পেশাজীবীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই সাজানো আইইউবির মাস্টার্স প্রোগ্রাম

ঢাকার বসুন্ধরায় আইইউবির ক্যাম্পাস
ছবি: আইইউবির সৌজন্যে

কর্মজীবন শুরু করার পরও অনেকেই টের পান, আরও কিছু শেখা বাকি রয়ে গেছে। কিন্তু কাজের চাপ সামলে ক্লাসের বিষয় আত্মস্থ করাটা চাট্টিখানি কথা নয়। সময়ের সীমাবদ্ধতা আর অফিসের চাপ তো আছেই, পাশাপাশি যদি পরিবারের দায়িত্ব থাকে—তাহলে পোস্টগ্র্যাজুয়েশন শিক্ষা চালিয়ে নেওয়াটা শেষ পর্যন্ত বিলাসিতা মনে হতে পারে। দেশের আর্থসামাজিক এসব প্রেক্ষাপট মাথায় রেখেই সাজানো হয়েছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম।

ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ২৫টির বেশি স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে। ব্যবসা প্রশাসন, অর্থনীতি, সাপ্লাই চেইন, প্রকৌশল (কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল, সফটওয়্যার প্রকৌশল, নেটওয়ার্ক অ্যান্ড কমিউনিকেশন, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল, টেলিকমিউনিকেশন প্রকৌশল), পরিবেশবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়ন, প্রাকৃতিক সম্পদ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড বায়োইনফরমেটিকস, ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স, ফার্মাকোলজি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি, জনস্বাস্থ্য, উন্নয়ন অধ্যয়ন, ইংরেজি সাহিত্য, অ্যাপ্লায়েড লিঙ্গুইস্টিকস অ্যান্ড ইএলটি, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন, আইন, নানা বিষয়ে মাস্টার্স ও এমবিএ কোর্স চালু আছে। বিস্তারিত জানা যাবে আইইউবির ওয়েবসাইটে

যাঁরা কর্মজীবী, তাঁদের জন্য আছে এক্সিকিউটিভ এমবিএ এবং এক্সিকিউটিভ এমপিএইচ প্রোগ্রাম—যেখানে ক্লাস হয় সন্ধ্যায় ও শুক্র-শনিবারে। ক্লাসরুম ও অনলাইন—দুই মাধ্যমেই শেখার সুযোগ থাকায় কর্মজীবন এবং পড়াশোনার ভারসাম্য রাখা যায় সহজেই। অনেক বিভাগই শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী গঠনমূলক পরামর্শ দেয়, যা তাঁদের পেশাগত পথচলায় সহায়ক হয়।

আছে উন্নত ল্যাব সুবিধা
ছবি: আইইউবির সৌজন্যে

আইইউবির ৫০ শতাংশের বেশি শিক্ষকের আছে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রি। শিক্ষাদানের পাশাপাশি তাঁরা সমানভাবে গবেষণাকর্মেও যুক্ত আছেন। গবেষণার জন্য আইইউবিতে আছে বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত কেন্দ্র। যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তি, জ্যোতির্বিজ্ঞান, নবায়নযোগ্য শক্তি ইত্যাদি বিষয়ের ওপর গবেষণা করছে একাধিক ইনস্টিটিউট, সেন্টার ও ল্যাব। এসব সুবিধা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত গবেষণাপত্রও প্রকাশ করছেন।

আরও পড়ুন

আইইউবিতে ভর্তিপ্রক্রিয়াও সহজ। ওয়েবসাইটে গিয়ে সহজেই অনলাইনে আবেদন করা যায়। প্রাথমিক যোগ্যতা যাচাইয়ের পর ভাইভা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ। বেশির ভাগ প্রোগ্রামেই বছরে তিনবার (স্প্রিং, সামার, অটাম) ভর্তি নেওয়া হয়। আবেদন থেকে ভর্তি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটিই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়।

শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক দিকটিও বিবেচনায় রাখে আইইউবি। মেধাভিত্তিক বৃত্তি ছাড়াও আছে কর্মরত পেশাজীবীদের জন্য কোর্স ফিতে আছে বিশেষ ছাড়। কেউ কেউ আবার আংশিক বা পূর্ণ বৃত্তির সুযোগও পান। পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রামে রয়েছে করপোরেট সংস্থার কর্মীদের জন্য বিশেষ ছাড়। একই পরিবারের সদস্যরা পান সিবলিং ও স্পাউস ডিসকাউন্ট। নারী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্যও বিশেষ ছাড় আছে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন শ্রেণিতে শর্তসাপেক্ষে ১০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় বা বৃত্তি পাওয়া যায়।

শুধু একাডেমিক নয়, ক্যাম্পাসে সুযোগ-সুবিধার দিক থেকেও আইইউবি বেশ সমৃদ্ধ। গ্রন্থাগার, অত্যাধুনিক গবেষণাগার, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, সুপরিসর জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুল, চিকিৎসাকেন্দ্র, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড—সব মিলিয়ে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাঙ্গন।

আইইউবিতে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তিবিষয়ক যেকোনো তথ্যের জন্য ফোন করতে পারেন এই নম্বরে: ০১৭১৯১৪৮৬৮৪ ও ০১৭০৩৪৯৮২৭৫

ই–মেইল করতে পারেন এই ঠিকানায়: [email protected]

যাঁরা নতুন করে পড়াশোনায় ফিরতে চান বা ক্যারিয়ারে পরিবর্তন আনতে চান—তাঁদের জন্য আইইউবি হতে পারে একটি আশাব্যঞ্জক শুরু। আধুনিক, নমনীয় ও বাস্তবধর্মী এই স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমগুলো শুধুই ডিগ্রি অর্জনের জায়গা নয়, ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার একটি প্ল্যাটফর্মও বটে।

আরও পড়ুন