কে-পপ কনসার্ট দেখেছি, ঘুরেছি দক্ষিণ কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামেংগামে অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্কাউট জাম্বুরির ২৫তম আসরে অংশ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থী—শাহরিয়ার জামান, ফাইরুজ হায়দার ও সারতাজ সাহাদৎ। কেমন ছিল অভিজ্ঞতা? জানিয়েছেন শাহরিয়ার জামান

কোরিয়া ঘুরে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তিন শিক্ষার্থী
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ স্কাউটসের ওয়েবসাইট থেকে বিশ্ব স্কাউট জাম্বুরির ব্যাপারে জেনেই আবেদন করেছিলাম। শুরুতে আমাদের একটি সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এরপর নির্বাচিতদের নিয়ে শুরু হয় প্রস্তুতি ক্যাম্প। বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে গত ২৮ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করি।

এটি মূলত স্কুল পর্যায়ের স্কাউটদের প্রোগ্রাম। এবার বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিল সব মিলিয়ে প্রায় ৭০০ জন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা তিনজন সুযোগ পাই ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস টিমের সদস্য হয়ে। পুরো আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আমাদের আলাদা দায়িত্ব ছিল।

গত ২ আগস্ট জাম্বুরি প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। এ ছাড়া ওয়ার্ল্ড স্কাউটের চিফ অ্যাম্বাসেডর ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’ খ্যাত বিয়ার গ্রিলসও উপস্থিত ছিলেন। বিশ্বের ১৫৮টি দেশের প্রায় ৪৩ হাজার মানুষ এই আয়োজনে অংশ নেন। এ রকম মিলনমেলা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খুব কম হয়। তাই অনুভূতি অসাধারণ ছিল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিন শিক্ষার্থী
ছবি: সংগৃহীত

 আয়োজক দেশগুলো সব সময় নিজেদের সংস্কৃতি সুন্দরভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করে। এ জন্য জাদুঘর, রাজপ্রাসাদ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পরিদর্শনে নিয়ে যায় তারা। এ ছাড়া ‘কালচার ডে’র কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এখানে প্রতিটি দেশ তাদের নিজস্ব পোশাক পরে, নিজস্ব খাবার রান্না করে। শেষ দিন হয় কনসার্ট। নিউ জিনস, আইভিই, এনসিটি ড্রিম ছাড়াও ২০টি কে-পপ ব্যান্ড অংশ নিয়েছিল এবারের আয়োজনে। মোটকথা, পুরোটাই একধরনের আনন্দ আয়োজন। প্রশিক্ষণ বা কঠিন কিছু নয়।

যদিও উচ্চ তাপমাত্রার কারণে জাম্বুরিতে এবার অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। বিভিন্ন দেশ তখন প্রতিনিধিত্বকারী সদস্যদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। আবার টাইফুনের পূর্বাভাস ছিল। যেহেতু ক্যাম্প হয়েছে উপকূল এলাকায়, তাই নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগেই ক্যাম্প ছাড়তে বাধ্য হয় সবাই। বাকি তিন দিন আমরা কোরিয়ার জিওনজু ইউনিভার্সিটিতে কাটিয়েছি।

 কোরীয়দের আতিথেয়তা বেশ ভালো লেগেছে। একবার রাস্তায় গাড়ি পাচ্ছিলাম না। ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের পথ পুরোটাই এগিয়ে দিয়েছিলেন অপরিচিত এক লোক। পর্যটকেরা যেসব জায়গায় বেড়াতে যান, সব কটিই স্কাউটরা ঘুরে দেখতে পেরেছেন বিনা মূল্যে।