‘একটা বই কর’

ছাত্রজীবন থেকেই অনেকে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হন। এবারের অমর একুশে বইমেলায়ও বেরিয়েছে এমনই কারও কারও বই। তরুণ এসব লেখকের ভাবনার জগৎ সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করেছিলাম আমরা। কী পড়ছেন তাঁরা? কী লিখছেন? কোথায় খুঁজছেন অনুপ্রেরণা? পড়ুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী রুবাইয়াৎ ইয়ানার কথা।

রুবাইয়াৎ ইয়ানা
ছবি: সুমন ইউসুফ

সত্যি বলতে বই বের করার কোনো পরিকল্পনাই ছিল না। মাথায় টুকটাক যা–ই ভাবনা আসত, ডায়েরিতে লিখে ফেলতাম। কাছের বন্ধুরা যাঁরাই লেখাগুলো পড়ত, বলত ‘একটা বই কর।’ অবশেষে ২০২০ সালে এক পরিচিত ভাইয়ের মাধ্যমে আমার লেখা একটি থ্রিলার উপন্যাস একজন প্রকাশককে পাঠাই। তিনি আমার লেখা পছন্দ করেন। এভাবেই শুরু।

আরও পড়ুন

আপাতত শ্বাপদ নামের একটি ক্রাইম থ্রিলার সিরিজ নিয়ে কাজ করছি। প্রথম বই শ্বাপদ ২০২১ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল। সিরিজের দ্বিতীয় বই শ্বাপদ পুনরুত্থান আসছে এবার।

রুবাইয়াৎ ইয়ানা
ছবি: সুমন ইউসুফ

আমি থ্রিলারের পোকা। এই ঘরানার মধ্যে যা পাই, সবই পড়ার চেষ্টা করি। তবে আগাথা ক্রিস্টি, ব্রাম স্টোকার, ড্যান ব্রাউন এবং বাংলাদেশের মধ্যে নাজিম উদ্দিনের বই ভালো লাগে। আমার মা লেখালেখিতে সব সময়ই অনুপ্রেরণা দেন। তিনি নিজেও বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক। লেখালেখির ক্ষেত্রে তাঁর সহযোগিতা না পেলে হয়তো এত দূর আসাই হতো না। ছোটবেলা থেকেই আমি আবৃত্তি, বিতর্ক, পাবলিক স্পিকিংয়ের সঙ্গে যুক্ত; যা আমার ভাষার দক্ষতা বিকাশ আর কল্পনাগুলো লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করেছে।

যখনই এমন কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে, যিনি আমাকে একজন লেখক হিসেবে চেনেন, মনে হয়েছে এখানেই আমার সার্থকতা। লেখালেখি আমার পেশা নয়। এই যে আমি কিছু খাঁটি পাঠক পেয়েছি, যাঁরা আমার পরের বইয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন, এটিই আমার সাফল্য। এখন তো এমন হয়েছে যে রাত বাজে ৪টা, আমার মাথায় হুট করেই একটি নতুন আইডিয়া ঘুরছে। যতক্ষণ না সেটি নোটবুকে লিখে রাখছি, আমার আর ঘুমই হয় না!