ইরাসমাস মুন্ডুস বৃত্তিতে বাড়ছে বাংলাদেশিদের সংখ্যা

ইরাসমাস মুন্ডুস বাংলাদেশ মূলত মূল সংগঠনেরই অধীন।
ছবি: সংগৃহীত

ইউরোপের বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় স্নাতকোত্তরের জন্য ইরাসমাস মুন্ডুস বেশ জনপ্রিয় একটি বৃত্তি। আমাদের দেশের বহু শিক্ষার্থীও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করেন। সুখবর হলো, বাংলাদেশ থেকে ইরাসমাস মুন্ডুস বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। এ বছরও ১৪০ জন শিক্ষার্থী এই বৃত্তির আওতায় ইউরোপে মাস্টার্স করার সুযোগ পান। ভারত, পাকিস্তানের পর যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। এই সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে ইরাসমাস মুন্ডুস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ।

ইরাসমাস বৃত্তির আওতাধীন প্রাক্তন ও বর্তমান সব শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে যুক্ত করতে ২০০৬ সালে গড়ে তোলা হয় ইরাসমাস মুন্ডুস অ্যাসোসিয়েশন। ১৭০টি দেশের প্রায় ১২ হাজার সদস্য আছেন এই সংগঠনে। ইরাসমাস মুন্ডুস বাংলাদেশ মূলত মূল সংগঠনেরই অধীন।

বাংলাদেশ শাখার গণযোগাযোগ সমন্বয়ক তাহমিদা শামসুদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছে এই বৃত্তির খুঁটিনাটি তথ্য আমরা তুলে ধরি। আবেদনপ্রক্রিয়া থেকে শুরু করে এই বৃত্তির সুযোগ-সুবিধাগুলো সম্পর্কে তাঁদের জানাই। মূলত, বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহ জোগানো আমাদের প্রধান লক্ষ্য। গত বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আমরা ৩০টি অনুষ্ঠান করেছি। শুধু অনুষ্ঠান নয়, বৃত্তি নিশ্চিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে হোস্টেলে থাকা বা প্রশাসনিক নানা বিষয়েও আমরা সহযোগিতা করি।’

এসব কার্যক্রমের কারণেই এ বৃত্তিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করেন তাহমিদা। তিনি বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে আমরা এই বৃত্তির তথ্য আরও বেশি শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আমাদের অনলাইন ও অফলাইন কার্যক্রমের ফলে শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারছেন এবং আবেদন করতে আগ্রহী হচ্ছেন।’

আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সংগঠনটির নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন বাংলাদেশিরা। বর্তমানে ইরাসমাস মুন্ডুস অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে আছেন আশিকুর রহমান, যিনি প্রায় ৯৭ শতাংশ ভোট পেয়ে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এ ছাড়াও বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সৈয়দ মোহাম্মদ বাকের প্রেসিডেনশিয়াল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন।

আরও পড়ুন