স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য মনিরুজ্জামান
ছবি: সংগৃহীত

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ২০০২ সাল থেকে ঢাকা শহরের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার উপযোগী করে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে আমরা ‘আউটকাম বেজড শিক্ষাপদ্ধতি’তে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছি। বর্তমানে ৫টি অনুষদের অধীনে ১৪ বিভাগের মাধ্যমে ২৮টি প্রোগ্রামে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে অনেকে পিএইচডি শেষ করেছেন, অনেকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। তাঁরা ফিরে এলে আমাদের শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে। আমাদের আছে যুগোপযোগী ও মানসম্মত গবেষণাগার, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি এবং আধুনিক শ্রেণিকক্ষ।

আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রকৌশল, চলচ্চিত্র, গণমাধ্যম, অর্থনীতি, ফার্মাসি, অণুজীববিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, আইন, ব্যবসায় প্রশাসনসহ নানা খাতে সফলতার সঙ্গে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৪-এ বিশ্বসেরা দেড় হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান পেয়েছে। এতে বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে স্টামফোর্ডের অবস্থান সপ্তম এবং সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫তম। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সব সময়ই শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করে। শিক্ষকেরা গবেষণার কাজে শিক্ষার্থীদের যেমন সহযোগিতা করেন, তেমনি নিজেরাও বিভিন্ন গবেষণায় যুক্ত আছেন।

ক্লাব ও অ্যালামনাইদের ভূমিকা

একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য স্টামফোর্ডে আছে উপযুক্ত পরিবেশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি ক্লাব আছে, যার মধ্যে কয়েকটি কেন্দ্রীয়, কয়েকটি বিভাগীয়। যেমন বিতর্ক ক্লাবটি কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হয়। এর সঙ্গে প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা জড়িত। সাহিত্য ক্লাবের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চর্চার ফলে শিক্ষার্থীরা সংস্কৃতিমনা হয়ে গড়ে ওঠেন।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে আছে মাদকবিরোধী ক্লাব। বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্টামফোর্ডই এই ক্লাব গঠন করেছে। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের ক্যাম্পাসকে ধূমপান ও মাদকমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে মেধার পরিচয় দিচ্ছেন, পুরস্কার পাচ্ছেন। আমাদের রোবোটিকস ক্লাবও দেশে পুরস্কার পেয়েছে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্টামফোর্ডের প্রায় ৪০ হাজার অ্যালামনাই দেশে ও বিদেশে সাফল্যের পরিচয় দিচ্ছেন। প্রতিবছর সব বিভাগ তাঁদের অ্যালামনাইদের নিয়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে, পেশাগত ক্ষেত্রেও তাঁরা উপকৃত হন।

শিক্ষার্থীদের জন্য নানা উদ্যোগ

শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস আছে। এটি এখন নির্দিষ্ট কিছু রুটে যাতায়াত করলেও ভবিষ্যতে শহরের বিভিন্ন রুটে চলাচলের পরিকল্পনা আছে। ক্যাম্পাস ঢাকা শহরের মধ্যে হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে খুব সহজেই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারে।

বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের শর্ত অনুযায়ী এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনায় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ২০২২ সালেই সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করে। সামার ২০২২ থেকে পুরোনো পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করে নতুন ‘আউটকাম বেজড’ শিক্ষাপদ্ধতি চালু করেছি আমরা। ফলে শিক্ষার্থীরা কর্মজীবনের নানা সমস্যা মোকাবিলা করতে পারবে। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরি মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা আছে। ইন্টার্নশিপের জন্য শিক্ষার্থীরা যেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও আমরা করছি।

আরও পড়ুন

নর্থ সাউথের নতুন ক্যাম্পাসটি হবে আন্তর্জাতিক মানের: উপাচার্য