উৎসবে বয়স্ক সদস্যদের কথা ভুলে যাচ্ছেন না তো

ঈদের সময় বয়স্ক সদস্যদের খাবার সময়ের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে
ছবি : প্রথম আলো

কদিন পরই ঈদুল আজহা। পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ যাঁরা, তাঁরাও চান আনন্দে শরিক হতে। এ সময় সবাই ব্যস্ত থাকেন যাঁর যাঁর কাজে, অনেক সময় ভুলে যান বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের কথা। তাঁদের প্রতি খেয়াল রাখলে আর সব রকম আনন্দে স্মরণ করলে তাঁরাও সময়টা ভালোভাবে কাটাতে পারেন।

করণীয়

বয়স্কদের যত্নে কিছু বিষয় এ সময় মনে রাখা উচিত।

  • বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় ওষুধ আগে থেকে সংগ্রহে রাখা উচিত। তাঁরা যদি ঈদ করতে দেশের বাইরে যান, সে ক্ষেত্রে তাঁদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে নিয়ে যাওয়া জরুরি।

  • যেহেতু উৎসবে সবাই অনেক ব্যস্ত থাকেন, অনেক সময় পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের খাবার সময়মতো দেওয়া হয় না। এদিকে খেয়াল রাখা উচিত। ডায়াবেটিস বা অন্যান্য রোগে সময়মতো খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত।

  • বয়স্কদের খাদ্য গ্রহণের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। তাঁদের গুরুপাক খাবার কম দিতে হবে। তাঁরা যাতে চর্বি বা মাংস পরিমিত পরিমাণে খান, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। তাঁদের জন্য হালকা মসলায় রান্না করলে ভালো। সাধারণত নানা রকম রোগের কারণে বয়স্ক ব্যক্তিদের মাংস বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। উৎসবের সময় এ নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করার সুযোগ থাকলে, তা অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে।

  • বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। গরু দেখতে গিয়ে অনেকেই আঘাত পান। এ রকম ক্ষেত্রে তাঁদের নিরাপদ দূরত্বে রাখুন। ধারালো অস্ত্র থেকেও সাবধান।

  • কোরবানির সময় মেঝেতে রক্ত বা পানি পড়ে থাকতে পারে। অসতর্কতায় বয়স্করা পড়ে যেতে পারেন। এত বড় আঘাত বা হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

  • পরিবারের বয়স্ক সদস্যরা যাতে সব রকম আনন্দের অংশ হন, নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে না করেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিভিন্ন কাজে তাঁদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে।