নিয়মটা বদলে প্রত্যেককে তাদের মনমতো বিকশিত হওয়ার সুযোগ দিতাম।

পাঠক, সুযোগ পেলে আপনি লেখাপড়ার কোন নিয়মটা বদলে দিতেন? লিখে পাঠাতে পারেন এই ইমেইলে: [email protected]। নির্বাচিত লেখাগুলো প্রকাশিত হবে প্রথম আলোয়। লেখার সঙ্গে আপনার পুরো নাম, পরিচয়, ফোন নম্বর উল্লেখ করতে হবে। পাঠাতে হবে আপনার ছবি।