বন্ধুদের সঙ্গে লেখক
ছবি: সংগৃহীত

ইউরোপের বিভিন্ন দেশের তুলনায় মাস্টার্স পর্যায়ে সুইডেনে অনেক সুযোগ আছে। এখানকার প্রায় ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে মাস্টার্সে ভর্তি নেয়। পড়ালেখার মাধ্যম ইংরেজি।

লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়, স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়, উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়, কেটিএইচ রয়াল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ সুনাম আছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও পিএইচডি করতে সুইডেনের বাইরে থেকে অনেকেই আসেন। তথ্যপ্রযুক্তি, পরিবেশবিজ্ঞান, টেকসই উন্নয়ন, উন্নয়ন অধ্যয়নের মতো বিষয়গুলোই সাধারণত অগ্রাধিকার পায়। সুইডেনে পড়ার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ আছে।

স্নাতকোত্তর শুরুর পরও আপনি বৃত্তি পেতে পারেন। আমি যেমন দুই বছরের মাস্টার্সের জন্য ‘সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপস ফর গ্লোবাল প্রফেশনালস’ (এসআইএসজিপি)–এর পূর্ণবৃত্তি পেয়েছি। সুইডিশ ইনস্টিটিউটের বৃত্তি প্রদানের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভবিষ্যৎ বিশ্বনেতৃত্ব তৈরি করা। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে ১১ হাজার সুইডিশ ক্রোনা (১ লাখ টাকার বেশি) পান। স্বাস্থ্যবিমাসহ নানা ধরনের সুযোগ থাকে। গত ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশসহ ৪২টি দেশের পেশাজীবীদের জন্য প্রায় ৩৫০টি বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। গবেষণা বা উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। এই বৃত্তি অবশ্য শুধু স্নাতকোত্তর পর্যায়ের জন্য। সুইডেনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য এই ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন। এ ছাড়া বৃত্তির জন্য এই ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।