কনে দেখতে গিয়ে যে প্রশ্নের মুখোমুখি হলাম

ভালোবাসার গল্প আহ্বান করেছিল ‘ছুটির দিনে’। বিপুল সাড়া দিয়েছেন পাঠকেরা। কেউ লিখেছেন দুরন্ত প্রেমের গল্প, কেউবা শুনিয়েছেন দূর থেকে ভালোবেসে যাওয়ার অনুভূতি। এখানে পড়ুন বাছাই একটি লেখা।

অলংকরণ: এস এম রাকিবুর রহমান

মেয়েটি জিজ্ঞাসা করল, ‘এর আগে আরও কত মেয়ে দেখেছেন?’

আমি বললাম, ‘অনে...ক!’

ভ্রু সামান্য কুঞ্চিত হলো মেয়েটির। চোখের পাতা নাচল বোধ হয়। জিজ্ঞাসা করল, ‘পছন্দ হয়নি কাউকে?’

: মিথ্যা বলব না, অনেককেই পছন্দ হয়েছে।

—‘তাইলে আমাকে দেখতে এসেছেন কেন? চোখের ক্ষুধা মেটেনি?’

মেয়ের কথায় তো দেখি পেঁয়াজ কুচি করার ঝাঁজ! সে ঝাঁজ থেকে বাঁচতে ব্যাখ্যা করলাম, ‘আরে বাবা, রাস্তাঘাটে, চলতি পথে কত মেয়েই তো দেখেছি। তা ছাড়া আগে কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে, এখন অফিসে কত মেয়েকেই তো পছন্দ করি। কাউকে জুনিয়র হিসেবে, কাউকে সিনিয়র হিসেবে, কাউকে বন্ধু হিসেবে। তবে বিয়ের জন্য কাউকে পছন্দ করিনি, দেখতেও যাইনি।’

বিকেলের কনেদেখা আলোয় আলতো নরম হাসি খেলে গেল মেয়ের মুখে। বলল, ‘তা আমাকে আপনার কেমন লাগল?’

বললাম, ‘লাগল তো একেবারে চোখে-মুখে। এখন রীতিমতো ঝাপসা দেখছি!’

বুকপকেটে রাখা চশমাটা দেখিয়ে দিয়ে মেয়ে বলল, ‘চোখের জিনিস বুকে রাখলে ঝাপসাই দেখবেন।’ তারপর একটু ভেবে মেয়ে বলল, ‘একটা প্রশ্ন করি—বিয়ের পর আপনার মা আর স্ত্রীর মধ্যে কাকে কোথায় রাখবেন?’

ঝটপট উত্তর দিলাম, ‘বুকের জিনিস বুকেই রাখতে হয়। আর মাথার জিনিস মাথায়। বউ থাকবে বুকে, আর মা থাকবেন মাথায়।